রাজ্য
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাসপাতালে ভরতি সৌরভ। তৎপরতা রাজনৈতিক নেতৃত্বের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার আচমকা বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যায়, তিনি মৃদু হৃদরোগ আক্রান্ত হয়েছেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। অত্যন্ত উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
উডল্যান্ডস হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. সরোজ মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সৌরভ। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। তাঁকে হাসপাতালের সিসিইউ-তে রাখা হয়েছে। অনুমান করা হয়, তিনি মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মায়ো কার্ডিয়াক ইনফার্কশনে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। যে কারণে সাময়িক ভাবে চেতনাহীন হয়ে পড়েছিলেন। এ ব্যাপারে স্থায়ী সিদ্ধান্তে আসতে তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয়। কোনো ব্লকেজ রয়েছে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকেরা। তার পরই তাঁর প্রাথমিক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, “সৌরভের তিনটি আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়েছে। একটিতে ৯০ শতাংশ এবং বাকি দু’টিতে ৭০ শতাংশ। আপাতত একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। সোমবার ফের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হতে পারে”।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভের হাসপাতালে ভরতির খবর শুনেই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন, “মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সৌরভ হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন শুনে খারাপ লাগছে। ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি”।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানান, তিনি সৌরভের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। টুইটারে লিখেছেন, “হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সৌরভের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি”।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সৌরভের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফোন করেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। সৌরভ বর্তমানে কেমন আছেন, তাঁর চিকিৎসা কী ভাবে চলছে ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কৈলাস ফোনে কথা কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
টুইটারে সৌরভের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। তিনি লিখেছেন, “দাদার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভালো আছেন, চিকিৎসায় যথাযথ সাড়া দিচ্ছেন”।
সৌরভের পরিবারের সদস্য, পারিবারিক শুভানুধ্যায়ী এবং ক্রিকেট অনুরাগীরা এ দিন জড়ো হন হাসপাতাল চত্বরে। দেখা যায় বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল এবং বামনেতা রবীন দেবকেও।
আরও পড়তে পারেন: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
রাজ্য
দু’মাস আগের টুইট মনে করিয়ে বিজেপির উদ্দেশে প্রশান্ত কিশোর বললেন, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”
গত ডিসেম্বরে অমিত শাহের কথার রেশ ধরেই বিজেপি-কে কটাক্ষ করেই পাল্টা টুইট করেছিলেন পিকে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দু’মাস আগে করা একটি টুইট ফের সকলের নজরে নিয়ে এলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরের দিন সেই টুইটটি মনে করিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রশান্ত। সেই সঙ্গে তিনি বললেন, “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।”
শনিবার সকালে করা একটি টুইট করে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসছে। প্রশান্ত টুইটে লেখেন, “গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড়ো লড়াই হতে চলেছে বাংলায়। সেই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুত রাজ্যের মানুষ। ঠিক সময়েই তাঁরা বার্তা দিয়ে দেবেন। ২ মে আমার আগের টুইটটি-র কথা মনে রাখবেন।”
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেদিনীপুরের জনসভা থেকে জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, এ বার ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তার কথার রেশ ধরেই বিজেপি-কে কটাক্ষ করেই পাল্টা টুইট করেছিলেন পিকে।
সেই টুইটে পিকে, বিজেপির আসন সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়ে তিন অঙ্কে যাবে না। এ নিয়েই একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা টুইট করতে শুরু করেন। প্রশান্তের টুইটের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বাংলায় বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।
বাংলার মানুষ যে ‘বাংলার মেয়েকে’ই চায়, এ দিনের টুইটে দাবি করেন প্রশান্ত। ঘটনাচক্রে, তৃণমূলের ভোটের এই নতুন স্লোগানটি তাঁরই তৈরি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আন্তর্জাতিক উড়ানের উপর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
রাজ্য
বিধানসভা নির্বাচন ২০২১: জানুন আপনার কেন্দ্রে কবে ভোট
দেখে নিন রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের তারিখ…

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আট দফায় হবে ভোটগ্রহণ। দেখে নিন আপনার কেন্দ্র কবে ভোট?
