সোমবার আরজি কর হাসপাতাল ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল এবং এর চালান কোথায়?” পাশাপাশি, তিনি হাসপাতালের বাজেট নয়, কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান।
সিবিআই আদালতে তদন্তের অগ্রগতির স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করে, যার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু এবং জেনারেল ডায়েরি কখন নথিভুক্ত হয়েছিল। রাজ্য জানায়, মৃত্যুর শংসাপত্র দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে দেওয়া হয়েছিল এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছিল দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে। অপরাধস্থলে তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার কাজ রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলেছিল বলে রাজ্য জানায়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে কিনা, সেই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সিসি ক্যামেরার ২৭ মিনিটের ৪টি ক্লিপিংস সিবিআইকে সরবরাহ করা হয়েছে।
শীর্ষ আদালত রাজ্যকে আরও নির্দেশ দেয়, মেডিক্যাল কলেজগুলোর পর্যবেক্ষণ করতে ডিস্ট্রিক কালেক্টর নিয়োগ করতে এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। রাজ্যকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, কাজে যোগ দেওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, এমনকি তাঁদের বদলি করা হবে না।
আন্দোলনরত ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি এবং কাজে যোগ না দিলে নোটিস দেওয়ার কথা জানান।