রাজ্য
নারদ-হাজিরায় সিবিআই এড়ালেন রাজ্যের ২ প্রাক্তন মন্ত্রী

ওয়েবডেস্ক: নারদ স্ট্রিং অপারেশন-কাণ্ডে ভিডিও ফুটেজে পাওয়া কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করছে সিবিআই। শনিবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় হাজিরা দিলেও দেখা গেল না রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। তবে তিনি যে এ দিন সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিতে পারছেন না, সে কথা আইনজীবী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
জানা গিয়েছে, নিজের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় এ দিন তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। ওই মামলার শুনানি রয়েছে এ দিনেই। সেখানে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা। যে কারণে সিবিআইয়ের নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে আগামী সপ্তাহে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন শোভন।
সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিনই দফতের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের। কিন্তু তিনি কী কারণে হাজিরা দেননি, সে প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এ দিন সকাল সকাল সিবিআই দফতরে যান তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তকারীরা তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেন।
রাজ্য
টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা, হাবিবপুরে রাতারাতি প্রার্থী বদল করল তৃণমূল
ছিলেন কংগ্রেসে, সেখান থেকে তৃণমূল হয়ে এ বার বিজেপির পথে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দলের প্রার্থী হয়েও বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছেন সরলা মুর্মু। সে কারণে রাতারাতি হাবিবপুর বিধানসভা আসনের প্রার্থী বদল করল তৃণমূল। প্রার্থী বদল করার পেছনে সরলার ‘শারীরিক অসুস্থতা’কে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে প্রদীপ বাক্সেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় হাবিবপুর থেকে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই শীর্ষ নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে তৃণমূলের একটি অংশ।
‘বহিরাগত’ প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তৃণমূলের দলীয কার্যালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আবার তৃণমূলের টিকিট পেয়েও গোসা হয়েছিল সরলার। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, সরলা প্রথমেই জানিয়েছিলেন যে তিনি হবিবপুরে দাঁড়াতে চান না। মালদহ আসনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে সেই ‘কঠিন’ হাবিবপুরেই সরলাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল।
এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন সরলা। যিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। সেই মতো রবিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, হাবিবপুরে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা কম, এই আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত বেসুরো সরলা। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী খগেন মুর্মু। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান। পরে উত্তর মালদহ থেকে লোকসভায় জিতেও যান।
ফাঁকা হাবিবপুর আসনে উপনির্বাচনে প্রায় ৩০,০০০ ভোটে জেতেন বিজেপি প্রার্থী জোয়েল মুর্মু। এ বারও তিনি দাঁড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে সরলা হয়ত ভাবছিলেন, তাঁর পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। বরং মালদহে নিজের ‘প্রতিপত্তি’ বেশি থাকায় সেখানেই টিকিট সেখানেই চেয়েছিলেন।
যদিও প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এভাবে প্রার্থী পরিবর্তন করতে হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সরকারি ভাবে ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণ দর্শানো হলেও ব্যাপারটা যে দলের জন্য খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন নয় তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকের পদ ছাড়ছেন ফিরহাদ হাকিম
রাজ্য
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকের পদ ছাড়ছেন ফিরহাদ হাকিম
এর ফলে ভেঙে যাবে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, তাই নিয়ম মেনেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের পদ ছাড়তে হচ্ছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে যাবে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ড।
তা হলে ফিরহাদের পর কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে কে? এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্যই নিয়ম মেনে পদত্যাগ করব। বোর্ড ভেঙে গেলে কলকাতা পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন পুর কমিশনার এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব।”
তিনি বলেন, অন্যান্য পুরসভার প্রশাসক যাঁরা বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদেরও মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে পদত্যাগ করতে হবে। ফলে, শিলিগুড়ি প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে অশোক ভট্টাচার্যকে। এখনও পর্যন্ত বামফ্রন্ট শিলিগুড়ির প্রার্থী তালিকার ঘোষণা না করলেও অশোকবাবুই যে সেখান থেকে প্রার্থী হবেন তা নিশ্চিত।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ছাড়াও আরও তিন সদস্য অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত (মলয়) মজুমদার এ বার বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন। অতীনবাবুর কথায়, “বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করার আগেই ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তখনই নিয়ম মাফিক বোর্ড ভেঙে যাবে। তাই, মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য আমাদের আর আলাদা করে পুরবোর্ড থেকে পদত্যাগ করতে হবে না।”
তবে কোনো পুরসভার ক্ষেত্রে যদি প্রশাসক বোর্ডের অন্য কোনো সদস্য প্রার্থী হন, সে ক্ষেত্রে গোটা বোর্ড ভেঙে যাবে না। সে ক্ষেত্রে শুধু ওই সদস্যকেই পদত্যাগ করতে হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ফসল বাঁচানোর জন্য বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দক্ষিণবঙ্গ, যদিও সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ
রাজ্য
ফসল বাঁচানোর জন্য বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দক্ষিণবঙ্গ, যদিও সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ
আগামী দিনে গরম আরও বাড়বে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর নভেম্বরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি। আর তার জেরে ফসলে বেশ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যা তাতে আগামী ১০ দিনেও উল্লেখযোগ্য কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
অন্যান্য বার মার্চের এই দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দু’ তিনটে কালবৈশাখী হয়ে যায় দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু এ বার একটাও হয়নি। গরমও সে ভাবে বাড়ছে তা-ও নয়, ভোরের দিকে ঠান্ডা ঠান্ডা ব্যাপার এখনও রয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। কিন্তু বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।
এ বার বিশ্বে ‘লা নিনা’ অনেক বেশি শক্তিশালী। সে কারণে উত্তর ভারত থেকে বয়ে আসা পশ্চিমী ঝঞ্ঝাগুলি ছোটোনাগপুর মালভূমি এবং সন্নিহিত দক্ষিণবঙ্গে সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারছে না। আর সে কারণেই বৃষ্টি নেই দক্ষিণবঙ্গে। যদিও উত্তরবঙ্গ, সিকিম এবং সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাত ঠিকঠাকই হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই আমের মুকুল এসে গিয়েছে। আমের রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দু’ একবার বৃষ্টি না হলে প্রচুর মুকুল নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষতি হতে পারে ধান চাষেও।
তবে ১২ থেকে ১৪ মার্চের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে অল্প ঝড়বৃষ্টি হতে পারে, এমনই মনে করছেন বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তুলনায় হালকা ঝড়বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা এবং সন্নিহিত অঞ্চলে। তবুও বৃষ্টিহীন অবস্থার থেকে কিছুটা বৃষ্টি হওয়া তো ভালোই।
তবে আগামী দিনে গরমের দাপট ক্রমশ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বর্তমানে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। চলতি সপ্তাহের শেষে সেটা ৩৭-৩৮ ডিগ্রিতে উঠে যেতে পারে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য3 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা