রাজ্য
দক্ষিণবঙ্গে ফিরল শীত, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও পারদ পতনের সম্ভাবনা
কলকাতার তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রিতেও নেমে যেতে পারে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: পূর্বাভাস মতোই দক্ষিণবঙ্গে ফিরল শীত। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা দশের নীচে চলে গিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় শীতের দাপট আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার, কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি হলেও, গত এক সপ্তাহের মধ্যে এটা সব থেকে কম। বুধবার সকাল থেকে উত্তুরে হাওয়া শিরশিরানি ধরাচ্ছে শহরবাসীর মধ্যে।
কলকাতার উপকণ্ঠের ব্যারাকপুরে এ দিন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমে তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি। এ দিকে শীত ফিরেছে উপকূলবর্তী অঞ্চলেও। দিঘায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি থাকলেও কাঁথিতে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১২.২ ডিগ্রিতে।
দক্ষিণবঙ্গে এ দিন শীতলতম স্থান ছিল বহরমপুর। সেখানে তাপমাত্রা ৮.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় শীতের দাপট অনেকটাই বাড়বে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শুক্রবার ভোরে ১১-১২ ডিগ্রিতেও নেমে যেতে পারে। শীতের চলতি ইনিংসটা এখন মোটামুটি চলবে বলেই ধরে নেওয়া যায়।
তবে আগামী সপ্তাহে এক দিনের জন্য পারদ কিছুটা বেড়ে ১৭ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। যদিও তার পর ফের তাপমাত্রা কমবে, এমন আশা করাই যায়।
পুরুলিয়া
আবহাওয়ার ভেলকি! দার্জিলিংয়ের শীতকে টেক্কা দিচ্ছে পুরুলিয়া
পুরুলিয়া এখন দক্ষিণবঙ্গের দার্জিলিং।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট দেখে রীতিমতো চমকে যেতে হয়। সোমবার সকালে দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে, একই সময়ে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উচ্চতার দার্জিলিংয়ের সঙ্গে প্রায় সমুদ্রতলে থাকা পুরুলিয়ার পারদ-পার্থক্য মাত্র ০.৪ ডিগ্রির!
অবশ্য সোমবারই নয়, রবিবারও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই দিন দার্জিলিংয়ের (৪.৮ ডিগ্রি) সঙ্গে পুরুলিয়ার (৫.৮ ডিগ্রি) পারদ-পার্থক্য ছিল মাত্র এক ডিগ্রির।
শুধু পুরুলিয়া আর দার্জিলিং বলেই নয়, বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গার তাপমাত্রা কম। যেমন কাঁথিতে এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি। কিন্তু কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে তা ছিল ১০ ডিগ্রি। আবার কালিম্পং আর পানাগড়ের তাপমাত্রাও কার্যত এক।
কেন এমন চমক
কিন্তু দার্জিলিংয়ের সঙ্গে পুরুলিয়ার পারদের মাত্র এই সামান্য পার্থক্য যথেষ্ট চমকপ্রদ। তাই প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে?
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, “রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং সন্নিহিত ওড়িশায় একটি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে। সেটি উত্তর ভারত থেকে শীতল উত্তুরে হাওয়া দক্ষিণবঙ্গের দিকে টেনে নিয়ে আসছে। পুরুলিয়া মালভূমি অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার ফলে কিছুটা উচ্চতা রয়েছে, তাই সেখানেই তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে।”
অন্য দিকে উত্তরপূর্ব ভারতে ঘূর্ণাবর্তের ফলে দার্জিলিংয়ে পুবালি হাওয়া বইছে। হাওয়ার দিক পরিবর্তনের ফলে সেখানে ঠান্ডা অনেকটাই কমে গিয়েছে, এমনই জানান রবীন্দ্রবাবু। এর ফলেই দার্জিলিংয়ে আচমকা তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে।
আগামী দু’-তিন দিন দার্জিলিংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা যে হেতু খুব একটা নামেনি, তাই এই শৈলশহরে তুষারপাত কোনো ভাবেই হতে পারবে না।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
শনিবার নিয়েছিলেন টিকা, রবিবার উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্মীর
রাজ্য
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
২ জানুয়ারির পর সব থেকে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হল কলকাতায়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে শীত পড়েছে ভালোই। শীতের এই ইনিংসে কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে না নামলেও জেলাগুলিতে জব্বর ঠান্ডা পড়েছে। রবিবার পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল পাঁচ ডিগ্রির ঘরে।
তবে মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গে ফের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে ফের শীত ফিরবে। অন্য দিকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টায়।
সোমবার কোথায় কেমন তাপমাত্রা
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ জানুয়ারির পর এতটা নীচে নামল কলকাতার তাপমাত্রা। উপকণ্ঠের দমদমে এ দিন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১২.৭ ডিগ্রিতে। অন্য দিকে ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে।
পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে জব্বর শীত অব্যাহত। কাঁথিতে এ দিন তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে। পানাগড় এবং খড়গপুরে এ দিন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯ এবং ৯.৯ ডিগ্রি। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ অঞ্চলেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে।
