দঃ ২৪ পরগনা
কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ‘হরি বোল’, এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি
জয়নগরে ‘হরি বোল’-এ মজলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: রাজ্য সরকার বাংলার মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে বলে জোরালো অভিযোগ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)।
এ দিন মঙ্গলবার দুপুরে জয়নগর থানার বহড়ু হাইস্কুলের মাঠে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে কীর্তন শিল্পীরা স্বাগত জানান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাকে। কীর্তনও করেন তিনি। ‘হরি বোল’-এ মেতে ওঠেন কৈলাস।
ভিড়ে ঠাসা সভায় দর্শকদের সামনে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “রাজ্য সরকারের অহংকারে আজ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মমতার সরকারের জন্য আজ বাংলার কৃষক, লোকশিল্পী থেকে শুরু করে উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দুর্দাশায় ভুগছে। রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় বাংলার লোক শিল্পীরা আজ পেনশন থেকে বঞ্চিত। মোদী সরকার তবুও ১২০০ জন বয়স্ক শিল্পীকে পেনশনের ব্যবস্থা করেছে। রাজ্য আমরা ক্ষমতায় এলে সব বয়স্ক শিল্পীরা এই পেনশন পাবেন। কেন্দ্রকে মমতার সরকার কোনো কৃষকের তালিকা দিচ্ছে না। ১০ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। তালিকা পেলেই তাদের কাছে টাকা পৌঁছে যাবে”।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শিল্পী সংসদ আয়োজিত এক শিল্পী সমাবেশের অনুষ্ঠানে এসে তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো নিজেদের নাম করে চালিয়ে দিচ্ছে মমতার সরকার। উম্পুৱে এক হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে এখনো রাজ্য সরকার তার হিসাব দিতে পারেনি। সারা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি নারীদের প্রতি অত্যাচার, ধর্ষণের মতন ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবঙ্গে। এখনও সময় আছে, আমাদের একবার রাজ্যে আনুন”।
এ দিন এই সমাবেশে বাউল, ঝুমুর, লোকনৃত্য, গাজন,পল্লিগীতি,ঢোল, কীর্তন-সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে কৈলাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সংসদের সর্বভারতীয় সম্পাদক ও সাংসদ সিদ্ধার্থশেখর নস্কর, ডা. অশোক কান্ডারি, সুকদেব প্রামানিক-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়তে পারেন: খেজুরি থেকে ‘এক সঙ্গে ভালো থাকা’র বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
দঃ ২৪ পরগনা
করোনা, উম্পুন যাঁর ১২ বছরের দায়িত্বপালনে ছেদ ফেলতে পারেনি
কোভিডরোগীদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনতে গিয়ে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেরে উঠে ফের কাজে মনোনিবেশ করেছেন সুপর্ণা।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: মানুষের সেবায় সুন্দরবনে নিরলস সেবা করে চলেছেন একটি মেয়ে। করোনা সময়কাল হোক বা উম্পুন কবলিত এলাকা, সব কিছু ভুলে গিয়ে মানুষের পাশে থেকে সর্বক্ষণ স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছেন প্রথম সারির করোনাযোদ্ধা সুপর্ণা কন্ট।
কলকাতা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার পথে নিত্য যাতায়াত করে কুলতলি ব্লক জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে ১২ বছর ধরে কর্তব্য পালন করছেন বেহালার তরুণী সুপর্ণা। ১২ বছর ধরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করছেন। লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকে সুপর্ণা জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে খুব ভালোবাসেন। কারণ কাজের প্রতি ওঁর আছে দায়বদ্ধতা। কোভিডরোগীদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনতে গিয়ে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেরে উঠে ফের কাজে মনোনিবেশ করেছেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোসিওলজিতে স্নাতকোত্তর করার পর স্বাস্থ্য দফতরের এই চাকরিটা পেয়ে গিয়েছিলেন সুপর্ণা। কিন্তু গতানুগতিক চাকরি করার পথ থেকে গোড়াতেই সরে এসেছেন সুপর্ণা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে নাবালক ও নাবালিকাদের জীবনের সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে দেওয়ার কাজটি করতে করতে সুপর্ণা দরিদ্র গ্রামীণ মানুষের জীবন কাছ থেকে দেখছেন। জানালেন, ২০১৯ ও ২০২০ সালে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বদলির আদেশ আটকে গিয়েছে মানুষের প্রতিবাদে। ছোটোরা প্ল্যাকার্ড হাতে বদলির প্রতিবাদ জানিয়েছিল।

কুলতলি ব্লকের জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার। সুপর্ণা জানালেন, এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কিশোর-কিশোরী। এদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। নানা রকম সমস্যা আছে। যেমন নাবালিকা বিবাহ,নাবালিকা পাচার, কৈশোরেই নেশার ফাঁদে পড়া কিশোর,কিশোরী-সহ জীবনের রুক্ষতার জেরে বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভুগছে অনেকেই। এদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরানোর কাজটা সুপর্ণার কাছে চ্যালেঞ্জের।
