প্রতিষ্ঠিত দোকানে ক্রেতাদের ঢোকার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। তাতে বলা হয়েছে, হেলমেট, টুপি বা মাস্ক পরে দোকানে বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঢোকা যাবে না। বারাকপুর ছাড়াও নৈহাটি, কাঁচরাপাড়়া সর্বত্রই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে সেই নোটিস দোকানে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্যাংস্টার সুবোধ সিংহের আতঙ্ক। সে কারণেই কমিশনানেরেট পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু সোনার দোকান নয়, ব্যারাকপুর জুড়ে বড় বড় রেস্তরাঁ, সোনার শো-রুম রয়েছে। নামী বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। সেই সব প্রতিষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ করেছে কমিশনারেট। ইতিমধ্যেই বারাকপুর কমিশনারেট এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কোনও ক্রেতা খোলা মাথায় দোকানে ঢুকলে তাকে সহজে চিহ্নিত করা যাবে। ফলে, কমিশনারেটের পক্ষ থেকে নজরদারিতে সুবিধা হবে।
সম্প্রতি, দক্ষিণেশ্বরের একটি হোটেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিহারের দু’জন দুষ্কৃতীকে গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে। ব্যারাকপুরের একটি খাবারের দোকানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। তাতে বোঝা যায়, বিহারের অন্য গ্যাংস্টারদের নজর রয়েছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের দিকে। তাই নজরদারি খামতি রাখতে চাইছেন না পুলিস কর্তারা।
এদিকে, বারাকপুরের বিরিয়ানি দোকানের মালিককে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সুবোধ সিংকে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়েছে মোহনপুর পুলিস। এছাড়া মঙ্গলবার সুবোধ সিং ও রোশন যাদবের কণ্ঠস্বরের নমুনা আদালতেই সংগ্রহ করা হয়। সুবোধের আইনজীবী কমলজিৎ সিং বলেন, ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করার পর মোহনপুর থানা তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিকেলে মোহনপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসিমুখে সুবোধ জানায়, সে কিছুই জানে না, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সব ফালতু কথা। এদিনও তাকে হেলমেট পরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল, আবার হেলমেট পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝাঁ জানান, ব্যবসায়ীকে হুমকির ঘটনায় সুবোধের যোগ পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।