উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: দানার দাপটের আগেই সুন্দরবনে হাজির কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার রাতেই প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ছেলে সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার বাড়ি থেকে সোজা রায়দীঘির কুমড়োপাড়ার বাড়িতে গিয়ে হাজির হন।
আয়লা, আমফান, ফণী, ইয়াস, রেমালের মতো বহু ঝড়-ঝাপ্টা সামলেছে সুন্দরবন। এখানকার মানুষ যেমন ঝড়কে চেনে, তেমনি চেনে তাদের কান্তিকেও। আর সেই চেনা একই ছবি। এ বারও ঘূর্ণিঝড়ের আগেই কান্তি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকা রায়দিঘিতে।
বৃহস্পতিবার সারাদিন তিনি রায়দিঘির কুমোড়পাড়া-সহ আশে পাশের নদী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। এমনকী তাঁর কুমড়োপাড়ার বাড়ির পাশে স্কুলে অন্যবারের মতন এ বারেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি এ দিন ঘুরে দেখলেন নদী বাঁধ এলাকা। প্রান্তিক মানুষের কষ্টের কথাও শুনলেন। ঝড়ের সতর্কতা হিসেবে পরামর্শও দিলেন। বাম আমলে তিনি ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তবে বর্তমানে মন্ত্রী বা বিধায়ক পদেও নেই।আগের মতো সামর্থ্যও আর নেই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীরও ভেঙেছে। তবু বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কোনও কিছুই ভাবেন না।
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “প্রশাসন কোনো যোগাযোগ করেনি। করবেও না। তবে প্রতিবার আমি থাকি। যদি রাতে ঝড় আসে। আর পুবের হাওয়া হয় তাহলে নদী বাঁধ টপকে জল ঢুকবে। বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকা”।
তিনি এ দিন এও বলেন, বাঁধের কাজ সেচ দফতর তো করে। ১০০ দিনের কাজে নদী বাঁধে মাটি দেওয়া হয়। গত চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মাটি দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে এলাকায় বাম নেতৃত্বের সেই দাপট আর নেই। তবে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আজও সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে গিয়েছেন। তাই তো কখনো নিজের তাগিদে, কখনো বা ডাক পেয়ে বিপন্ন মানুষদের কাছে ছুটে গিয়েছেন। ‘শীত গ্রীষ্ম বর্ষা কান্তি এখনো ভরসা’ এটাই এলাকার মানুষের কাছে আজও জনপ্রিয়।
অন্য দিকে, এ দিন মথুরাপুরের সাংসদ নবাগত বাপি হালদারও রায়দীঘি ও সাগরের একাধিক নদী বাঁধের এলাকা পরিদর্শন করে কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।