শুধু হোম স্টে পর্যটন নয়, এ বার গোটা গ্রাম নিয়ে গুরুবাস পর্যটনের ভাবনা

0

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শুধু মাত্র একটা-দু’টো ‘হোম স্টে’ পর্যটনে জোর দিয়ে নয়! এ বার নতুন চিন্তাভাবনায় গোটা গ্রাম্য পরিবেশকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরে উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হল অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন এন্ড ট্যুরিজম বা অ্যাক্ট।

বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে শনিবার শিলিগুড়ির মৈনাক হোটেল অ্যাক্ট-এর উদ্যোগে ‘হোম স্টে কংগ্রেস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানেই উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় ও পর্যটকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)।

করোনা মহামারির আবহে এবং পরবর্তী সময়ে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলতে ও হোম স্টে পর্যটনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে তিন দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস উৎসবের সূচনা হল শিলিগুড়িতে। উৎসবের সূচনা করেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং গুরুবাস পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ভাইচুং ভুটিয়া।

এ দিনের এই পর্যটন উৎসবের সূচনা করে ভাইচুং জানান, উত্তরবঙ্গ-সহ সিকিমের বিভিন্ন হোম স্টে পর্যটনের পাশাপাশি চলতি বছর থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন গ্রামগুলিতে পর্যটনের লক্ষে গুরুবাস পর্যটনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে এক দিকে যেমন হোম স্টে পর্যটনে লাভ হবে, অন্য দিকে বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবেশকে একদম তৃণমূল স্তরে অনুভব করতে পর্যটকদের জন্য গ্রাম্য পর্যটনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই গুরুবাস পর্যটনের মূল লক্ষ হল, পর্যটকরা বিভিন্ন গ্রামগুলিতে দু’-তিন দিন থাকুন। এবং সেই সব গ্রামগুলির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাস্কর্যের সঙ্গে পরিচয় করুন।

গ্রামের জীবনযাপন থেকেও ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করাও জরুরি বলে মনে করেন ভাইচুং। তাতে শুধু মাত্র হোম স্টের মালিকদের মুনাফার পরেও গোটা গ্রামের একটা অর্থনৈতিক মুনাফার ব্যবস্থা হবে বলে মত তাঁর।

সম্প্রতি করোনা কালে পর্যটকেরা একটু স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পেতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল ও পার্বত্য অঞ্চলে আসছেন, সে ক্ষেত্রে ভাইচুংয়ের মত, এই ধরনের গ্রাম্য পর্যটন করলে তাতে এক দিকে যেমন গোটা গ্রাম পর্যটনে সংযুক্ত হতে পারবে, তেমনই পর্যটকেরাও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন গ্রামগুলিতে। পাশাপাশি আগামী দিনে গোটা উত্তরবঙ্গ-সহ সিকিমের বিভিন্ন অঞ্চলে হোম স্টে এবং গুরুবাস পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানান ভাইচুং।

অন্য দিকে, উদ্যোক্তা সংস্থার প্রধান রাজ বসু জানান, “গোটা উত্তরবঙ্গ-সহ সিকিম, নেপাল এমনকী বাংলাদেশের পর্যটনকে এক সুতোয় গাঁথতে পেরেছি। বিগত ৩০ বছর ধরে এই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের পরম্পরাকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতে পেরেছি। বাইচুংয়ের গ্রাম টিঙ্কিদাম থেকে সেই গুরুবাস পর্যটন শুরু হয়, আজ গোটা উত্তরবঙ্গ, নেপাল, বাংলাদেশের গ্রামগুলিতেও এই পর্যটন ছড়িয়ে দিতে পেরেছি”।

এখানে ক্লিক করে ভিডিয়োয় দেখুন: কী এই গুরুবাস পর্যটন? বললেন ভাইচুং ভুটিয়া

আরও পড়তে পারেন:

বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ: পুজোয় চলুন ফুটিয়ারি

বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ: পুজোয় চলুন ঝিলিমিলি

বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ: পুজোয় চলুন কাশীরাম দাসের সিঙ্গি গ্রাম

বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ: পুজোয় চলুন ঘাটশিলা

বিজ্ঞাপন