দঃ ২৪ পরগনা
নিজেরই মূর্তি গড়ে ফেললেন তৃণমূল বিধায়ক

খবর অনলাইনডেস্ক: তিনি যে কোনো দিন না কি খুন হয়ে যেতে পারেন। সেই আশঙ্কা থেকে নিজের মূর্তি গড়ে ফেললেন গোসাবার (Goshaba) তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। নিজের টাকাতেই কুমোরটুলির শিল্পীকে দিয়ে মূর্তি গরিয়েছেন তিনি।
জয়ন্তবাবুর দাবি, রাজনীতিতে আসা থেকেই তাঁকে নানা রকম ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। প্রথম দিকে আরএসপি, সিপিএম তাঁর শত্রু হলেও, এখন সেই জায়গাটি নিয়েছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের এক কয়েদির ফোনে আড়ি পেতে পুলিশ জানতে পারে, গোসাবার বিধায়ককে খুনের চক্রান্ত করা হচ্ছে। সে সময়ে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা পুলিশ। এই খবর পেয়ে জেলা পুলিশ জয়ন্তবাবুর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই কুমোরটুলিতে এক শিল্পীকে দিয়ে নিজের জীবদ্দশায় নিজেরই মূর্তি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন জয়ন্ত। মাসের পর মাস শিল্পীর কাছে গিয়ে ‘মডেল’ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেছেন জয়ন্ত। তিনি বলেন, ‘‘অন্তত সাত থেকে আট বার বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য কুমোরটুলিতে গিয়ে শিল্পীর সামনে বসেছিলাম।”
আরও পড়ুন করোনাভাইরাসের আতঙ্কে খালি করে দেওয়া হল ইনফোসিসের অফিস বাড়ি
অবশেষে দু’টি পূর্ণাবয়ব মূর্তি ও একটি আবক্ষ ফাইবারের মূর্তি তৈরি হয়েছে। কিছু দিন আগে সেই মূর্তি তিনটি বাসন্তীর বগুলাখালিতে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এখনও মূর্তি অবশ্য প্রতিষ্ঠা পায়নি। নিজের বাড়িতেই রেখেছেন জয়ন্তবাবু।
তাঁর দাবি যে কোনো দিন রাজনৈতিক শত্রুর হাতে মৃত্যু হতে পারে। জয়ন্তবাবুর কথায়, ‘‘যদি দুষ্কৃতীর গুলিতে মরি, তা হলে কী হবে? তাই আমার মৃত্যুর পরেও যাতে নিজের লোকেরা আমার অভাব বোধ না করেন, তাই এই ব্যবস্থা করেছি।”
দঃ ২৪ পরগনা
কুলতলিতে মহিলা সমবায় সমিতিতে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, মীমাংসা চেয়ে পাশে দাঁড়াল এপিডিআর
আনুমানিক ২২-২৫ লক্ষেরও বেশি টাকার হিসেব চাইছেন মহিলা সদস্যরা।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: মহিলা সমবায় সমিতিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ বার মহিলাদের পাশে দাঁড়াল এপিডিআর। কুলতলির মৈপীঠ ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের সংঘ মহিলামহল প্রাথমিক বহুমুখী সমিতির (মহিলা সমবায় সমিতি) বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে কুলতলি বিডিও অফিসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখালেন সমিতির প্রায় শ’চারেক মহিলা সদস্য।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর কুলতলির বিডিও’র অনুমতিতে বিডিও অফিসে সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় জয়েন্ট বিডিও, নোডাল অফিসার, এসএইচজি সুপারভাইজার, সমবায় সমিতির সিআই, জেলা পরিষদ সদস্য, খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে সমবায় সমিতির মহিলারা সমিতির ‘দুর্নীতিবাজ’ মূল পরিচালন কমিটির পরিবর্তনের দাবি তোলেন এবং গত চার বছরের সমস্ত টাকার (আনুমানিক ২২-২৫ লক্ষের বেশি) হিসেব চান।