এ দিকে দার্জিলিংয়ে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা খুবই বেশি। তুলনায় ডুয়ার্সে শীত রয়েছে ভালোই। শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দশ ডিগ্রির নীচে। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি।
দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা, উত্তরে বৃষ্টি
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার পূর্বাভাস, মঙ্গলবার এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কলকাতায় বেড়ে ১৮ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যেতে পারে। তবে গত সপ্তাহে যে ভাবে গরম পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে, তেমনটা হবে না।
অন্য দিকে উত্তরবঙ্গে আগামী তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সান্দাকফু-ফালুটে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বিশেষ কমেনি বলে দার্জিলিং শহরে এখনই বরফ পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে শিলাবৃষ্টি বা তুষারবৃষ্টি (Sleet) হতে পারে।
কিছু দিন আগে উত্তর ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিয়েছিল। তার প্রভাবেই উত্তরে বৃষ্টি এবং দক্ষিণে পারদ বাড়বে।
ফের কমবে তাপমাত্রা
তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের শীত ফিরতে পারে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমলেও, ডিসেম্বরের শুরুতে পারদ যেমন কমেছিল, ততটা আর নামবে না। জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত শীত ভালো ভাবেই বজায় থাকবে, এই ব্যাপারটা নিশ্চিত।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আজ থেকে আর প্রয়োজন নেই ই–পাসের, খুলছে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনের একাধিক গেটও

কলকাতা: প্রায় সাড়ে ছ’মাস পর রাজ্যের দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ফের ছ’শোর নীচে নামল রবিবার। এর আগে গত ২৮ জুন শেষ বার এই সংখ্যা ছ’শোর নীচে ছিল। তবে আগের দিনগুলির তুলনায় এ দিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেশ কিছুটা কমেছে।
রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৫। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৭২-এ।
অন্যদিকে এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৬২১ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৬। সুস্থতার হার ঠেকেছে ৯৬.৯৭ শতাংশে। সারা দেশের গড় সুস্থতার হারের থেকে যা সামান্য এগিয়েছে। দেশের গড় সুস্থতার হার এখন ৯৬.৫৬ শতাংশ।
আরও কমল সক্রিয় রোগী
এক দিকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়া, অন্যদিকে সুস্থতা বেড়ে যাওয়ার উপর ভর করে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ৬৮ জন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন কোভিডরোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৩। মোট আক্রান্তের তুলনায় সক্রিয় রোগীর হার এখন ১.২৫ শতাংশ। যা সারা দেশের গড় হারের অনেকটাই কম। এ দিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, সারা দেশে সক্রিয় রোগীর গড় হার ২ শতাংশ।
এ দিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন কোভিডরোগীর, এখনও পর্যন্ত মোট মৃত ১০ হাজার ৫৩।
সংক্রমণের হার সামান্য বাড়ল
তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার অতিসামান্য বেড়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে কমেছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২৬ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২.১৫ শতাংশে। আগের দিন যা ছিল ২.০২ শতাংশ।
এ দিকে রাজ্যে সামগ্রিক সংক্রমণের হারও সামান্য হলেও কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৭.৩৯ শতাংশ।
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণায় দৈনিক আক্রান্ত দু’শোর নীচে
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন সংক্রমণ দুশোর নীচে নেমে এসেছে শেষ কয়েক দিন ধরেই। যদিও, দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায় এখন কলকাতার উপরে থাকছে উত্তর ২৪ পরগণা।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১৬৫ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ১৭৪ আর উত্তর ২৪ পরগণায় ১৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। কলকাতায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় দু’জনের এবং উত্তর ২৪ পরগনায় তিন জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়তে পারেন: দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৪৪ শতাংশ]
জেলায় জেলায়
এ দিন বাকি জেলাতেই দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের মতো থাকলেও বেশ কয়েকটিতে সামান্য ওঠানামা ধরা পড়েছে।
উল্লেখ্য যোগ্য ভাবে এ দিন বাঁকুড়া (২৬), হুগলি (২৬), হাওড়া (২৪), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৪), পূর্ব মেদিনীপুর (২০) বাদ দিলে বাকি সমস্ত জেলাতেই দৈনিক সংক্রামিতের সংখ্যা ২০-র নীচে।
[আরও পড়তে পারেন: দৈনিক সংক্রমণ অপরিবর্তিত, সক্রিয় রোগী কমল দু’হাজারের উপর]
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মেথি?