কলকাতা: বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সরকারি সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, অর্থমন্ত্রীই বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত থেকে বাজেট পেশ করবেন। যদি সম্ভব হয় তিনি দাঁড়িয়ে নয়, চেয়ারে বসেই বক্তব্য পেশ করবেন। কিন্তু বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিধানসভা চত্বরে তাঁর বক্তব্য পেশ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে অধিবেশন শুরুতে তিনি চেয়ারে বসেই বাজেট পেশ করেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর বাজেট প্রস্তাবের সারাংশ-
* এক কোটি টাকা মূল্যের মধ্যে সম্পত্তির উপর স্ট্যাম্প ডিউটিতে এক শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। গ্রামে এই হার ছিল ছয় শতাংশ এবং শহরে তা ছিল সাত শতাংশ।
* ছোটো চা বাগানগুলি বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তাদের কৃষি আয়কর সম্পূর্ণ ভাবে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। অর্থাৎ কৃষি আয়করে ১০০ শতাংশ ছাড় পাবে ছোটো চা বাগানগুলি।
* গ্রামাঞ্চলের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অপ্রতুল হওয়া এবং নোটবন্দির কারণে সমস্যায় পড়া কৃষকের জন্য তিনি বলেন, কৃষি জমি কৃষি কাজের জন্য কেনা হলে মিউটেশন ফি মুকুব করা হবে। রাজ্যের কৃষকদের জন্য ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়া হবে।

* বয়স্ক কৃষকদের জন্য বার্ধক্য ভাতা ৭৫০ টাকার পরিবর্তে মাসিক এক হাজার টাকা করা হল। ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ৬৬ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়াল এক লক্ষ।
* বাংলার মেয়েদের শিক্ষার হার আরও বাড়াতে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল গত বছরে। আগামী বছরে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রীদের মাসিক বৃত্তি ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হল।
* কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেড় লক্ষ টাকার কম আয়ের পরিবার ১৮ বছর ঊর্ধ্ব কন্যার বিবাহের জন্য ২৫ হাজার টাকা পাবে। ছ’লক্ষ পরিবারের জন্য এই খাতে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। এই প্রকল্পের নাম রূপশ্রী।
* আর্থিক বঞ্চনার শিকার প্রতিবন্ধীদের কথা ভেবে মাসিক পেনশন প্রকল্পে দু’লক্ষ মানুষকে এক হাজার টাকা মাসিক পেনশন দেওয়া হবে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ নতুন। নাম মানবিক।
* রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতিতে মোট ২০০১৪৯০৮.৭৫ কোটি বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।
ছবি রাজীব বসু