আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা, যেখানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী সমবেত হবেন। মেলার পরিবহণ ব্যবস্থাকে মসৃণ এবং নিরাপদ করতে এবার রাজ্য সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাস, ভেসেল এবং লঞ্চে জিপিএস ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ইসরোর প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু থাকবে, যা ইন্টারনেট বা জিপিএস সমস্যার সময়ও কাজ করবে।
মুড়িগঙ্গা নদীর সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ
গঙ্গাসাগর মেলায় যাতায়াতের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমার কারণে ভাটার সময় ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকা। এবার এই সমস্যা সমাধানে নিয়মিত পলি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। যাত্রী পরিবহণের জন্য ৮টি বড় বার্জ চালু করা হচ্ছে, যা প্রতিবার আড়াই হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে।
জিপিএস এবং আধুনিক দিক নির্দেশকের ব্যবহার
কুয়াশার সময় ভেসেলগুলি পথ হারানোর সমস্যার সমাধানে এবার ভেসেলে জিপিএস বসানো হচ্ছে। এটি মেলার মেগা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। পাশাপাশি, বিমানবন্দরের মতো আধুনিক দিক নির্দেশকের আলো বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নজরদারি বাড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার নৌসেনাকে ড্রোন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো মেলার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
নিরাপত্তায় ইসরোর প্রযুক্তি
ইসরোর স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরিবহণ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত থাকে, সেজন্য ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।”
জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ পুণ্যার্থীদের যাত্রাকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করবে। পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, সর্বত্রই প্রযুক্তির ব্যবহারে গঙ্গাসাগর মেলা এবার আরও আধুনিক রূপে সজ্জিত।