ট্যাব-কাণ্ডে শিলিগুড়ি থেকে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। রবিবার গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক, যাকে এই চক্রের অন্যতম মূলচক্রী বলে দাবি করছে পুলিশ। ট্যাব নিয়ে সরশুনা থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বাসিন্দা দিবাকর দাস, দার্জিলিঙের গোপাল রায়, এবং বিশাল ঢালি। এ নিয়ে ট্যাব-কাণ্ডে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল গোপন খবরের ভিত্তিতে প্রথমে বিহারের কিষাণগঞ্জে পৌঁছায় এবং পরে দার্জিলিঙের শিলিগুড়িতে অভিযান চালায়। রবিবার সেবক রোডের কসমস শপিং মলের সামনে থেকে এই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে হাজির করা হবে এবং তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
এর আগে রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই কাণ্ডে কলকাতার বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, শহরের অন্তত ১০৭ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্যত্র চলে গিয়েছে। সরশুনা, যাদবপুর, মানিকতলা, ওয়াটগঞ্জ, কসবা, জোড়াবাগান, ভবানীপুর, গল্ফগ্রিন এবং বেনিয়াপুকুরের বিভিন্ন স্কুল থেকে এই অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে সেই টাকা না ঢুকে অপরিচিত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছায়। টাকা ঢুকতেই এটিএম থেকে তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তদন্তকারীদের মতে, এই চক্র মূলত সাইবার ক্যাফেগুলির সাহায্যে স্কুলের তথ্য হ্যাক করে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিয়েছে। তবে যারা এখনও ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের ট্যাব কেনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন