দঃ ২৪ পরগনা
টিকা নিয়ে খুশি চিকিৎসক, নার্স-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা
জেলার পাঁচটি মহকুমায় জেলার স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা টিকা পেলেন এ দিন।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় শনিবার দেশ জুড়ে শুরু হল করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাঁচটি মহকুমায় জেলার স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির করোনাযোদ্ধারা টিকা পেলেন এ দিন।
এ দিন সকালে জেলার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল, বারুইপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বাসন্তী ১১ নম্বর সাব-সেন্টার, জয়নগর রুরাল হাসপাতাল, জয়নগর নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল, সোনারপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, মহেশতলা পুরসভার মোল্লারগেট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সরিষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ফলতা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বানেশ্বরপুর রুরাল হাসপাতাল, মগরাহাট রুরাল হাসপাতাল, মথুরাপুর রুরাল হাসপাতাল, সাগর রুরাল হাসপাতাল ও ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এই কর্মসূচি পালন করা হল।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানালেন, টিকার দু’টি ডোজ নিতে হবে, প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে সকলকে। এ দিন টিকাকরনের মুহূর্তে সাগর রুরাল হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি উলগানাথন, সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেবাশিস রায়-সহ আরও অনেকে।
নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। জেলাশাসক পি উলগানাথন এ দিন বলেন, প্রথম সারিতে থাকা ১০০ জনকে এ দিন করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হল। ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ও শেষ ডোজ দেওয়া হবে। প্রথমে ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হল। পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দেওয়া হবে। এ দিন এই টিকা নিয়ে খুশি চিকিৎসক,নার্স-সহ প্রথম সারিতে থাকা করোনাযোদ্ধারা।
আরও পড়তে পারেন: প্রয়োজনে সংস্থার কাছ থেকে কিনে প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকার আশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দঃ ২৪ পরগনা
‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ বার প্রকাশ্যে। কুলতলিতে ‘ভূমিপুত্র’কে প্রার্থী দাবি করে পড়ল ব্যানার। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। কুলতলির জামতলা, মৈপীঠ, বৈকুণ্ঠপুর, জালাবেড়িয়া-সহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ঝুলিয়ে দাবি করা হয়েছে কুলতলি বিধানসভায় ভূমিপুত্রকে যেন প্রার্থী করা হয়।
ব্যানারে ‘কুলতলি বিজেপি পরিবারের সদস্য’দের থেকে এই কথা জানানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এর জেরে নিজেদের ঘর গোছানোর আগে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পূর্বের বিজেপি নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বলেন, কুলতলিতে পুরানো বিজেপি কর্মী উত্তম হালদার নয়তো জয়নগর লোকসভার প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী ডা. অশোক কাণ্ডারিকে যেন প্রার্থী করা হয়। দলবদলুদের প্রার্থী করা হলে অনেকেই বঞ্চিত হবেন।
কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি

যদিও নিজেদের গোষ্ঠীদন্ধের কথা অস্বীকার করেই জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “দলে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ভুল প্রচার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে”।
এই প্রসঙ্গে কুলতলি যুব তৃণমূলের সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন, নিজেদের মধ্যেই এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রার্থীপদ নিয়েই নির্বাচনের আগে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে বিজেপিতে।
মঙ্গলবার কুলতলির জালাবেড়িয়ার শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাতে বাইরের জায়গা থেকে লোক এনে জমায়েতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুলতলি যুব তৃণমূল সভাপতির।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপিতে যোগ দিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার
দঃ ২৪ পরগনা
তোলাবাজ ভাইপোর নয়, মোদীজির পুলিশ ডান্ডা নিয়ে ভোটে নামবে: শুভেন্দু অধিকারী