প্রথম দফা (২৭ মার্চ)
পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরা, দাঁতন, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, কেশিয়ারি, খড়গপুর, গড়বেতা, শালবনি, মেদিনীপুর, বিনপুর, বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পারা, রঘুনাথপুর, শালতোড়া, ছাতনা, রানিবাঁধ, রায়পুর।
দ্বিতীয় দফা (১ এপ্রিল)
গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, তালডাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখি।
তৃতীয় দফা (৬ এপ্রিল)
বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, গোঘাট, খানাকুল।
চতুর্থ দফা (১০ এপ্রিল)
মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ, কুমারগঞ্জ, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট, সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, বজবজ, মেটিয়াব্রুজ, বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া মধ্য, শিবপুর, হাওড়া দক্ষিণ, সাঁকরাইল, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া পূর্ব, ডোমজুড়, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড়, পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, চণ্ডীতলা।
পঞ্চম দফা (১৭ এপ্রিল)
ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল, নাগরাকাটা, কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া, শান্তিপুর, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, চাকদহ, কল্যাণী, হরিণঘাটা, পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম, রাজারহাট নিউটাউন, বিধাননগর, রাজারহাট গোপালপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দেগঙ্গা, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, বসিরহাট দক্ষিণ, বসিরহাট উত্তর, হিঙ্গলগঞ্জ, খণ্ডকোষ, বর্ধমান দক্ষিণ, রায়না, জামালপুর, মন্তেশ্বর, কালনা, মেমারি, বর্ধমান উত্তর।
ষষ্ঠ দফা (২২ এপ্রিল)
চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ইটাহার, করিমপুর, তেহট্ট, পলাশিপাড়া, কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, গাইঘাটা, স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, হাবড়া, অশোকনগর, আমডাঙা, বীজপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, ব্যারাকপুর, খড়দহ, দমদম উত্তর, ভাতার, পূর্বস্থলী দক্ষিণ, পূর্বস্থলী উত্তর, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গকোট, আউসগ্রাম, গলসি।
সপ্তম দফা (২৬ এপ্রিল)
কুশমাণ্ডি, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, হবিবপুর, গাজোল, চাঁচোল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়া, ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ, নবগ্রাম, কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি, বারাবনি।
অষ্টম দফা (২৯ এপ্রিল)
মানিকচক, মালদহ, ইংরেজবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, খড়গ্রাম, বারোয়ান, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল, জলঙ্গি, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, দুবরাজপুর, সিউড়ি, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, সাঁইথিয়া, ময়ূরেশ্বর, রামপুরহাট, হাসন, নলহাটি, মুরারই।
*ক্রম নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী
আরও পড়তে পারেন: লাইভ: পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট
রাজ্য
রাজ্যের সংক্রমণের হার বেড়ে ফের ১ শতাংশের ওপরে, সক্রিয় রোগী কমল মাত্র ১০
দৈনিক সংক্রমণ এবং সুস্থতার মধ্যে তফাতটা ক্রমশ কমছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির বিশাল অবনতি না হলেও, সামান্য চিন্তা তৈরি করছে বইকি। দু’দিন পর রাজ্যে সংক্রমণের হারটি ফের ১ শতাংশের ওপরে উঠে গিয়েছে। এ দিকে দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক সুস্থতার সংখ্যায় পার্থক্যটাও কমতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যে দৈনিক সুস্থতা ফের দৈনিক সংক্রমণের নীচে চলে আস্তে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ২১৬ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২২৩ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ১১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ২৬৩ জন।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৩ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার কমল বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮৪টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.০৭ শতাংশ। তবে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৭৪ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
করোনার সংক্রমণ মোটের ওপর কমে আসায় রাজ্যে কোভিড চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শয্যার সংখ্যা আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৬০ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.৩১ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবারের তুলনায় কলকাতায় নতুন কোভিডরোগীর সংখ্যা কমেছে। যদিও, উত্তর ২৪ পরগণায় তা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭২ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৬৬ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬০ এবং ৫৩ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় একজন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় কারও মৃত্যু হয়নি।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮০, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৮। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,১৬০ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯৫৩। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,০৯৮ এবং ২,৫০৭ জনের।
চার জেলা ছিল সংক্রমণ-শূন্য
শুক্রবার রাজ্যের চারটে জেলা ছিল নতুন সংক্রমণহীন। এই জেলাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ১৪ জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা এক অঙ্কে ছিল। এই জেলাগুলি হল কোচবিহার (১), মালদা (১), মুর্শিদাবাদ (১), উত্তর দিনাজপুর (২), বীরভূম (২), পূর্ব বর্ধমান (২), পূর্ব মেদিনীপুর (২), দার্জিলিং (৩), পুরুলিয়া (৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (৪), হুগলি (৪), জলপাইগুড়ি (৫), নদিয়া (৬) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৯)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জেলায় সংক্রমণ ছিল দুই অঙ্কে। এই জেলাগুলি হল হাওড়া (১৩), পশ্চিম বর্ধমান (১০) এবং বাঁকুড়া (১০)।
-
প্রযুক্তি3 days ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
দেশ17 hours ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা2 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
সোশ্যাল, ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের