রাজ্য
সরকারি নিরাপত্তা ছাড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী
তা হলে কি এ বার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী?

খবর অনলাইন ডেস্ক: দলের একাংশের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গত বৃহস্পতিবার হুগলি নদী ব্রিজ কমিশনারের চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। একই ভাবে সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার আবেদনের পর তাঁর মন্ত্রিত্বপদে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে জোরালো জল্পনা শুরু হয়েছে।
জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন শুভেন্দু। শুক্রবার জানা যায়, সেই সরকারি নিরাপত্তাই তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। তিন দিন আগেই ওই নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানান শুভেন্দু। তবে এখনও পর্যন্ত সেই আবেদনে প্রশাসনিক ভাবে অনুমোদন মেলেনি। তাঁর আবেদন ডিরেক্টর অব সিকিউরিটির কাছে রয়েছে। জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।
আপডেট পড়ুন: মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুকে নিয়ে তরজা চলছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। তৃণমূলে থেকেও তিনি অরাজনৈতিক ব্যানারে সভা করে চলেছেন লাগাতার। এর পরই শুভেন্দুকে নিয়ে তৎপর হন দলীয় নেতৃত্ব। প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে তাঁর একাধিক বার বৈঠক হয়। কিন্তু সে ভাবে কোনো সমাধান সূত্র উঠে আসেনি বলেই জানা যায়।
এর আগে রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়াননি, আমিও কোথাও যাইনি”। তাঁর এ ধরনের মন্তব্যের পর দলের সঙ্গে তাঁর ‘দূরত্ব’ কমার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এর পরেই গত বৃহস্পতিবার এইচআরবিসির চেয়ারম্যানপদ ছেড়ে দেওয়ার পর সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ায় তাঁর দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল।
তবে হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যানপদে রয়েছে শুভেন্দু। যদিও দলের সঙ্গে ‘দূরত্বের’ নিরিখে একাংশের মনে প্রশ্ন, তা হলে কি এ বার মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু?
আরও পড়তে পারেন: আজই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী
রাজ্য
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
২ জানুয়ারির পর সব থেকে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হল কলকাতায়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে শীত পড়েছে ভালোই। শীতের এই ইনিংসে কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে না নামলেও জেলাগুলিতে জব্বর ঠান্ডা পড়েছে। রবিবার পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল পাঁচ ডিগ্রির ঘরে।
তবে মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গে ফের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে ফের শীত ফিরবে। অন্য দিকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টায়।
সোমবার কোথায় কেমন তাপমাত্রা
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ জানুয়ারির পর এতটা নীচে নামল কলকাতার তাপমাত্রা। উপকণ্ঠের দমদমে এ দিন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১২.৭ ডিগ্রিতে। অন্য দিকে ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে জব্বর শীত অব্যাহত। কাঁথিতে এ দিন তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে। পানাগড় এবং খড়গপুরে এ দিন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯ এবং ৯.৯ ডিগ্রি। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ অঞ্চলেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।
এ দিকে দার্জিলিংয়ে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা খুবই বেশি। তুলনায় ডুয়ার্সে শীত রয়েছে ভালোই। শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দশ ডিগ্রির নীচে। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি।
দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা, উত্তরে বৃষ্টি
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার পূর্বাভাস, মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কলকাতায় বেড়ে ১৮ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যেতে পারে। তবে গত সপ্তাহে যে ভাবে গরম পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে, তেমনটা হবে না।
অন্য দিকে উত্তরবঙ্গে আগামী তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সান্দাকফু-ফালুটে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বিশেষ কমেনি বলে দার্জিলিং শহরে এখনই বরফ পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে শিলাবৃষ্টি বা তুষারবৃষ্টি (Sleet) হতে পারে।
কিছু দিন আগে উত্তর ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিয়েছিল। তার প্রভাবেই উত্তরে বৃষ্টি এবং দক্ষিণে পারদ বাড়বে।
ফের কমবে তাপমাত্রা
তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের শীত ফিরতে পারে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমলেও, ডিসেম্বরের শুরুতে পারদ যেমন কমেছিল, ততটা আর নামবে না। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত শীত ভালো ভাবেই বজায় থাকবে, এই ব্যাপারটা নিশ্চিত।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আজ থেকে আর প্রয়োজন নেই ই–পাসের, খুলছে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের একাধিক গেটও

কলকাতা: প্রায় সাড়ে ছ’মাস পর রাজ্যের দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ফের ছ’শোর নীচে নামল রবিবার। এর আগে গত ২৮ জুন শেষ বার এই সংখ্যা ছ’শোর নীচে ছিল। তবে আগের দিনগুলির তুলনায় এ দিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেশ কিছুটা কমেছে।
রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৫। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭২-এ।
অন্যদিকে এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৬২১ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৬। সুস্থতার হার ঠেকেছে ৯৬.৯৭ শতাংশে। সারা দেশের গড় সুস্থতার হারের থেকে যা সামান্য এগিয়েছে। দেশের গড় সুস্থতার হার এখন ৯৬.৫৬ শতাংশ।
আরও কমল সক্রিয় রোগী
এক দিকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া, অন্যদিকে সুস্থতা বেড়ে যাওয়ার উপর ভর করে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ৬৮ জন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন কোভিডরোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৩। মোট আক্রান্তের তুলনায় সক্রিয় রোগীর হার এখন ১.২৫ শতাংশ। যা সারা দেশের গড় হারের অনেকটাই কম। এ দিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, সারা দেশে সক্রিয় রোগীর গড় হার ২ শতাংশ।
এ দিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন কোভিডরোগীর, এখনও পর্যন্ত মোট মৃত ১০ হাজার ৫৩।
সংক্রমণের হার সামান্য বাড়ল
তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার অতিসামান্য বেড়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে কমেছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৬ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২.১৫ শতাংশে। আগের দিন যা ছিল ২.০২ শতাংশ।
এ দিকে রাজ্যে সামগ্রিক সংক্রমণের হারও সামান্য হলেও কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৭.৩৯ শতাংশ।
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণায় দৈনিক আক্রান্ত দু’শোর নীচে
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন সংক্রমণ দুশোর নীচে নেমে এসেছে শেষ কয়েক দিন ধরেই। যদিও, দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায় এখন কলকাতার উপরে থাকছে উত্তর ২৪ পরগণা।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১৬৫ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ১৭৪ আর উত্তর ২৪ পরগণায় ১৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। কলকাতায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় দু’জনের এবং উত্তর ২৪ পরগনায় তিন জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়তে পারেন: দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৪৪ শতাংশ]
জেলায় জেলায়
এ দিন বাকি জেলাতেই দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের মতো থাকলেও বেশ কয়েকটিতে সামান্য ওঠানামা ধরা পড়েছে।
উল্লেখ্য যোগ্য ভাবে এ দিন বাঁকুড়া (২৬), হুগলি (২৬), হাওড়া (২৪), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৪), পূর্ব মেদিনীপুর (২০) বাদ দিলে বাকি সমস্ত জেলাতেই দৈনিক সংক্রামিতের সংখ্যা ২০-র নীচে।
[আরও পড়তে পারেন: দৈনিক সংক্রমণ অপরিবর্তিত, সক্রিয় রোগী কমল দু’হাজারের উপর]
রাজ্য
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কলকাতায় আসছেন শিবসেনা নেতৃত্ব
সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্তের কথা জানালেন দলীয় নেতা।

মুম্বই: পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত রবিবার জানান, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পরে পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁরা কলকাতায় আসছেন।
টুইটারে সঞ্জয় লেখেন, “বহুপ্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্তটি সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পর নেওয়া হয়েছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের ভোটে প্রার্থী দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসছি…। জয়হিন্দ, জয় বাংলা”।
সম্ভবত, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলতে পারে নির্বাচন কমিশন। যদিও ঠিক কতগুলি আসনে শিবসেনা প্রার্থী দিতে চলেছে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি এখনও।
তবে পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার জানুয়ারির শুরুতেই ঘোষণা করেন, শিবসেনা, আমরা বাঙালি, উত্তরবঙ্গ সমাজ পার্টি, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী পরিষদ এবং ঝাড়গ্রামের কোনো সংগঠনকে নিয়ে তৈরি জোট পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেবে।
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থির হয়েছে, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং অন্য জেলাগুলিতে প্রার্থী দেওয়া হবে। গুরুত্ব দেওয়া হব দমদম, ব্যারাকপুর, বিষ্ণুপুর এবং অন্য়ান্য জায়গাগুলিকে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের শাসক জোট মহা বিকাশ আগাধি-র অন্যতম শরিক শিবসেনা। জোটের অন্য দুই শরিক কংগ্রেস এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কেন্দ্রে এনডিএ জোটের অংশ হলেও পশ্চিমবঙ্গে পৃথক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল শিবসেনা।
আরও পড়তে পারেন: ১০০ বিধানসভায় শিবসেনা প্রার্থী, নেপথ্যে কোন কৌশল?
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
ক্রিকেট3 days ago
অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