দঃ ২৪ পরগনা
বিজেপির সভায় ভাঙচুর, সরগরম জয়নগর
বিজেপির অভিযোগ, পালটা অভিযোগ তৃণমূলের। দুই দলই প্রতিবাদ জানাতে করল মিছিল!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আর কিছু দিন পর বিধানসভার ভোট। আর এখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। মঙ্গলবার বিকালে জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাশত মগরাহাট মোড়ে বিজেপির এক পথসভায় দুষ্কৃতীদের হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠল।
মঞ্চ, চেয়ার, মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আর এই ঘটনার পরে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে জয়নগর দক্ষিণ বারাশত রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। এই অবরোধ তুলতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ল জয়নগর থানার পুলিশ।

বিজেপির অভিযোগ
বিজেপির বারুইপুর পূর্ব জেলার প্রাক্তন সভাপতি দেবতোষ আচার্য ও বর্তমান সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “পুলিশের অনুমতি নিয়ে আমাদের কর্মীরা এ দিন মঙ্গলবার দক্ষিণ বারাশতে একটি পথসভার আয়োজন করে। সভা শুরুর কিছু আগে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের সভা বানচাল করার জন্য ভাঙচুর চালাল। মঞ্চ ভাঙা, চেয়ার, মাইক ভাঙা থেকে শুরু করে মোবাইল কেড়ে নেয়”।
এ দিনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই, ধিক্কার জানাই। ওদের পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে ওরা এই ভাবে হামলা চালাল। তাই দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরা পথ অবরোধ করেছি”।
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ
বিজেপির তোলা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়নগর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুহিন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “এই এলাকার বিজেপির ৮-৯ টা গোষ্ঠী আছে। নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে আমরা এখন মানুষের পাশে থেকে পরিষেবা দিচ্ছি”।
তবে বিজেপির তোলা মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে তৃণমূলও সন্ধ্যায় দক্ষিণ বারাশতে একটি পথ মিছিল বার করে। অভিযোগ ও পালটা অভিযোগে এখন সরগরম তাই দক্ষিণ বারাশত এলাকা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়তে পারেন: বাংলাকে ধমকালে মুখে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দেব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখে চমক এসইউসি-র
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেল এসইউসি। জয়নগর ও কুলতলিতে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল এসইউসি।
ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কুলতলি ও জয়নগর এলাকায় এসইউসির প্রার্থীর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেল। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসইউসি সবার আগে প্রার্থীর নাম লেখা দেওয়াল লিখে এগিয়ে গেলো জয়নগর ও কুলতলিতে।
জয়নগর ও কুলতলি দীর্ঘ দিন এসইউসির দখলে ছিল। বর্তমানে জয়নগর তৃণমূলের হাতে ও কুলতলিতে সিপিএম বিধায়ক। কুলতলির বিভিন্ন এলাকায় রবিবার ঘুরে এসইউসির দেওয়াল লিখন চোখে পড়ল। প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কেন দেওয়াল লিখন হল সে ব্যাপারে দলের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। শোনা যাচ্ছে, তালিকায় বেশ কিছু তারকার পাশাপাশি নাম থাকতে পারে প্রাক্তন কয়েক জন আমলার। আবার কলকাতা পুরসভার কয়েক জন বিদায়ী কাউন্সিলারের নাম থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবিতে এসইউসির বিক্ষোভ জয়নগরে
দঃ ২৪ পরগনা
পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ, ভোট বয়কটের ডাক
ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে। পর দিন পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এ বার পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের পথে গ্রামবাসী।
ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের মাতলা-১ ও ২, দিঘিরপাড়, গোপালপুর, ইটখোলা-সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে দীর্ঘ এক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গরম পড়ার আগে থেকেই সুন্দরবনের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নীচে নেমে যাওয়ার ফলে গভীর পানীয় জলের নলকূপগুলিতে জল ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পানীয় জলের নলকূপ আছে, কিন্তু সেই নলকূপে পানীয় জল উঠছে না বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদ স্তরের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পানীয় জলের দাবিতে কয়েকশো গ্রামবাসী ক্যানিং হেড়োভাঙা সড়ক পথের যামিনীর মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। যার জেরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিক্ষোভ তুলে দেয়। বিক্ষোভকারীরা জানান, বার বার বলা হলেও আজ পর্যন্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জলের সরবরাহ গড়ে ওঠেনি এখানে। নলকূপের পানীয় জলের উপর আমরা নির্ভরশীল। আর সেই পানীয় জলের নলকূপে প্রায় এক মাস ধরে জল উঠছে না। যাঁদের টাকা আছে তারা জল কিনে খাচ্ছেন। আর গরিব মানুষ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদের ব্যর্থতায় আজ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের সাপ্লাই গড়ে ওঠেনি।
এ দিকে মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক মাস ধরে নলকূপে পানীয় জল নেই। গ্রাম পঞ্চায়েত নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে সব কিছু জেনেশুনে।
ক্যানিং-১ ব্লকের বিজেপির নেতা মৃণাল মণ্ডল বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির প্রধান, উপ প্রধান,পঞ্চায়েত সদস্যরা অপদার্থ। তাঁরা কাটমানি নিয়ে ব্যস্ত। তাই আজ পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তাঁদের চিন্তা নেই”।
মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান উত্তম দাস বলেন, “পৃথিবী জুড়ে পানীয় জলের সমস্যা আছে। তবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে”।
এ দিকে ক্যানিং পশ্চিম, বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রেও পানীয় জল নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
আরও পড়তে পারেন: বিধানসভা নির্বাচন ২০২১: জানুন আপনার কেন্দ্রে কবে ভোট
দঃ ২৪ পরগনা
‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ বার প্রকাশ্যে। কুলতলিতে ‘ভূমিপুত্র’কে প্রার্থী দাবি করে পড়ল ব্যানার। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। কুলতলির জামতলা, মৈপীঠ, বৈকুণ্ঠপুর, জালাবেড়িয়া-সহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ঝুলিয়ে দাবি করা হয়েছে কুলতলি বিধানসভায় ভূমিপুত্রকে যেন প্রার্থী করা হয়।
ব্যানারে ‘কুলতলি বিজেপি পরিবারের সদস্য’দের থেকে এই কথা জানানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এর জেরে নিজেদের ঘর গোছানোর আগে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পূর্বের বিজেপি নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বলেন, কুলতলিতে পুরানো বিজেপি কর্মী উত্তম হালদার নয়তো জয়নগর লোকসভার প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী ডা. অশোক কাণ্ডারিকে যেন প্রার্থী করা হয়। দলবদলুদের প্রার্থী করা হলে অনেকেই বঞ্চিত হবেন।
কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি

যদিও নিজেদের গোষ্ঠীদন্ধের কথা অস্বীকার করেই জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “দলে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ভুল প্রচার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে”।
এই প্রসঙ্গে কুলতলি যুব তৃণমূলের সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন, নিজেদের মধ্যেই এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রার্থীপদ নিয়েই নির্বাচনের আগে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে বিজেপিতে।
মঙ্গলবার কুলতলির জালাবেড়িয়ার শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাতে বাইরের জায়গা থেকে লোক এনে জমায়েতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুলতলি যুব তৃণমূল সভাপতির।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপিতে যোগ দিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের