খবর অনলাইনডেস্ক: আজ মহালয়া। ভোর থেকেই তুমুল বৃষ্টি কলকাতা ও সন্নিহিত অংশে। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই পিতৃপুরুষকে জলদান করতে সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন শহরের ঘাটে ঘাটে। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার, নিমতলা – ঘাটে ঘাটে ভিড়। চলছে তর্পণ। এদিকে ১ অক্টোবর রাত থেকে ২ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদও হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিন ভোর ৫টা নাগাদ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতায়। অদ্ভুত এক সমাপতনে ঠিক তখনই চণ্ডীপাঠ শুরু করেছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। ততক্ষণে তর্পণের উদ্দেশ্যে ঘাটে ঘাটে চলে গিয়েছেন মানুষজন। বাবুঘাট-সহ গঙ্গার অন্য ঘাটগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়। গঙ্গায় ছিল টহল। প্রস্তুত রাখা হয় লাইফ জ্যাকেট, বোট।
এদিকে এদিন ভোর থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটেও উপচে পড়ছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। এদিন ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই হাজার হাজার পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের পাশাপাশি সারলেন তর্পণ। স্নান সেরে কপিলমুনি মন্দিরে লাইন দিয়ে পুজো দিতে দেখা যায় পুণ্যার্থীর দলকে।
মহালয়ায় তর্পণের পাশাপাশি অভিনব প্রতিবাদও দেখেছে শহর। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন ‘রাত দখল’-এর পাশাপাশি ‘ভোর দেখল’ কর্মসূচিও নিয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। মঙ্গলবার রাত থেকেই জমায়েত হতে শুরু করে। নাটকে, গানে, স্লোগানে চলতে থাকে প্রতিবাদ।
আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবার দুর্গাপুজো দেখবে পশ্চিমবঙ্গ। পরিস্থিতি বিচার করে মনে করা হচ্ছে যে বিভিন্ন মণ্ডপেও ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান উঠবে।