আরজি কর হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের দেহ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ দাবি করেছেন, তরুণীকে ‘নৃশংস ভাবে’ খুন করা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘নৃশংস তো বলবই। একটা ২২ বছরের মেয়ে। তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। খুন করেছে এতে সন্দেহ নেই।’’ তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত এবং ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই আসল সত্য সামনে আসবে। চিকিৎসকের মা জানিয়েছেন, ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় পাওয়া গেছে তাঁর মেয়ের দেহ, এবং ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। যদিও পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
মৃত মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন, যার নেতৃত্বে থাকবেন ডিন। কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, তবে তিনি কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। রাজ্য মহিলা কমিশনও স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা করেছে এবং ঘটনার তদন্ত করছে।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং বাম সংগঠন এআইডিএসও-এর কর্মীরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এদিকে অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (এপিডিআর) রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। তদন্তে নেমেছে বিভিন্ন সংস্থা, তবে এখনও রহস্য থেকে গিয়েছে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ।
সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর
আরজিকরে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন শুভেন্দু আধিকারী। তিনি বলেন, ‘আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে এইভাবে শিক্ষার্থী পড়ুয়া ডাক্তারকে, শারীরিক অত্যাচার করে খুন করা, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে আইনশৃঙ্খলা তো শেষ হয়ে গিয়েছিল, এটা লাস্ট.., আমি গোটা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে বলছি, মাঠে নামুন। প্রয়োজনে পতাকা ছাড়া নামুন। পুরো রাজ্যের মানুষ আপনার সঙ্গে আছে।’