কলকাতা: প্রায় প্রতিদিন শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। সময়মতো জবাব দিতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে শুক্রবারের বিধানসভা সাক্ষী রইল এক উলটপুরাণের!
এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতেই রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। কিছুক্ষণ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকে।
এই প্রথম বিধানসভায় মমতার ঘরে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পাল এবং মনোজ টিগ্গা।
জানা গিয়েছে, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডেকেছিলেন। মার্শালকে দিয়ে শুভেন্দুকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। খুব অল্প সময়ের সাক্ষাৎ। কিন্তু তা আসলে বড়ো চমক রাজ্য রাজনীতিতে। মেরে-কেটে মিনিট চারেক মমতার ঘরে ছিলেন শুভেন্দু। তবে ইদানীং কালে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার যে সম্পর্ক তাতে উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল শুক্রবার দুপুরের বিধানসভার ঘটনা।
পরে মমতা বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম।’’ আর শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। যদিও বিধানসভায় অধিবেশন চলায় ব্যস্ততার কারণে চা খাওয়া হয়নি।’’ জানা যায়, বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে সংবিধান দিবস উপলক্ষে বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল মমতার। তাই দেরি না করে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দুরা। পরবর্তীতে আবার দেখা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এ দিনও অধিবেশনের রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-য় তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে শুভেন্দুকে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মমতা-শুভেন্দু ‘সৌজন্য সাক্ষাৎকার’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।