উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনারপুর: চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এক শিল্পী। আয়ের রাস্তা খুঁজতে এখন বাঁশি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন বাঁশিশিল্পী চিত্তরঞ্জন শিকদার। তিনি ব্যতিক্রমী শিল্পী। মুখের বদলে নাক দিয়ে বাঁশি বাজান। আর নাক দিয়ে বাঁশিতে সুর তুলেই তিনি মানুষের মন জয় করেন।
এ ভাবেই মানুষের মনোরঞ্জন করে তাঁদের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন। আর সেই টাকাতেই অভাবের সংসার চালাচ্ছেন অতিকষ্টে। কলকাতার মুকুন্দপুর দাসপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন চিত্তরঞ্জন। স্ত্রী ও পুত্র নিয়ে সংসার। তবে লকডাউনের সময় থেকেই তাঁর সংসারের অবস্থা খারাপ। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। ছেলে একটি ছোটো কাজ করে কোনো রকমে ঘরভাড়া মেটায়। কিন্তু সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিত্তরঞ্জৱ। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আয়ের জন্য এ বার রাস্তায় নেমেছেন তিনি।
বিভিন্ন রেল স্টেশনে ও ট্রেনের কামরায় বাঁশি বাজিয়ে রোজগার করছেন। আর তাই দিয়েই কোনো রকমে চলছে সংসার। প্রচলিত গণ্ডি ডিঙিয়ে চিত্তরঞ্জনের ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠার ইচ্ছা ছিল ছোটোবেলা থেকেই। তাই মুখের বদলে নাক দিয়ে বাঁশি বাজাতে শুরু করে ছিলেন। আর এক সময় তাঁর শিল্প সাধনায় সফলতা আসে। নাক দিয়ে বিভিন্ন গানের সুর বাজাতে থাকেন। এমনকী বিভিন্ন রাগ রাগিণীও।

চিত্তরঞ্জনের কথায়, “ছোটোবেলা থেকেই অভাবের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। অভাবের তাড়নায় ও দেশ থেকে এ দেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। এখানে এসে নানা রকমের কাজ করলেও বাঁশির প্রতি টান ছিল বরাবর। তাই নাক দিয়ে বাঁশি বাজানো শুরু করে ছিলাম। পরে বিভিন্ন লোকসংগীত শিল্পী ও লোকগানের দলের সঙ্গে বাঁশি বাজাচ্ছিলাম। কিন্তু তাও বন্ধ হয়ে গিয়ে এখন চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছি”।
চিওরঞ্জনের মতো এমন শিল্পী যোগ্য সম্মান পান, এটাই চায় নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও তাঁর পরিবার।
আরও পড়তে পারেন:
পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ ছ’শোর নীচে, ১১ জেলায় নতুন আক্রান্ত এক সংখ্যায়
সুখবর! জিএসটি করদাতাদের ঝক্কি কমাল কেন্দ্র
যুগান্তকারী জোড়া উদ্যোগ! ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত পাবে প্রথম মহাকাশ স্টেশন, ২০২৩-এ পাঠানো হবে গগনযান
ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বড়ো খবর, ৬০০ জনকে নিয়োগ করবে টেক মাহিন্দ্রার ফার্ম
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।