ধর্মেন্দ্র চালাচ্ছেন, অমিতাভ পাশে বসে রয়েছেন। মান্না-কিশোরের গলায় তাদের লিপে বাজছে — ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে…’। হ্যাঁ, ঠিক এই শোলে সিনেমার বিখ্যাত দৃশ্যের অনুপ্রেরণাতেই এবার দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি রাস্তায় চালু হতে পারে এমনই আইকনিক মোটরবাইক পরিষেবা। প্রশাসনের ভাবনায় রয়েছে, বয়স্ক পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ব্যতিক্রমী পরিবহণ ব্যবস্থার পরিকল্পনা।
বস্তুত, দার্জিলিং রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বছরে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এখানে ভিড় জমান। কিন্তু এই পাহাড়ি শহরে যাতায়াত সব বয়সের মানুষের জন্য সহজ নয়, বিশেষত বয়স্কদের পক্ষে ম্যাল চত্বর বা আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে পায়ে হেঁটে পৌঁছনো বেশ কষ্টকর। ব্যাটারিচালিত টোটো বা ছোট গাড়িও পাহাড়ি রাস্তায় সচরাচর চলে না। এই সমস্যা সমাধানে বিকল্প পরিবহণ ব্যবস্থার খোঁজে নেমেছে প্রশাসন।
৪ থেকে ৮ মে দার্জিলিং সফরে যান বিধানসভার পরিবহণ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। চেয়ারম্যান স্বর্ণকমল সাহার নেতৃত্বে এই দলে ছিলেন বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ (রানা), সুমন কাঞ্জিলাল, সুকুমার মাহাত, মনোজ ওঁরাও-সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি। সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ), জিটিএ-র প্রতিনিধি ও পরিবহণ দপ্তরের কর্তারাও।
সেখানেই উঠে আসে অভিনব এক প্রস্তাব— প্রবীণ পর্যটকদের জন্য ‘ক্যারিয়ার’সহ মোটরবাইক চালু করা হোক দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি রাস্তায়। অর্থাৎ, শোলে সিনেমার মতো স্টাইলিশ মোটরবাইকে এক চালক ও এক যাত্রী বসে সহজেই পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে পারবেন। স্ট্যান্ডিং কমিটির দাবি, এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন ও জিটিএ কর্তারা। এখন চলছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য দিকগুলি খতিয়ে দেখা।
এবার দেখার, সিনেমার পর্দা থেকে বাস্তবের রাস্তায় কবে নেমে পড়ে সেই বিখ্যাত বন্ধুত্বের বাইক, আর পাহাড়ের বুক চিরে ফেরে শোলের সেই অমর গান!