অভিযোগ, পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সভায় সদস্যাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হলেও তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে পরবর্তীতে সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে রেজোলিউশন পেপার পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। আর তাই এ বিষয়ে এগিয়ে আসে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর (APDR)। তাদের প্রতিনিধি দল এ দিন কুলতলির বিডিওর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি মীমাংসার দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে এপিডিআরের জেলা সম্পাদক আলতাফ হোসেন বলেন, “এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মহিলাদের পাশে এপিডিআর আছে এবং মহিলাদের দাবি মেনে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব। আমরা চাই, অবিলম্বে বার্ষিক সাধারণ সভা ডেকে গত চার বছরের হিসেব সাধারণ সদস্যদের সামনে দিতে হবে। আর্থিক দুর্নীতি হয়ে থাকলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে”।
এ ব্যাপারে কুলতলির বিডিও বিএন অধিকারী বলেন, আগামী ৩০ তারিখে এ বিষয়ে আলোচনায় বসা হবে। যাতে এ বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে সমাধান করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন: ‘দুয়ারে সরকার’-এর সাফল্যের খতিয়ান প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দঃ ২৪ পরগনা
ক্যানিং-জয়নগর সেতু চালু হয়েও সমস্যায় স্থানীয় মানুষ
২০১০ সালে তৎকালীন বামফন্ট সরকারের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সেতুটির।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ক্যানিং ও জয়নগরের সংযোগকারী সেতু চালু হয়েও সমস্যা মিটল না স্থানীয় মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এটি চালু হওয়ার পরেও কয়েক হাজার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিদিন। জয়নগর-১ ব্লক ও ক্যানিং-১ ব্লকের সীমানায় পিয়ালি নদীর তীরে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ধোসা সেতুর কাজ শুরু হয়ে ছিল ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি। তৎকালীন বামফন্ট সরকারের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সেতুটির। তাঁর পরে দীর্ঘ কয়েক বছর লাগে এই সেতুর কাজ শেষ হতে।
এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁরা খুব কম সময়ে ক্যানিং থানা ও জয়নগর থানা এলাকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু সেতুটির যাতায়াতের রাস্তা সম্পূর্ণ না হওয়ার ফলে গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, খাড়াই রাস্তা দিয়ে উঠতে গিয়ে আমাদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই দিকে দৃষ্টি নেই প্রশাসনের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান নন্দকিশোর সরদার বলেন, “এই সেতু চালু হয়েও সম্পূর্ণ না হওয়ায় আমাদেরকে সব সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেমন, ক্যানিং থানার অন্তর্গত হাট পুকুরিয়া, দাঁড়িয়া বা জয়নগর থানার তিলপি, ঢোষা, শ্যামনগর-সহ আশেপাশের সব জায়গায় যেতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে সেতুটি যাতে ভালো ভাবে তাড়াতাড়ি চালু হয় সে জন্য প্রশাসনিক স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি”।

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম মন্ডল, সাবুর আলি, আতিয়ার রহমান মোল্লা, কুতুবউদ্দিন মোল্লা -সহ কয়েক জন গ্রামবাসী জানালেন, “এই সেতু চালু হলে আমরা খুব কম সময়ে জয়নগর ও ক্যানিং থানা এলাকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারব”।
জয়নগর-১ ব্লকের ধোসা চন্দনেশ্বর নবীনচাঁদ হাইস্কুলের কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী বলেন, “এই ধোসা সেতু চালু হলে ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে-আসতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়”। দ্রুত সম্পূর্ণ ভাবে সেতু চালু করার দাবি তুলছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জয়নগর-১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, “ওই সেতুটি যাতে দ্রুত সম্পর্ণ রূপে চালু করা যায় সে ভাবে ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি”।
আরও পড়তে পারেন: কৃষকদের সমর্থনে কংগ্রেসের মিছিলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, উত্তপ্ত ভোপাল

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানোর পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবনে ছাড়া হল ছ’টি কুমির।
সুন্দরবনের জীব পরিমণ্ডলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সুন্দরবনের নদীতে এই ছ’টি কুমির ছাড়ল বন দফতর। ১৯৭৬ সাল থেকে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার ভগবতপুরের কুমির প্রকল্পে কুমির প্রজননের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেই জন্ম হয়েছে কুমিরগুলির। চার বছর বয়সের কুমিরদের নোনা জলে অর্থাৎ সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয় এ দিন।

বন দফতর এ বারে মোট ৫৫টি কুমির ছাড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন কোর অংশে। যার মধ্যে ৪০টি পুরুষ ও ১৫টি স্ত্রী কুমির থাকবে। বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ছ’টি কুমির ছাড়া হল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত বিদ্যা রেঞ্জের স্টোরখালি এলাকায়। এগুলির মধ্যে পাঁচটি কুমির আনা হয়েছে ভগবতপুর কুমির প্রকল্প থেকে এবং একটি আনা হয়েছে সজনেখালি থেকে। ছ’টি কুমিরের মধ্যে একটি পুরুষ কুমির, আর বাকি পাঁচটি স্ত্রী কুমির। এদের প্রত্যেকের গড় ওজন ১৪.২৬ কেজি করে।
এ দিন নদীতে ছাড়া কুমিরগুলি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাণী চিকিৎসক। কুমির ছাড়ার সময় স্টোরখালিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব, সুন্দরবন জীব পরিমণ্ডলের অধিকর্তা পিয়ার চাঁদ, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস, জেলার বন দফতরের ডিএফও মিলন মণ্ডল, সহকারী ডিএফও অনুরাগ চৌধুরী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আগামী দিনে বাকি কুমিরগুলোকেও সুন্দরবনে ছাড়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: আরও এক দফায় ‘দুয়ারে সরকার’
-
শিল্প-বাণিজ্য9 hours ago
ফের বাড়ল পেট্রোল, ডিজেলের দাম, কলকাতায় নতুন রেকর্ড
-
ফুটবল2 days ago
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও চার ফুটবলারের
-
কলকাতা1 day ago
উত্তর কলকাতার অলিতেগলিতে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস, সাধারণতন্ত্র দিবসে হেঁটে দেখা
-
কলকাতা2 days ago
নারকেলডাঙার ছাগলপট্টিতে আগুন, হতাহতের খবর নেই