উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: সমুদ্র তীরবর্তী হেনরি আইল্যান্ডে বহু ভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হয় সরকারি সহযোগিতায়। সে রকমই একটি কোবিয়া প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়েছে এখানে গত পাঁচ বছর ধরে।
এই মাছটি অনেকটা গাঙশোলের মতো দেখতে। ২৭ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রা এই মাছের পক্ষে ভালো। হেনরি আইল্যান্ডের প্রজেক্ট অফিসার সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানালেন, কেরলের রাজীব গান্ধী কৃষি বিকাশ যোজনা ও সেন্ট্রাল মেরিন ফিশারিস থেকে এই মাছের মীন আনা হয়েছিল। এই মাছের মীন ফাল্গুন মাসে ছাড়া হয়। আমাদের এই আইল্যান্ডে পরীক্ষামূলক ভাবে ২০১৭ সালের ২৪ মে প্রথম এই মাছ চাষ শুরু করা হয়। এখানে ফেলার সময় এই মাছের ওজন ছিল ১০ গ্রাম। এক মাসে এই মাছ বেড়ে ২০০ গ্রাম হয়েছে ও ৬ মাসে ৩ কেজি।
এক পরীক্ষায় দেখা গেছে,১২ মাসে ৫ কেজির বেশি ওজন হয়েছে। এই মাছ গভীর সুমুদ্রের মাছ। এই মাছ এখানে চাষ করে সফল হওয়ার পর থেকে আর সে ভাবে এই মাছ চাষ করা হচ্ছে না বলে হেনরি আইল্যান্ডের এক আধিকারিক জানালেন। অথচ এই মাছের আমাদের রাজ্যে বাজার মূল্য ৩০০-৪০০ টাকা কেজি। বিদেশের বাজারে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দাম আছে। সরকারি ভাবে চাষিদের এই মাছের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষ করাতে পারলে বাংলার চাষিদের মুখে হাসি ফুটতে পারে।
কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে এই মাছ চাষে সরকারি উদ্য়োগ সে ভাবে না থাকার ফলে এই মাছ চাষ বন্ধ হয়ে আছে রাজ্যে। এই মাছ চাষে ০.৫ হেক্টর জায়গাতে ৭৫০ পিস করে কোবিয়া মাছের চাষ করা যায়। তবে এই মাছ চাষ করতে হলে জলের গভীরতা ৫ ফুটের উপর থাকতে হবে। জলের স্বচ্ছতা ৪৫ সেমি থাকতে হবে। জলের পিএইচের মাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
এই মাছকে গ্রোয়েল বহু জাতিক কোম্পানির ৪৫ শতাংশ যুক্ত প্রোটিন খাবার নিয়মিত দেওয়ার ফলে মাছের বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়। তবে কোবিয়া মাছের চাষে সরকার একটু এগিয়ে আসলে রাজ্যের মাছের ভাঁড়ার পূর্ণ হতে পারে।
আরও পড়তে পারেন:
আইসিএসই-র দশম শ্রেণির ফল প্রকাশিত, পাসের হার ৯৯.৯৭ শতাংশ
উপরাষ্ট্রপতি পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী, এই একটি বিষয়ে দারুণ মিল জগদীপ ধনকর এবং মার্গারেট আলভার
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার্গারেট আলভাকে প্রার্থী করল বিরোধীরা
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।