বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসা থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল সচিন

খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে আনার পর নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ১ জুলাই তাদের ছাড়া হয় ২০ হেক্টর জমির এনক্লোজারে।

0
Leopard-'Sachin'

ওয়েবডেস্ক : ২০১৮ সালের ১৯ জুন খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা হয় লেপার্ড সচিন ও সৌরভকে। সূত্র বলছে, আনার পর থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখিয়েছে সচিন। তার আক্রমণে জখম হতে হয়েছিল পার্কের দুই কর্মীকেও।

খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে আনার পর নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ১ জুলাই তাদের ছাড়া হয় ২০ হেক্টর জমির এনক্লোজারে। সেদিন থেকেই বেঙ্গল সাফারি পার্কে শুরু হয় লেপার্ড সাফারি। সচিনের আক্রমণে দুই বনকর্মী জখম হওয়ার পর বেশ কিছু দিন সে শান্ত ছিল। ঘটনার দিন এনক্লোজারের সংলগ্ন একটি গাছের মগডালে উঠে পড়ে সে। তারপরই সকাল ৮টা নাগাদ এনক্লোজারের বাইরে চলে যায়। এনক্লোজার টপকানোর সময় সচিনের লোম কাঁটা তারে লেগে যায়। সেই লোপ এবং পায়ের ছাপ দেখে বনকর্মীদের অনুমান তৃণভোজীরা যে অঞ্চলে বিচরণ করে সেখানে চলে গেছে সে। ৯০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে তৃণভোজী অঞ্চল।

ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার আগেই পর্যটকরা পার্কে ঢুকতে শুরু করেন। কিন্তু তাদের নিরপত্তার কথা ভেবে পার্ক বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সাফারি সূত্রে খবর, এর ফলে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেকে অনলাইনেও টিকিট বুকিং করেছিলেন। তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

[ আরও পড়ুন : নতুন বছরে কলকাতা চিড়িয়াখানায় গেলে দেখা মিলবে না এদের ]

এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এনক্লোজারের ১০০ মিটারের মধ্যে কেন উঁচু গাছ রাখা হল? এর পাশাপাশি পার্কের জন্তুদের ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এই প্রশ্নগুলি অনেকে করছেন।

সাফারির ডিরেক্টর রাজেন্দ্র জাখর গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ১২ ফুটের লোহার বেড়া টপকে গত ৩ বছরে একটি পশুও পালায়নি সেখানে এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক।

বিজ্ঞাপন