উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: তিন জেলার কৃষকদের নিয়ে নতুন পদ্ধতিতে চাষের কাজের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ শিবির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে।
বুধবার থেকে এই শিবির শুরু হয়, শেষ হবে শুক্রবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া- এই তিন জেলার ৩৫ জন কৃষকদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলছে নিমপীঠে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া চাষিদের কথা মাথায় রেখে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে ইফকো সার কোম্পানির সহায়তায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির চাষবাসের উপর এই প্রশিক্ষণ শিবির।
তিনদিনের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সদানন্দজী মহারাজ, নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. চন্দনকুমার মণ্ডল, কৃষি বিজ্ঞানী ড. প্রবীরকুমার গরাই, কৃষি বিজ্ঞানী ড. দীপককুমার রায়, ইফকোর কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসএমএম ড. প্রকাশ দত্ত, ইফকোর অতিরিক্ত ফিল্ড ম্যানেজার রীতেশকুমার ঝা, দেবাশিস দত্ত-সহ আরো অনেকে।
মাটির স্বাস্থ্য কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবে এবং কৃষকরা যাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে চাষবাস করে যেতে পারে বিশেষ করে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম করে নতুন প্রযুক্তির জৈব সার ব্যবহার করার প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয় । তাছাড়া মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুরক্ষা রাখতে কী করণীয় তা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি ফলন যাতে ঠিকঠাক হয় সেই কথা মাথায় রেখে এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
বেশির ভাগ সময় দেখা গিয়েছে চাষবাসের ক্ষেত্রে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কৃষকরা তাঁদের প্রয়োজনের থেকে বেশি ব্যবহার করছেন, যাতে পরিবেশে ও মাটির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাই সেই কারণে কীটনাশক বা রাসায়নিক সার থেকে বেরিয়ে এসে জৈব সার ব্যবহারের প্রতি জোর দেওয়া হয়।
পাশাপাশি জৈব সার, জৈব কীটনাশক তৈরি এবং তার ব্যবহার প্রশিক্ষণের মধ্যেই রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি হল কিসান ড্রোনের ব্যবহারের মাধ্যমে ন্যানো ফার্টিলাইজার, ওয়াটার সলিউশন ফার্টিলাইজার। এই সমস্ত ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আর এই শিবিরে অংশ নিয়ে খুশি তিন জেলার কৃষকেরা।