কলকাতা: আদালতের নির্দেশে ১৮৫ জন প্রার্থীকে চাকরির সুপারিশপত্র দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। ইন্টারভিউতে ডাক পান ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। ১৯ সেপ্টেম্বর ওই প্রার্থীদের নথি যাচাই করা হয়। পুজোর আগেই নিয়োগপত্রও পেলেন ১৮৫ জন। সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের ২৬ সেপ্টেম্বর নথি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে জেলা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদ বা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদের সঙ্গে।
পর্ষদ সূত্রে খবর, সমস্যার কারণে আপাতত যে দু’জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া যাচ্ছে না, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরাও চাকরি পাবেন। ওই দু’জনের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। তাই আপাতত তাঁদের চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। এই দুজনের বিষয়ে আদালতকে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই এই দুজনের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। সেবছর প্রাথমিক টেটে ৬টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী ভুল প্রশ্ন ‘অ্যাটেন্ড’ করলে বা উত্তর দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে যদি তেমনটা করা হতো, তা হলে টেটে উত্তীর্ণ হতেন তাঁরা।
গত ৫, ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তিনটি দফায় ওই ১৮৭ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেন। এর পরই সোমবার তড়িঘড়ি ইন্টারভিউ ডাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতের নির্দেশেই তাঁদের নথি যাচাই করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। এর পরই নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ১৮৫ জন প্রার্থী।