কলকাতা: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এ বার সল্টলেকে। ১৮ দিন ধরে মায়ের মৃতদেহে আগলে রাখল ছেলে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সল্টলেকের বি-ই ব্লকের বাড়িতে থাকতেন কৃষ্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে মৈত্রেয়। কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয় কৃষ্ণাদেবীর স্বামী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক গোরা ভট্টাচার্যের। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ার কারও সঙ্গে মেলামেশা ছিল না মা ও ছেলের। এমনকি মৈত্রেয়র মানসিক অবস্থা নিয়েও সন্দিহান অনেকে।
বাড়িটিকে আড়াল করতে এক দিকে ত্রিপলও টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বাড়ির বাইরের দেওয়ালে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এমনকি, নিজের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রকৃত শংসাপত্রও আঠা দিয়ে লাগিয়ে রেখেছিলেন মৈত্রেয়।
আরও পড়ুন ঐতিহাসিক মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশনের সংস্কার শুরু করল রাজ্য
গত কয়েক দিন ধরে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। রবিবার রাতে ওই বাড়িতে হানা দেয় বিধানগর উত্তর থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে যখন বাড়িতে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা, তখন তাঁরা দেখেন, কৃষ্ণাদেবীর দেহ আগলে বসে রয়েছেন মৈত্রেয়। মৃতদেহটি পড়েছিল খাটে। তদন্তকারীদের দাবি, ওই যুবক জানিয়েছেন, আঠেরো দিন আগে মারা গিয়েছেন তাঁর মা। বিডন স্ট্রিটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সে খবর জানিয়েও এসেছেন তিনি।
কিন্তু দাহ না করে কেন দেহ আগলে রেখে ছিল মৈত্রেয়? এর সদুত্তর মেলেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৈত্রেয়কে। যদিও তদন্তকারীদের দাবী, আঠারো দিন নয়, খুব বেশি হলে সাত দিন আগে মারা গিয়েছেন কৃষ্ণাদেবী।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।