দালালচক্র রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বার থেকে রোগীর অভিভাবকের ছদ্মবেশে হাসপাতালে টহল দেবে পুলিশ।
শুধু টহলদারিই নয়। হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হচ্ছে নতুন পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ি। সেই সঙ্গে থাকবে মহিলা পুলিশদের একটি আলাদা দল। হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলবে নজরদারি। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাসপাতালের কর্মী ইউনিয়ন রুম ভেঙে দিয়ে সেই জায়গায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করা হবে। হাসপাতালে কথাও কোনো অনিয়ম দেখলেই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি যদি হাসপাতালের সাথে যুক্তও থাকেন তাহলেও তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী রাজেন মল্লিক ধরা পড়ার পর প্রকাশ্যে এসেছে কী ভাবে দালালচক্রে হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মী যুক্ত রয়েছেন। এই দালালরাজের বাড়বাড়ন্তের জন্য সাধারণ রোগীরা হাসপাতালের বেড না পেয়ে ফিরে যান। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে গত ৮ দিনে ৭ জন দালালকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। যে সমস্ত দালাল এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ কি না এই নিয়েই এখন জোর জল্পনা।
দালালচক্রের বিষয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টর মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীর পরিবারের সহযোগিতা দরকার। কারণ অনেক সময় রোগীর পরিবারের লোক বেড পাওয়ার জন্য টাকা দিতে রাজি হয়। এটা বন্ধ করতে হবে।”
এই দালালচক্রের ব্যাপারে ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চক্র রুখতে কতটা কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাপারে নবান্ন থেকে নজরদারি করবেন তিনি।