দঃ ২৪ পরগনা
সুন্দরবনের গদখালিতে ডুবে গেল লঞ্চ, নিরাপদে পর্যটকরা
বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি কোনোভাবে তোলা যায়নি ডুবে যাওয়া পর্যটকদের সেই বোটটিকে।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: আবারও সুন্দরবনের লঞ্চে দুর্ঘটনা। এ বার সুন্দরবনের গদখালিতে ডুবে গেল পর্যটকদের লঞ্চ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, বুধবার রাতে একটি পর্যটক বোঝাই লঞ্চ জেটিঘাটে গিয়ে ধাক্কা মারলে লঞ্চটিতে ফাটল ধরে জল ঢুকে ডুবে যায়। তবে সমস্ত পর্যটকদের উদ্ধার করে আশপাশের নৌকার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের উপকূল থানার গদখালি জেটিঘাট এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে ২২ জনের পর্যটকের দল বুধবার সকালে সুন্দরবন ভ্রমণে যায়। লঞ্চে করে গদখালি জেটিঘাট থেকে। লঞ্চটি পর্যটকদের জল পথে ঘুরিয়ে রাতে গদখালি জেটিঘাট ফিরিয়ে আনে। লঞ্চটি জেটিঘাটে নোঙর করার সময় সজোরে জেটিঘাটে ধাক্কা মারে। আর তার ফলে ফাটল দিয়ে নোনা জল ঢুকে যায়। আর নোনা জল ঢুকে লঞ্চটি ডুবে যায়।
আতঙ্কে পর্যটকরা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ এই ঘটনা দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে পর্যটকদের উদ্ধার করেন। পর্যটকরা সুরক্ষিত ভাবে ঘাটে পৌঁছান।
এর আগে এই সুন্দরবনের ঘটে গিয়েছিল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যার ফলে পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল একটি পর্যটকবাহী লঞ্চ। আর আজ এই ঘটনায় এক প্রকার আতঙ্কিত সুন্দরবনের পর্যটকরা।
এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে সুন্দরবন উপকূল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কী ভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি কোনোভাবে তোলা যায়নি ডুবে যাওয়া পর্যটকদের সেই বোটটিকে। বার বার দুর্ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত পর্যটকরা।
আরও পড়তে পারেন: পৌষ সংক্রান্তির রেসিপি: চুষি পিঠের পায়েস
দঃ ২৪ পরগনা
ক্যানিং-জয়নগর সেতু চালু হয়েও সমস্যায় স্থানীয় মানুষ
২০১০ সালে তৎকালীন বামফন্ট সরকারের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সেতুটির।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ক্যানিং ও জয়নগরের সংযোগকারী সেতু চালু হয়েও সমস্যা মিটল না স্থানীয় মানুষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এটি চালু হওয়ার পরেও কয়েক হাজার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিদিন। জয়নগর-১ ব্লক ও ক্যানিং-১ ব্লকের সীমানায় পিয়ালি নদীর তীরে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ধোসা সেতুর কাজ শুরু হয়ে ছিল ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি। তৎকালীন বামফন্ট সরকারের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় শিলান্যাস করেন সেতুটির। তাঁর পরে দীর্ঘ কয়েক বছর লাগে এই সেতুর কাজ শেষ হতে।
এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন যে তাঁরা খুব কম সময়ে ক্যানিং থানা ও জয়নগর থানা এলাকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু সেতুটির যাতায়াতের রাস্তা সম্পূর্ণ না হওয়ার ফলে গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, খাড়াই রাস্তা দিয়ে উঠতে গিয়ে আমাদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই দিকে দৃষ্টি নেই প্রশাসনের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান নন্দকিশোর সরদার বলেন, “এই সেতু চালু হয়েও সম্পূর্ণ না হওয়ায় আমাদেরকে সব সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেমন, ক্যানিং থানার অন্তর্গত হাট পুকুরিয়া, দাঁড়িয়া বা জয়নগর থানার তিলপি, ঢোষা, শ্যামনগর-সহ আশেপাশের সব জায়গায় যেতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে সেতুটি যাতে ভালো ভাবে তাড়াতাড়ি চালু হয় সে জন্য প্রশাসনিক স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি”।

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম মন্ডল, সাবুর আলি, আতিয়ার রহমান মোল্লা, কুতুবউদ্দিন মোল্লা -সহ কয়েক জন গ্রামবাসী জানালেন, “এই সেতু চালু হলে আমরা খুব কম সময়ে জয়নগর ও ক্যানিং থানা এলাকার মধ্যে যাতায়াত করতে পারব”।
জয়নগর-১ ব্লকের ধোসা চন্দনেশ্বর নবীনচাঁদ হাইস্কুলের কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী বলেন, “এই ধোসা সেতু চালু হলে ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে-আসতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়”। দ্রুত সম্পূর্ণ ভাবে সেতু চালু করার দাবি তুলছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জয়নগর-১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, “ওই সেতুটি যাতে দ্রুত সম্পর্ণ রূপে চালু করা যায় সে ভাবে ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি”।
আরও পড়তে পারেন: কৃষকদের সমর্থনে কংগ্রেসের মিছিলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, উত্তপ্ত ভোপাল

