বছরের প্রথম তুষারপাত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফুতে। বুধবার রাতে সিঙ্গালিলা রিজে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় ২ ইঞ্চি তুষারপাত হয়েছে। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এখানে তুষারপাত হয়। এই তুষারপাত স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও সিঙ্গালিলা ল্যান্ড রোভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (SLROA) পর্যটকদের আগমনে আশাবাদী করেছে।
১১,৯৩০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সান্দাকফু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, এভারেস্ট, মাকালু এবং লোৎসে শৃঙ্গের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। গত বছর ২১ নভেম্বর এবং ২২ নভেম্বর সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়েছিল। স্থানীয়দের ধারণা, আগামী দুই-তিন দিন তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
SLROA-এর সভাপতি চন্দন প্রধান জানান, এদিন তুষারপাতের তীব্রতা গত বারের তুলনায় বেশি ছিল। তিনি বলেন, “তুষারপাত পর্যটকদের আকর্ষণ করবে বলে আশা করছি। আজ (বুধবার) মাত্র পাঁচটি গাড়ি সান্দাকফুর দিকে গেছে, যেখানে ৩০ জন পর্যটক ছিলেন। গত কয়েক দিন ধরেই সংখ্যাটা এমনই রয়েছে। আমরা আশা করছি ১৪ জানুয়ারির আগে আরও তুষারপাত হবে। তবে ঠান্ডার কারণে জল সরবরাহের পাইপ জমে গেছে। আমরা পর্যটকদের জল ব্যবহার করতে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কলকাতার বাসিন্দা রাজদীপ রায় সান্দাকফু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা যা জীবনে একবার হলেও নেওয়া উচিত। বিশেষ করে তুষারপাত দেখা আমাদের মতো মানুষের কাছে বিরল। এখানকার আবহাওয়া অসাধারণ।”
সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে আরেক পর্যটক দীপন দে বলেন, “আমরা আগে তুষার দেখলেও তুষারপাতের অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি। এটি ছিল একেবারে নতুন এবং দারুণ।”
সান্দাকফুর স্থানীয় বাসিন্দা নরবু শেরপা জানান, ৪৫ মিনিটের তুষারপাতে প্রায় ২ ইঞ্চি বরফ জমেছে। তবে রাস্তাঘাটে কোনও প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, “পর্যটকরা গাড়ি নিয়ে অনায়াসে সান্দাকফু পৌঁছাতে পারছেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে তুষারপাত শুরু হয়, তবে বাতাসের কারণে বরফ গলে যায়। সকালে ঝকঝকে রোদ ছিল, আর পর্যটকরা সূর্যোদয়ের দৃশ্য উপভোগ করেছেন।”
তুষারপাতের এই মরশুমে সান্দাকফুতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।