দঃ ২৪ পরগনা
করোনাকালে গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের
‘ই-স্নান’-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই মেলায় অংশগ্রহণ, ‘ই-দর্শন’-এর পাশাপাশি মিলবে প্রসাদও! জেনে নিন বিস্তারিত

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, আলিপুর: করোনা আবহেই এ বারের গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হবে আর কয়েক দিন পরেই। আর তার আগে বিভিন্ন দফতর-সহ মেলার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলির সঙ্গে বার বার বৈঠক করছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। বৃহস্পতিবার বিকালে আলিপুর নব প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন জেলাশাসক। ছিলেন জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ, অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা-সহ আরও অনেকে।
অন্যা বছরের তুলনায় এ বারের গঙ্গা সাগর মেলা কিছুটা আলাদা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই একাধিক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রাপথে কোভিডের কারণে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এ বারে। পাশাপাশি মেলা দর্শন, পুলিশিং, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমনকী পরিবহণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল মাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে প্রশাসন।
এ বারের গঙ্গাসাগরে এই প্রথম

জেলা শাসক পি উলগানাথন জানালেন , অতিমারির জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে দর্শন এবং স্নানের উপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এ বছর। ‘ই-স্নান’-এর মাধ্যমে ঘরে বসেই মেলায় অংশগ্রহণ করা যাবে। অনলাইনে অর্ডার করলে খুব অল্প মূল্যে তিন দিনের মধ্যে বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে গঙ্গাজল, প্রসাদ, ফুল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী।
প্রসাদ-সহ নানান সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ক্যুরিয়ার সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ‘অতিথি পথ’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এই অ্যাপের মাধ্যমে ‘ই-দর্শন’-এর পাশাপাশি মিলবে প্রসাদও।
ট্রেন, বাস,ভেসেলের সময়সূচি, সাগর মেলা সম্বন্ধে তথ্য, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থার তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপে। শুধু অ্যাপই নয়, ই-স্নানের জন্য প্রশাসনের তরফে পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে সরাসরি পুজো এবং স্নান সম্প্রচার করা হবে।
আইটি ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে এ বারের মেলার যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই ‘পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে। জিপিআরএসের মাধ্যমে মাধ্যমে পুলিশ-প্রশাসন বাস এবং ভেসেলের সঠিক অবস্থান, যাত্রীর সংখ্যা এবং চালকের ফোন নম্বর জানতে পারবে।
ইতিমধ্যেই বাস এবং নদী পথে ট্রলারের রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে যাত্রীদের ভিড়ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করছে প্রশাসন। এমনকী ভেসেল চলাচলের সময় নদীর গভীরতাও নিয়মিত মাপা সম্ভব হবে। ফলে এ বছর ২০ ঘন্টাই ভেসেল চলাচল করতে পারবে বলে মনে করছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন।
করোনা মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা
কোভিডের সংক্রমণ এড়াতে মেলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথ এবং যাত্রা পথের ঘাটগুলিতে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানো হবে। মেলায় প্রবেশের আগে প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে তীর্থযাত্রীদের হাতে একটা করে ব্যাজ লাগিয়ে দেওয়া হবে।
তবে কোনো ব্যক্তির দেহে উষ্ণতা বেশি থাকলে অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে। প্রয়োজনে আরটিপিসিআর টেস্টও করানো হবে। কোন যাত্রীর দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেলে তাঁকে সেফ হোম এবং হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মেলায় করোনা সংক্রান্ত সব তথ্য ‘কোভিড ওয়াচ’ পোর্টালেও আপলোড করা হবে।
কিউআর কোড
মেলায় এসে শিশু এবং বৃদ্ধরা যাতে হারিয়ে না যায়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেও আরেকটি উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। মেলায় ঢোকার আগে প্রত্যেক শিশু এবং বৃদ্ধদের হাতে কিউআর কোড-সহ একটি ব্যাজ লাগানো থাকবে। কোড স্ক্যান করেই ওই ব্যক্তি সম্বন্ধে সব তথ্য জানা যাবে।
শুধু নিরাপত্তার জন্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাজারের বেশি সিসিটিভি বসানো হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে। ওড়ানো হবে অসংখ্য ড্রোন। মেলার জন্য পাঁচটি কনট্রোল রুম এবং ১০টি বাফার জোন থাকবে। সব মিলিয়ে করোনা আবহেই মেলার জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত প্রশাসন।
আরও পড়তে পারেন: উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দিনক্ষণ
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই বিদায়ী বিধায়কের নামে দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য জয়নগরে
কর্মীরা উৎসাহে লিখে ফেলেছেন, মুখে ফেলতে বললেন বিধায়ক!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। আর তারই মাঝে জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় তৃনমূল প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নামে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিলেন তৃণমূলকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে জয়নগর বিধানসভার ময়দা, চণ্ডীপুর, মনিরতট, মায়াহাউড়ি, গড়দেওয়ানি-সহ বহু এলাকার দেওয়ালে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নাম জ্বল জ্বল করছে। আর তাই নিয়েই চরম অস্বস্থিতে পড়েছে জয়নগরের বিদায়ী বিধায়ক।
তিনি এ ব্যাপারে বলেন, “প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কখনো দেওয়াল লিখন করা যায় না। তবে কিছু উৎসাহী কর্মীরা অতি উৎসাহে এ সব কাজ করেছে। আমি তাদেরকে বলেছি আমার নাম লেখা দেওয়ালগুলো এখন মুছে ফেলতে। প্রার্থী ঘোষণার পরে দেওয়াল লিখন করতে বলেছি”।
আরও পড়তে পারেন: বামেদের প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারে একাধিক চমক
দঃ ২৪ পরগনা
বালি দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যে রাজ্য সরকারের এক গুচ্ছ প্রকল্প, আগে দেখেছেন?
স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য কর্মসূচিকে সামনে রেখে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি ভাস্কর্য।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, গঙ্গাসাগর: ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। চলছে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গঙ্গাসাগরের বেলা ভূমিতে এরই মাঝে ফুটে উঠল রাজ্যের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ভাস্কর্য-রূপ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য পেতে গঙ্গাসাগরে ইতিমধ্যে যজ্ঞ করেছেন সাগরের বিধায়ক। আর এ বার গঙ্গাসাগরের বেলা ভূমিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ও অন্যান্য কর্মসূচিকে সামনে রেখে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় একটি ভাস্কর্য।

শিল্পী দেবতোষ দাস এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় যাতে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন, সোমবার তাই সকাল ৬টা থেকে বালি দিয়ে এই কাজ শুরু করি এবং তা শেষ করি দুপুর ২টোয়”।
সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা এক হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন শিল্পীকে।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১২৫ জন ব্রাহ্মণ ও ২৫ জন বৈষ্ণব নিয়ে যজ্ঞ হয় সাগরে। মা মাটি মানুষের সরকারের মঙ্গল কামনায় এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীপদে নির্বাচিত করার লক্ষ্যেই ওই যজ্ঞ বলে জানান বিধায়ক।
আরও পড়তে পারেন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে সাগরে মহাযজ্ঞ করলেন বিধায়ক
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখে চমক এসইউসি-র
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেল এসইউসি। জয়নগর ও কুলতলিতে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল এসইউসি।
ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কুলতলি ও জয়নগর এলাকায় এসইউসির প্রার্থীর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেল। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসইউসি সবার আগে প্রার্থীর নাম লেখা দেওয়াল লিখে এগিয়ে গেলো জয়নগর ও কুলতলিতে।
জয়নগর ও কুলতলি দীর্ঘ দিন এসইউসির দখলে ছিল। বর্তমানে জয়নগর তৃণমূলের হাতে ও কুলতলিতে সিপিএম বিধায়ক। কুলতলির বিভিন্ন এলাকায় রবিবার ঘুরে এসইউসির দেওয়াল লিখন চোখে পড়ল। প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কেন দেওয়াল লিখন হল সে ব্যাপারে দলের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। শোনা যাচ্ছে, তালিকায় বেশ কিছু তারকার পাশাপাশি নাম থাকতে পারে প্রাক্তন কয়েক জন আমলার। আবার কলকাতা পুরসভার কয়েক জন বিদায়ী কাউন্সিলারের নাম থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবিতে এসইউসির বিক্ষোভ জয়নগরে
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী