দঃ ২৪ পরগনা
সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ রোপণে এ বার পরিবেশ-বান্ধব ‘জিও-জুট’ পদ্ধতি
পরিবেশ-বান্ধব এই পদ্ধতি সুন্দরবনে প্রথম।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ শুরু করেছে। আর সেই ক্ষেত্রে দ্রুত ম্যানগ্রোভ রোপণে সাফল্যে এনে দিয়েছে ‘জিয়ো-জুট’ পদ্ধতি।
পরিবেশ -বান্ধব এই পদ্ধতি সুন্দরবনে এই প্রথম। এত দিন ম্যানগ্রোভ চারাগাছ তৈরি করতে প্লাস্টিকের ঠোঙা ব্যবহার করা হচ্ছিল। তাতে চারার বৃদ্ধি কম ঘটছিল। এ বার চটের তৈরি প্যাকেট (জিয়ো-জুট) ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। অল্পদিনেই গাছের বৃদ্ধি ঘটেছে দ্বিগুণ।
এই সাফল্যে বেজায় খুশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এত দিন প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে এমনিতেই সুন্দরবন দূষিত হচ্ছিল। প্রাকৃতিক ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখে ‘জিয়ো-জুটে’র মাধ্যমে নদী বাঁধের চরে চলতি বছরে ম্যানগ্রোভ চারা তৈরির কাজ করানো হয়েছে ‘জিয়ো-জুটে’র সাহায্যে। আর তাতেই সাফল্য পাওয়া গেছে অভাবনীয়।
পরিবেশবিদদের মতে, চটের প্যাকেটে তৈরি করা চারা সরাসরি তুলে চট-সহ বসিয়ে দিতে হবে। পরে চট পচে গিয়ে গাছের সার হিসাবেও ব্যবহার হবে। তাতে গাছ ও স্বাস্থ্যকর হবে এবং দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে।
‘জিয়ো-জুটের’ প্রসঙ্গে জেলারইজিএ’র দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সুন্দরবনে এই প্রথম পরীক্ষা মূলক ভাবে ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি গ্রিন নার্সারি (জিয়ো-জুট) ব্যবহার করে ম্যানগ্রোভ নার্সারি করানো হয়েছে। এতে আমরা একশো শতাংশ সফল হয়েছি”।
তাঁর মতে, আগে প্ল্যাস্টিক পটে চারা তৈরি করা হতো। রোপণযোগ্য চারা তৈরি করতে সময় লাগত প্রায় ছ’মাস। জিয়ো-জুটে তৈরি চারা এক মাসের রোপণের উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে। এই চারা বেশ সুস্থ সবল। তা ছাড়া বৃদ্ধিও ভালো।
আরও পড়তে পারেন: উম্পুন কেড়েছে পাখির আশ্রয়, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভে কৃত্রিম বাসা তৈরি করছে সরকার
সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের নিকারী ঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাতলা নদীর চরে, গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া ও ছোট মোল্লাখালিতে এই ‘জিয়ো-জুট’ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই চারগাছ তৈরির কাজ চালাচ্ছেন। এতে এক দিকে যেমন পরিবেশের দূষণ কমছে, অন্য দিকে সুন্দরবনের মহিলাদের কর্মসংস্থানও হচ্ছে।
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই বিদায়ী বিধায়কের নামে দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য জয়নগরে
কর্মীরা উৎসাহে লিখে ফেলেছেন, মুখে ফেলতে বললেন বিধায়ক!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। আর তারই মাঝে জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় তৃনমূল প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নামে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিলেন তৃণমূলকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে জয়নগর বিধানসভার ময়দা, চণ্ডীপুর, মনিরতট, মায়াহাউড়ি, গড়দেওয়ানি-সহ বহু এলাকার দেওয়ালে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নাম জ্বল জ্বল করছে। আর তাই নিয়েই চরম অস্বস্থিতে পড়েছে জয়নগরের বিদায়ী বিধায়ক।
তিনি এ ব্যাপারে বলেন, “প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কখনো দেওয়াল লিখন করা যায় না। তবে কিছু উৎসাহী কর্মীরা অতি উৎসাহে এ সব কাজ করেছে। আমি তাদেরকে বলেছি আমার নাম লেখা দেওয়ালগুলো এখন মুছে ফেলতে। প্রার্থী ঘোষণার পরে দেওয়াল লিখন করতে বলেছি”।
আরও পড়তে পারেন: বামেদের প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারে একাধিক চমক
দঃ ২৪ পরগনা
বালি দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যে রাজ্য সরকারের এক গুচ্ছ প্রকল্প, আগে দেখেছেন?
স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য কর্মসূচিকে সামনে রেখে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি ভাস্কর্য।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাসাগর: ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। চলছে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগরের বেলা ভূমিতে এরই মাঝে ফুটে উঠল রাজ্যের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ভাস্কর্য-রূপ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য পেতে গঙ্গাসাগরে ইতিমধ্যে যজ্ঞ করেছেন সাগরের বিধায়ক। আর এ বার গঙ্গাসাগরের বেলা ভূমিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য কর্মসূচিকে সামনে রেখে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি ভাস্কর্য।

শিল্পী দেবতোষ দাস এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় যাতে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন, সোমবার তাই সকাল ৬টা থেকে বালি দিয়ে এই কাজ শুরু করি এবং তা শেষ করি দুপুর ২টোয়”।
সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এক হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন শিল্পীকে।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১২৫ জন ব্রাহ্মণ ও ২৫ জন বৈষ্ণব নিয়ে যজ্ঞ হয় সাগরে। মা মাটি মানুষের সরকারের মঙ্গল কামনায় এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীপদে নির্বাচিত করার লক্ষ্যেই ওই যজ্ঞ বলে জানান বিধায়ক।
আরও পড়তে পারেন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে সাগরে মহাযজ্ঞ করলেন বিধায়ক
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখে চমক এসইউসি-র
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেল এসইউসি। জয়নগর ও কুলতলিতে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল এসইউসি।
ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কুলতলি ও জয়নগর এলাকায় এসইউসির প্রার্থীর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেল। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসইউসি সবার আগে প্রার্থীর নাম লেখা দেওয়াল লিখে এগিয়ে গেলো জয়নগর ও কুলতলিতে।
জয়নগর ও কুলতলি দীর্ঘ দিন এসইউসির দখলে ছিল। বর্তমানে জয়নগর তৃণমূলের হাতে ও কুলতলিতে সিপিএম বিধায়ক। কুলতলির বিভিন্ন এলাকায় রবিবার ঘুরে এসইউসির দেওয়াল লিখন চোখে পড়ল। প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কেন দেওয়াল লিখন হল সে ব্যাপারে দলের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। শোনা যাচ্ছে, তালিকায় বেশ কিছু তারকার পাশাপাশি নাম থাকতে পারে প্রাক্তন কয়েক জন আমলার। আবার কলকাতা পুরসভার কয়েক জন বিদায়ী কাউন্সিলারের নাম থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবিতে এসইউসির বিক্ষোভ জয়নগরে