রেশন পরিষেবার মান যাচাইয়ে অভিনব পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। প্রতিটি রেশন দোকানে গ্রাহক ও দোকান কর্মীদের মতামত সংগ্রহ করে সামাজিক নিরীক্ষা চালাতে চলেছে রাজ্যের সোশ্যাল অডিট ইউনিট।
‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে বিনামূল্যে চাল সহ একাধিক খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই খাদ্যসামগ্রীর গুণমান, নির্ধারিত পরিমাণ, রেশন দোকানের পরিষেবা, কর্মীদের ব্যবহার—এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সরাসরি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জোগাড় করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, এই সামাজিক নিরীক্ষা বা সোশ্যাল অডিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সোশ্যাল অডিট ইউনিটকে। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের ৫,৫৯৩টি রেশন দোকানে এই সমীক্ষা চালানো হবে। যার মধ্যে ৪,৫৭৬টি দোকান গ্রামীণ এলাকায় এবং ১,০১৭টি দোকান রয়েছে পুরসভা এলাকায়।
গ্রামে ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সনস’ এবং শহরে তাঁদের সমতুল্য কর্মীরা নির্দিষ্ট প্রশ্নমালা নিয়ে রেশন দোকানে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। চাল-ডাল ঠিকঠাক মিলছে কিনা, দোকানের পরিষেবা ও পরিবেশ কেমন, কর্মীদের ব্যবহার কেমন, নির্দিষ্ট সময়মতো পরিষেবা মিলছে কিনা, বায়োমেট্রিক ও ই-পস পরিষেবা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা—এসব বিষয়েই তথ্য নেওয়া হবে।
এই সমীক্ষা নিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, “সার্বিক রেশন পরিষেবার গুণমান আরও উন্নত করতেই এই উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানেই এই প্রক্রিয়া চালানো হবে।”
রাজ্যের সোশ্যাল অডিট ইউনিটের ডিরেক্টর বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য জানান, “সোশ্যাল অডিট পদ্ধতি কোনও পরিষেবা বা প্রকল্পের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রভাব মূল্যায়নে সহায়ক। এখানে গ্রাহক এবং দোকান কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই রাজ্য সরকার ভবিষ্যতের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
বর্তমানে রাজ্যে ২১ হাজারের বেশি রেশন দোকান রয়েছে। তাই ধাপে ধাপে মোট চারটি পর্যায়ে এই অডিট সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।