উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাসাগর : এ বারে গঙ্গাসাগরে গিয়ে কপিলমুনি দর্শনের পাশাপাশি তারাপীঠের কালী মায়ের দর্শন মিলতে পারে পুণ্যার্থীদের।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুসন্ত থেকে শুরু করে পূণ্যার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে।
মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে পুণ্যস্নান এবং কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিনীতি রয়েছে বহু যুগ ধরে। সেই মোক্ষলাভের আশায় প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পুণ্যার্থীরা ভিড় জমায় গঙ্গাসাগরে।
মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে গঙ্গাসাগর হয়ে ওঠে যেন মিনি ভারতবর্ষ। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণে এলে এ বছর পুণ্যার্থীদের আশীর্বাদ এবং দর্শন দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তারাপীঠের মা কালী। তবে সত্যিকারের তারাপীঠ মন্দির গঙ্গাসাগরে উঠে আসেনি, গঙ্গাসাগর মন্দির প্রাঙ্গণে তারাপীঠের মা কালী রূপে পুণ্যার্থীদের দর্শন দিছেন নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ ঘাটের বাসিন্দা শান্তি গোস্বামী।
তিনি এ বছর তারাপীঠের মা কালীর বহুরূপী সাজে সেজে পুণ্যার্থীদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন। গঙ্গাসাগরে এসে তারাপীঠের মা কালীর দর্শন পেয়ে খুশি পুণ্যার্থীরা।
স্বরূপগঞ্জ ঘাটের বাসিন্দা শান্তি গোস্বামীকে ঘিরে রয়েছে পুণ্যার্থীরা, ছবি তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের।পুণ্যার্থীদের প্রণামীতে চলছে রুজিরুটি। এ বিষয়ে বহুরূপী শান্তি গোস্বামী বলেন, “আমি এলাকায় ছোট্ট একটি আশ্রম চালাই আর সেই আশ্রম চালানোর জন্য এই বহুরূপীর সাজ। বিভিন্ন মেলায় বহুরূপী সেজে যে যৎসামান্য প্রণামী পাই সেই প্রণামিতেই চলে আমাদের আশ্রম। আশ্রম চালানোর খরচ জোগাতে তারাপীঠের মাতারা রূপে সেজে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির পাদদেশে হাজির হয়েছি। গঙ্গাসাগর মেলার সময় পুণ্যার্থীদের প্রণামী উপার্জনেই চলবে আমার পরিবার”।
এ বিষয়ে গঙ্গাসাগরে আসা এক পুণ্যার্থী বলেন, “গঙ্গাসাগরে এসে কপিলমুনি দর্শনের পাশাপাশি তারাপীঠের মা কালীকে দর্শন পাবো এভাবে কোনোদিন ভাবিনি। আমাদের খুবই ভালো লাগছে। ওনার এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”