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানোর পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবনে ছাড়া হল ছ’টি কুমির।
সুন্দরবনের জীব পরিমণ্ডলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সুন্দরবনের নদীতে এই ছ’টি কুমির ছাড়ল বন দফতর। ১৯৭৬ সাল থেকে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার ভগবতপুরের কুমির প্রকল্পে কুমির প্রজননের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেই জন্ম হয়েছে কুমিরগুলির। চার বছর বয়সের কুমিরদের নোনা জলে অর্থাৎ সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয় এ দিন।

বন দফতর এ বারে মোট ৫৫টি কুমির ছাড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন কোর অংশে। যার মধ্যে ৪০টি পুরুষ ও ১৫টি স্ত্রী কুমির থাকবে। বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ছ’টি কুমির ছাড়া হল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত বিদ্যা রেঞ্জের স্টোরখালি এলাকায়। এগুলির মধ্যে পাঁচটি কুমির আনা হয়েছে ভগবতপুর কুমির প্রকল্প থেকে এবং একটি আনা হয়েছে সজনেখালি থেকে। ছ’টি কুমিরের মধ্যে একটি পুরুষ কুমির, আর বাকি পাঁচটি স্ত্রী কুমির। এদের প্রত্যেকের গড় ওজন ১৪.২৬ কেজি করে।
এ দিন নদীতে ছাড়া কুমিরগুলি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাণী চিকিৎসক। কুমির ছাড়ার সময় স্টোরখালিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব, সুন্দরবন জীব পরিমণ্ডলের অধিকর্তা পিয়ার চাঁদ, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস, জেলার বন দফতরের ডিএফও মিলন মণ্ডল, সহকারী ডিএফও অনুরাগ চৌধুরী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আগামী দিনে বাকি কুমিরগুলোকেও সুন্দরবনে ছাড়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: আরও এক দফায় ‘দুয়ারে সরকার’
দঃ ২৪ পরগনা
বিজেপির সভায় ভাঙচুর, সরগরম জয়নগর
বিজেপির অভিযোগ, পালটা অভিযোগ তৃণমূলের। দুই দলই প্রতিবাদ জানাতে করল মিছিল!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আর কিছু দিন পর বিধানসভার ভোট। আর এখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। মঙ্গলবার বিকালে জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাশত মগরাহাট মোড়ে বিজেপির এক পথসভায় দুষ্কৃতীদের হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠল।
মঞ্চ, চেয়ার, মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আর এই ঘটনার পরে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে জয়নগর দক্ষিণ বারাশত রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। এই অবরোধ তুলতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ল জয়নগর থানার পুলিশ।

বিজেপির অভিযোগ
বিজেপির বারুইপুর পূর্ব জেলার প্রাক্তন সভাপতি দেবতোষ আচার্য ও বর্তমান সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “পুলিশের অনুমতি নিয়ে আমাদের কর্মীরা এ দিন মঙ্গলবার দক্ষিণ বারাশতে একটি পথসভার আয়োজন করে। সভা শুরুর কিছু আগে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের সভা বানচাল করার জন্য ভাঙচুর চালাল। মঞ্চ ভাঙা, চেয়ার, মাইক ভাঙা থেকে শুরু করে মোবাইল কেড়ে নেয়”।
এ দিনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই, ধিক্কার জানাই। ওদের পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে ওরা এই ভাবে হামলা চালাল। তাই দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা পথ অবরোধ করেছি”।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ
বিজেপির তোলা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়নগর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুহিন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “এই এলাকার বিজেপির ৮-৯ টা গোষ্ঠী আছে। নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে আমরা এখন মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা দিচ্ছি”।
তবে বিজেপির তোলা মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে তৃণমূলও সন্ধ্যায় দক্ষিণ বারাশতে একটি পথ মিছিল বার করে। অভিযোগ ও পালটা অভিযোগে এখন সরগরম তাই দক্ষিণ বারাশত এলাকা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়তে পারেন: বাংলাকে ধমকালে মুখে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দেব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
কলকাতা3 days ago
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, সতীর্থের মৃত্যু
-
হাওড়া3 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা
-
জীবন যেমন3 days ago
কম বয়সে মুখে বলিরেখা? রান্না ঘরেই আছে এর সমাধান, একমাসে