এই কাজে সহযোগী জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য গ্রুপ কাউন্সেলিং করেন সুপর্ণা। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে দু’ দিন কুলতলি ব্লকের স্কুলগুলিতে যান। পড়ুয়াদের খবর নেন। সুপর্ণা ওদের সবার দিদি। মনের কথা ওরাও অসংকোচে খুলে বলে ‘দিদি’র কাছে।
আরও পড়তে পারেন: বার্ড ফ্লু: ভারতের ডিম, মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ
দঃ ২৪ পরগনা
টিকা নিয়ে খুশি চিকিৎসক, নার্স-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা
জেলার পাঁচটি মহকুমায় জেলার স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা টিকা পেলেন এ দিন।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় শনিবার দেশ জুড়ে শুরু হল করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাঁচটি মহকুমায় জেলার স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা টিকা পেলেন এ দিন।
এ দিন সকালে জেলার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল, বারুইপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বাসন্তী ১১ নম্বর সাব-সেন্টার, জয়নগর রুরাল হাসপাতাল, জয়নগর নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল, সোনারপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, মহেশতলা পুরসভার মোল্লারগেট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সরিষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ফলতা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বানেশ্বরপুর রুরাল হাসপাতাল, মগরাহাট রুরাল হাসপাতাল, মথুরাপুর রুরাল হাসপাতাল, সাগর রুরাল হাসপাতাল ও ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এই কর্মসূচি পালন করা হল।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানালেন, টিকার দু’টি ডোজ নিতে হবে, প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে সকলকে। এ দিন টিকাকরনের মুহূর্তে সাগর রুরাল হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি উলগানাথন, সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেবাশিস রায়-সহ আরও অনেকে।
নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। জেলাশাসক পি উলগানাথন এ দিন বলেন, প্রথম সারিতে থাকা ১০০ জনকে এ দিন করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হল। ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ও শেষ ডোজ দেওয়া হবে। প্রথমে ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হল। পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দেওয়া হবে। এ দিন এই টিকা নিয়ে খুশি চিকিৎসক,নার্স-সহ প্রথম সারিতে থাকা করোনাযোদ্ধারা।
আরও পড়তে পারেন: প্রয়োজনে সংস্থার কাছ থেকে কিনে প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকার আশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দঃ ২৪ পরগনা
সুন্দরবনের গদখালিতে ডুবে গেল লঞ্চ, নিরাপদে পর্যটকরা
বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি কোনোভাবে তোলা যায়নি ডুবে যাওয়া পর্যটকদের সেই বোটটিকে।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: আবারও সুন্দরবনের লঞ্চে দুর্ঘটনা। এ বার সুন্দরবনের গদখালিতে ডুবে গেল পর্যটকদের লঞ্চ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, বুধবার রাতে একটি পর্যটক বোঝাই লঞ্চ জেটিঘাটে গিয়ে ধাক্কা মারলে লঞ্চটিতে ফাটল ধরে জল ঢুকে ডুবে যায়। তবে সমস্ত পর্যটকদের উদ্ধার করে আশপাশের নৌকার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের উপকূল থানার গদখালি জেটিঘাট এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে ২২ জনের পর্যটকের দল বুধবার সকালে সুন্দরবন ভ্রমণে যায়। লঞ্চে করে গদখালি জেটিঘাট থেকে। লঞ্চটি পর্যটকদের জল পথে ঘুরিয়ে রাতে গদখালি জেটিঘাট ফিরিয়ে আনে। লঞ্চটি জেটিঘাটে নোঙর করার সময় সজোরে জেটিঘাটে ধাক্কা মারে। আর তার ফলে ফাটল দিয়ে নোনা জল ঢুকে যায়। আর নোনা জল ঢুকে লঞ্চটি ডুবে যায়।
আতঙ্কে পর্যটকরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ এই ঘটনা দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে পর্যটকদের উদ্ধার করেন। পর্যটকরা সুরক্ষিত ভাবে ঘাটে পৌঁছান।
এর আগে এই সুন্দরবনের ঘটে গিয়েছিল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যার ফলে পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল একটি পর্যটকবাহী লঞ্চ। আর আজ এই ঘটনায় এক প্রকার আতঙ্কিত সুন্দরবনের পর্যটকরা।
এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে সুন্দরবন উপকূল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কী ভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি কোনোভাবে তোলা যায়নি ডুবে যাওয়া পর্যটকদের সেই বোটটিকে। বার বার দুর্ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত পর্যটকরা।
আরও পড়তে পারেন: পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মেথি?