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: “এখন দুয়ারে সিবিআই,কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, ভাইপো যাবে শ্রীঘরে”। মঙ্গলবার দুপুরে কুলতলির জালাবেড়িয়ার এক জনসভায় এমনই স্লোগান শোনা গেল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। তিনি বলেন, “দুয়ারে সরকার নয়, দুয়ারে সিবিআই। সিবিআইকে ধন্যবাদ। ওই বাড়িতে নোটিশ না দিলে বাংলার মানুষ ওই ১০০ কোটির প্রাসাদ দেখতে পেতেন না। কত বড়ো প্রাসাদ কেউ দেখতে পেতেন না”।
এ দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ওই বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা ঢোকার কিছুক্ষণ আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “মাননীয়া এ দিন সিবিআই ঢোকার আগে বউমাকে বলতে গিয়েছিলেন কীর্তিমান ভাইপোর নাম না বলার জন্য। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কয়লা চোর ডাকাত বিনোদ মিশ্রের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে। বিদেশে টাকা পাচার হলে তবে তো তাঁকে টানবেই। ভারতের বিচারব্যবস্থার উপরে তিনি তো নন। কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, ভাইপো যাবে শ্রীঘরে”।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তোপ দেগে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এই জেলায় তথাকথিত মুখ্যমন্ত্রীর তোলাবাজ ভাইপোর নেতৃত্বে পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে ছোটো ছোটো তোলাবাজরা অত্যাচার চালাচ্ছে। যাদের পুলিশ স্য়ালুট করে। তোলাবাজ ভাইপো ২০১৪ সালে জেতার পর পঞ্চায়েত ,পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভা, জেলা পরিষদে আইনে চলে না। জেলা পরিষদে কাজ নিতে হলে ২০ শতাংশ দিতে হয়”।
তিনি আরও বলেন, “বেকারদের বাঁচাবে ডবল ইঞ্জিন সরকার। ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া বাংলাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। দু’কোটি বেকার তৈরি হয়েছে। নীল-সাদা রং ছাড়া কিছুই হয়নি রাজ্যে। তৃণমূল এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কেন্দ্রের টাকা, ১০০ দিনের কাজে লুঠ হয়েছে। উম্পুন, লকডাউনে চাল চোর, ত্রিপল চোর এই সরকার। এখন করোনা ভ্যাকসিন চোর হয়েছে। গোরুর ,পানের বরজের নামে টাকা নিয়েছে চোরের দল”।
এ বারের ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে ভোট হয়নি। লোকসভা ভোটে এই রাজ্যের পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশকে ধমকে চমকে খাইয়ে ঘরে শুইয়ে দিয়েছিলেন। তলে তলে জোটবদ্ধ হন। ১৮, ১৯-এ ভোট দিতে দাওনি। এ বারের ভোট হবেই। তোলাবাজ ভাইপোর পুলিশ নয়, মোদীজির পুলিশ ডান্ডা নিয়ে ভোটে নামবে। নিজের ভোট নিজে দেবেন। এ বার নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করাব ভোট করাতে”।
এ দিন সকালে মগরাহাট থেকে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথ এসে পৌছায় দক্ষিণ বারাসাতে। সেখান থেকে গোড়েরহাট হয়ে বেলে দুর্গানগরে একটি দলীয় অফিস উদ্বোধন করা হয়। এর পরে রথ কুলতলির জনসভায় চলে যায়। রথযাত্রাকে ঘিরে বারুইপুর পুলিশ জেলার প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ,কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, জেলা সভাপতি সুনীপ দাস, অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়তে পারেন: ‘প্রধানমন্ত্রী যোজনা লোন’-এর আওতায় কি সরকার ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে? সত্য জানুন এখানে
দঃ ২৪ পরগনা
কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু জয়নগরে
এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বলে বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আর কয়েক দিন পর বিধানসভার ভোট ঘোষণা হবে। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে এসে পৌছালো কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই বাহিনীর টহল পর্ব শুরু হয়েছে। সোমবার জয়নগর থানার আইসি অতনু সাঁতরার নেতৃত্বে জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাশত ও আশপাশের এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কথা বললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও। নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দেয় তারা। আর তাতেই খুশি সাধারণ ভোটাররা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বারুইপুর জেলা পুলিশের অধীনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বলে বারুইপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: কলকাতায় আসছে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, টহল শুরু এ সপ্তাহেই
-
প্রযুক্তি21 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
ফুটবল3 days ago
দশ জনে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান
-
রাজ্য2 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা