রাজ্য
তড়িৎ তোপদারের বাড়িতে অর্জুন সিং, প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ

ওয়েবডেস্ক: সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিং ২০০৪-এ সিপিএম প্রার্থী তড়িৎবরণ তোপদারের বিরুদ্ধেই হেরেছিলেন। তবে এ বার বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার পর সটান হাজির হয়েছিলেন এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বীর বাড়িতে। সেখানে তাঁদের কী কথা হয়েছিল, সাংবাদিকদের এমন সাধারণ প্রশ্নেই মেজাজ হারালেন এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা।
ব্যারাকপুরে ছ’বার সাংসদ থাকার পর ২০০৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীর কাছে পরাস্ত হন তড়িৎ তোপদার। এহেন তুখোড় সিপিএম নেতার বাড়িতে বিজেপি প্রার্থীর যাওয়া নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয় বইকি! একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে ফোনে তড়িৎবাবু অবশ্য সে সময়ই স্বীকার করেছিলেন, ”ওঁ শুধু আর্শীবাদ নিতেই আমার কাছে এসেছিলেন। আমি কুড়ি বছর সাংসদ ছিলাম, আমার কাছে যে কেউ আসতে পারে।”
এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেছিলেন, “তড়িৎবাবু দীর্ঘজীবনের সাংসদ। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হিসাবে ওঁর কাছে আর্শীবাদ নিতে গিয়েছিলাম।”
[ এখানে ক্লিক করে দেখুন সেই ভিডিও ]
এমনটাও জানা যায়, তাঁদের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা কথোপকথন হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকরা জানতে চান, এর মধ্যে কি কোনো রাজনৈতিক আলোচনা ছিল?
প্রশ্ন শুনে যারপরনাই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তড়িৎবাবু। শোনা যায়, তিনি না কি তৎক্ষণাৎ রেগে গিয়ে বলেন, “কোন শুয়োরের বাচ্চা বলেছে”?
[ আরও পড়ুন: সিপিএমকে ফের বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী ]
এখানেই থেমে না থেকে তিনি বলেন, “এ ভাবে যা খুশি তাই প্রশ্ন করা যায় না। আমি করব তোমাকে যা খুশি প্রশ্ন? তোমার বাপ, মা তুলে আমি প্রশ্ন করব? ভাল লাগবে”?

খবরঅনলাইন ডেস্ক: খুব ধীরগতিতে হলেও রাজ্যে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত রিপোর্টে সেই ছবিটাই ধরা পড়েছে। এতে ফের একবার প্রমাণিত হল রাজ্যে সতর্কতায় কোনো ভাবেই ঢিলে দিলে চলবে না এখন। পরিস্থিতি যে কোনো দিন নতুন করে উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৭৫ হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ২২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৬ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮৫১টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.২২ শতাংশ।গত সোমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১.২৩ শতাংশ। এ দিনের হারটা সোমবারের থেকে কিছুটা কম।
তবে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯২৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৬৫ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৫৮ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.২৭ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে, তবে কলকাতার পরিস্থিতি একই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭৮ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৭২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৭১ এবং ৬৭ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৭৭, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪২৮। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,২২৫ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯৩৬। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১০২ এবং ২,৫১১ জনের।
কিছু জেলায় সংক্রমণ ফের বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ যে অনেকটাই বেড়েছে, তার মূল কারণে রয়েছে কয়েকটি জেলা। এই জেলাগুলিতে নতুন সংক্রমণ ফের দুই অঙ্কে উঠে গিয়েছে। জেলাগুলি হল দক্ষিণ ২৪ পরগণা (১৫), হাওড়া (১৪), পশ্চিম বর্ধমান (১২) এবং বাঁকুড়া (১০)।
যে যে জেলায় সংক্রমণ এক অঙ্কে ছিল, সেই জেলাগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুর (১), কোচবিহার (২), মালদা (২), ঝাড়গ্রাম (২), পূর্ব বর্ধমান (২), মুর্শিদাবাদ (৩), নদিয়া (৪), বীরভূম (৪), উত্তর দিনাজপুর (৬), দার্জিলিং (৪), জলপাইগুড়ি (৬), হুগলি (৬), পূর্ব মেদিনীপুর (৭), পশ্চিম মেদিনীপুর (৯)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এবং পুরুলিয়ায় নতুন করে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হননি।
রাজ্য
জল্পনার অবসান! নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?
নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে থাকছেন মিঠুন চক্রবর্তী!

খবর অনলাইন ডেস্ক: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অভিনেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সূত্রের খবর, আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে নাম লেখাবেন তিনি।
কয়েক সপ্তাহ আগেই মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পর থেকেই জল্পনা ক্রমশ গাঢ় হয়। তবে মাঝখানে সেই জল্পনা সাময়িক ভাবে স্থিমিত হলেও শুক্রবার এবিপি আনন্দ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষমেশ “বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তারকা অভিনেতা”।
ভাগবতের সঙ্গে ওই বৈঠকের পরে মিঠুন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, “মোহন ভাগবতের সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। লখনউতে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল এবং পরে মুম্বইতে থাকাকালীন আমার বাড়িতে আসার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম”। এমনকী রাজনীতিতে প্রবেশেরও কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “জল্পনা-কল্পনা করবেন না, এ ধরনের কিছুই এখনও ঘটেনি”।
এখনও পর্যন্ত বিজেপি বা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেননি মিঠুন। তবে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন মিঠুন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছিলেন ২০১৪-র এপ্রিল। তবে বছর দুয়ের পরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে তিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেন।
সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়ায় মিঠুনের। ২০১৪ সালে তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অভিযোগ, সারদা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১.২ কোটি টাকা স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেই টাকা তিনি ইডি-কে ফেরতও দেন।
এক সময়ে উগ্র বামপন্থার সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিঠুন। রাজ্যের প্রয়াত পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী-সহ বেশ কিছু বামনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর।
আরও পড়তে পারেন: টিকিট মেলেনি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক
বীরভূম
টিকিট মেলেনি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক
“ওরা টুপি পরতে বারন করেছিল, কিন্তু আমি শুনিনি”, অভিযোগ বিদায়ী বিধায়কের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার ২৯১ আসনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় বাদ পড়েছে নলহাটির বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন শাসমসের নাম। টিকিট না পেয়ে ফেসবুক লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
এ দিন ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, “দল যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে নলহাটি বিধানসভা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার অপরাধ এটাই, আমি পাঁচ বছরে নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আমি নলহাটির উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। আমি কোনো দিন বালি মাফিয়াদের সঙ্গে আপস করিনি। আমি কোনো দিন কয়লা, পাথর মাফিয়াদের সঙ্গে আপস করিনি। এটাই আমার অপরাধ”।
তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, “আমার সব থেকে বড়ো অপরাধ, আমি এক জন টুপি পরা মুসলমান। ওরা আমাকে টুপি পরতে বারণ করেছিল। আমি তা শুনিনি”।
পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, দলের টিকিট না পেলেও এ বারের ভোটে নলহাটি থেকেই ফের ভোটের ময়দানে লড়বেন। তবে কোন দলে যোগ দেবেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
আগামী দু’দিনের মধ্যেই তা স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন বাম মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের পুত্র। উল্লেখ্য,নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। এই ঘোষণার পরেই ফেসবুক লাইভে তাঁর ওপর হওয়া ‘অবিচারের’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মইনুদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হন ছেলে মইনুদ্দিন। সে বার তিনি ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায়কে ১০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন।
আরও পড়তে পারেন: পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
রাজ্য15 hours ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
-
গাড়ি ও বাইক21 hours ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা