দঃ ২৪ পরগনা
ক্যানিং-জয়নগর সেতু চালু হয়েও সমস্যায় স্থানীয় মানুষ
২০১০ সালে তৎকালীন বামফন্ট সরকারের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সেতুটির।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ক্যানিং ও জয়নগরের সংযোগকারী সেতু চালু হয়েও সমস্যা মিটল না স্থানীয় মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এটি চালু হওয়ার পরেও কয়েক হাজার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিদিন। জয়নগর-১ ব্লক ও ক্যানিং-১ ব্লকের সীমানায় পিয়ালি নদীর তীরে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ধোসা সেতুর কাজ শুরু হয়ে ছিল ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি। তৎকালীন বামফন্ট সরকারের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সেতুটির। তাঁর পরে দীর্ঘ কয়েক বছর লাগে এই সেতুর কাজ শেষ হতে।
এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁরা খুব কম সময়ে ক্যানিং থানা ও জয়নগর থানা এলাকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু সেতুটির যাতায়াতের রাস্তা সম্পূর্ণ না হওয়ার ফলে গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, খাড়াই রাস্তা দিয়ে উঠতে গিয়ে আমাদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই দিকে দৃষ্টি নেই প্রশাসনের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান নন্দকিশোর সরদার বলেন, “এই সেতু চালু হয়েও সম্পূর্ণ না হওয়ায় আমাদেরকে সব সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেমন, ক্যানিং থানার অন্তর্গত হাট পুকুরিয়া, দাঁড়িয়া বা জয়নগর থানার তিলপি, ঢোষা, শ্যামনগর-সহ আশেপাশের সব জায়গায় যেতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে সেতুটি যাতে ভালো ভাবে তাড়াতাড়ি চালু হয় সে জন্য প্রশাসনিক স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি”।

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম মন্ডল, সাবুর আলি, আতিয়ার রহমান মোল্লা, কুতুবউদ্দিন মোল্লা -সহ কয়েক জন গ্রামবাসী জানালেন, “এই সেতু চালু হলে আমরা খুব কম সময়ে জয়নগর ও ক্যানিং থানা এলাকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারব”।
জয়নগর-১ ব্লকের ধোসা চন্দনেশ্বর নবীনচাঁদ হাইস্কুলের কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী বলেন, “এই ধোসা সেতু চালু হলে ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে-আসতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়”। দ্রুত সম্পূর্ণ ভাবে সেতু চালু করার দাবি তুলছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জয়নগর-১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, “ওই সেতুটি যাতে দ্রুত সম্পর্ণ রূপে চালু করা যায় সে ভাবে ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি”।
আরও পড়তে পারেন: কৃষকদের সমর্থনে কংগ্রেসের মিছিলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, উত্তপ্ত ভোপাল
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখে চমক এসইউসি-র
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেল এসইউসি। জয়নগর ও কুলতলিতে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল এসইউসি।
ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কুলতলি ও জয়নগর এলাকায় এসইউসির প্রার্থীর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেল। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসইউসি সবার আগে প্রার্থীর নাম লেখা দেওয়াল লিখে এগিয়ে গেলো জয়নগর ও কুলতলিতে।
জয়নগর ও কুলতলি দীর্ঘ দিন এসইউসির দখলে ছিল। বর্তমানে জয়নগর তৃণমূলের হাতে ও কুলতলিতে সিপিএম বিধায়ক। কুলতলির বিভিন্ন এলাকায় রবিবার ঘুরে এসইউসির দেওয়াল লিখন চোখে পড়ল। প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কেন দেওয়াল লিখন হল সে ব্যাপারে দলের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। শোনা যাচ্ছে, তালিকায় বেশ কিছু তারকার পাশাপাশি নাম থাকতে পারে প্রাক্তন কয়েক জন আমলার। আবার কলকাতা পুরসভার কয়েক জন বিদায়ী কাউন্সিলারের নাম থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবিতে এসইউসির বিক্ষোভ জয়নগরে
দঃ ২৪ পরগনা
পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ, ভোট বয়কটের ডাক
ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে। পর দিন পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এ বার পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের পথে গ্রামবাসী।
ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মাতলা-১ ও ২, দিঘিরপাড়, গোপালপুর, ইটখোলা-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে দীর্ঘ এক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গরম পড়ার আগে থেকেই সুন্দরবনের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নীচে নেমে যাওয়ার ফলে গভীর পানীয় জলের নলকূপগুলিতে জল ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পানীয় জলের নলকূপ আছে, কিন্তু সেই নলকূপে পানীয় জল উঠছে না বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদ স্তরের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পানীয় জলের দাবিতে কয়েকশো গ্রামবাসী ক্যানিং হেড়োভাঙা সড়ক পথের যামিনীর মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। যার জেরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিক্ষোভ তুলে দেয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, বার বার বলা হলেও আজ পর্যন্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জলের সরবরাহ গড়ে ওঠেনি এখানে। নলকূপের পানীয় জলের উপর আমরা নির্ভরশীল। আর সেই পানীয় জলের নলকূপে প্রায় এক মাস ধরে জল উঠছে না। যাঁদের টাকা আছে তারা জল কিনে খাচ্ছেন। আর গরিব মানুষ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদের ব্যর্থতায় আজ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের সাপ্লাই গড়ে ওঠেনি।
এ দিকে মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক মাস ধরে নলকূপে পানীয় জল নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে সব কিছু জেনেশুনে।
ক্যানিং-১ ব্লকের বিজেপির নেতা মৃণাল মণ্ডল বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির প্রধান, উপ প্রধান,পঞ্চায়েত সদস্যরা অপদার্থ। তাঁরা কাটমানি নিয়ে ব্যস্ত। তাই আজ পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তাঁদের চিন্তা নেই”।
মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান উত্তম দাস বলেন, “পৃথিবী জুড়ে পানীয় জলের সমস্যা আছে। তবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে”।
এ দিকে ক্যানিং পশ্চিম, বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রেও পানীয় জল নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
আরও পড়তে পারেন: বিধানসভা নির্বাচন ২০২১: জানুন আপনার কেন্দ্রে কবে ভোট
দঃ ২৪ পরগনা
‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ বার প্রকাশ্যে। কুলতলিতে ‘ভূমিপুত্র’কে প্রার্থী দাবি করে পড়ল ব্যানার। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। কুলতলির জামতলা, মৈপীঠ, বৈকুণ্ঠপুর, জালাবেড়িয়া-সহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ঝুলিয়ে দাবি করা হয়েছে কুলতলি বিধানসভায় ভূমিপুত্রকে যেন প্রার্থী করা হয়।
ব্যানারে ‘কুলতলি বিজেপি পরিবারের সদস্য’দের থেকে এই কথা জানানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এর জেরে নিজেদের ঘর গোছানোর আগে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পূর্বের বিজেপি নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বলেন, কুলতলিতে পুরানো বিজেপি কর্মী উত্তম হালদার নয়তো জয়নগর লোকসভার প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী ডা. অশোক কাণ্ডারিকে যেন প্রার্থী করা হয়। দলবদলুদের প্রার্থী করা হলে অনেকেই বঞ্চিত হবেন।
কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি

যদিও নিজেদের গোষ্ঠীদন্ধের কথা অস্বীকার করেই জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “দলে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ভুল প্রচার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে”।
এই প্রসঙ্গে কুলতলি যুব তৃণমূলের সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন, নিজেদের মধ্যেই এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রার্থীপদ নিয়েই নির্বাচনের আগে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে বিজেপিতে।
মঙ্গলবার কুলতলির জালাবেড়িয়ার শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাতে বাইরের জায়গা থেকে লোক এনে জমায়েতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুলতলি যুব তৃণমূল সভাপতির।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপিতে যোগ দিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের