এ বারের গঙ্গাসাগরকে ‘স্বচ্ছ মেলা’ হিসাবে তুলে ধরতে খামতি রাখছে না প্রশাসন

0

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,গঙ্গাসাগর: আগেকার গঙ্গাসাগর আর এখনকার গঙ্গাসাগর, দু’টোর মধ্যে বিস্তর ফারাক।

আগে গঙ্গাসাগর যাতায়াত দুর্গম ছিল। আর এখন অতি সহজে কলকাতা বা অন্য রাজ্য থেকে সাগরে আসতে পারছেন মানুষ। স্থানীয় মানুষের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রীতিমতো ‘বিপ্লব’ ঘটে গিয়েছে। সাগরের উন্নয়নকে প্রসারিত করতে গঠন করা হয়েছে গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন বোর্ড। আর এই বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরার উদ্যোগে সাগরের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।

gangasagr
[প্রচার চলছে জোরকদমে]

এ বছর করোনা আবহকে সামনে রেখে একাধিক পরিষেবা চালু করা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলার কয়েকদিন আগে থেকেই। সাগরতটকে পরিষ্কার রাখতে ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে চলছে লাগাতার মাইকিং। দোকানদার দের কাছ থেকে প্লাস্টিক তুলে নিয়ে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ তুলে দেওয়া হচ্ছে। মেলা এলাকাকে পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত সাফাই অভিযান চালানো হচ্ছে।

পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে স্যানেটাইজ করা হচ্ছে কপিল মুনির মন্দির-সহ মেলা চত্বর। গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মিলন চৌধুরী বলেন, “সাগর এলাকাকে পরিষ্কার রাখতে ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে আমরা নিয়মিত প্রচার করছি। তা ছাড়া সাগরতট ও মন্দির এলাকা থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য চারটে গাড়ি ও প্রচুর স্বেচছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা এ বারের মেলাকে ‘স্বচ্ছ মেলা’ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছি”।

gangasagar
[২৪ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর মেলার মাঠ ও সাগর সৈকত পরিষ্কার করছেন প্রায় তিনশো সাফাইকর্মী]

করোনা আবহেই এ বারের গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। অন্যা বছরের তুলনায় এ বারের গঙ্গা সাগর মেলা কিছুটা আলাদা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই একাধিক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিস্তারিত পড়ুন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে-

করোনাকালে গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের

বিজ্ঞাপন