উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: এ বার ট্যাব দুর্নীতির হদিশ সাগরে। সাগরের একটি স্কুলের ৩১ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা তুলে নিল প্রতারকরা। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগর থানার পুলিশ।
অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলের ৩১ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্কুলের ১৬৬ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩১ জন ছাড়া বাকি প্রত্যেকেই ট্যাবের টাকা পেয়ে গেছে।
দেখা যায়, ৩১ ছাত্রছাত্রীর টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। মঙ্গলবার সাগর থানাতেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর তার পরেই তদন্তে নামে সাগর থানার পুলিশ।
এই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল বালা বলেন, “আমাদের স্কুলের ৩১ জন ছাত্রছাত্রীর টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকরা। সাগর থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের কাছে। সাগর থানার অভিযোগের ভিত্তিতে সুন্দরবন জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে”।
এই ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। অভিযোগ ওঠে,বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে সিএমএস হাই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্যত্র চলে গিয়েছে। এই বিষয়ে স্কুলের তরফে বর্ধমান সাইবার থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু হয়। আর সেখানে দেখা যায় স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ভিন রাজ্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার শাখার পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। এর পর অন্যান্য জেলা থেকেও একই অভিযোগ ওঠে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের নজরে পড়ে বিষয়টি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেন। এর পরই রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে নতুন করে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। আর এ দিকে দ্রুত এই ঘটনায় যুক্তদের চিহ্নিত করতে চায় প্রশাসন।