দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকা সোমবার রাতে পর পর বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে। বিকট শব্দের কিছু ক্ষণ পরেই দেখা যায় লেলিহান শিখায় জ্বলছে একটি বাড়ি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বাড়ির ভিতরে থাকা পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এরপরেই দেখতে পান, একটি বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আবারও কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গ্রামবাসীরা নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী।
মৃত্যুর আশঙ্কা ও সম্ভাব্য কারণ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ জনের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বাড়িটিতে বাজি মজুত করা ছিল। বাসন্তী পুজো উপলক্ষে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল এবং সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। আবার অনেকে মনে করছেন, রান্নার সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা জানিয়েছেন, ‘‘বাজি তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এখনও বাড়ির ভিতরে আরও কিছুজন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’’
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ আপাতত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। আগুন নেভানোর কাজ চলছে। উদ্ধারকাজও সমান তালে এগোচ্ছে। আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে। তবে বাড়িটির ভিতরে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
উদ্ধারকাজ ও তদন্ত
আগুন সম্পূর্ণ নেভার পরই পুলিশের পক্ষ থেকে ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করবে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এবং বিস্ফোরণের উৎস নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।