কলকাতা: আপেক্ষিক দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে পশ্চিমবঙ্গে করোনার দৈনিক সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। কিন্তু পরিসংখ্যানগুলো একটু তলিয়ে দেখলেই একটা ভালো খবর পাওয়া যাবে। তা হল গত সাত দিনে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের বৃদ্ধির হার কিন্তু তার আগের সাত দিনের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। অর্থাৎ, কিছুটা হলেও বৃদ্ধির গতিতে লাগাম পড়েছে এ রাজ্যে।
বুধবার অর্থাৎ ৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩৫২ জন। এর সাত দিন আগে, অর্থাৎ ৩০ জুন রাজ্যে সংক্রমণ ছিল ১ হাজার ৫২৪ জন। অর্থাৎ এই সাত দিনে রাজ্যে নতুন সংক্রমণ বেড়েছে ৫৪.৩৩ শতাংশ।
অন্যদিকে ৩০ জুনের সাত দিন আগে, অর্থাৎ ২৪ জুন রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৫৭ জন। ফলে ২৪ থেকে ৩০ জুন রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে ১৩১.৯৬ শতাংশ।
এ দিকে ২৪ জুনের সাত দিন আগে, অর্থাৎ ১৮ জুন রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৮৮ জন। ফলে ওই সাত দিনে রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল ১২৮.১২ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ২৪ থেকে ৩০ জুনের মধ্যেই রাজ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। তার পরের সাত দিন কিন্তু বৃদ্ধির হারটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এ বার সংক্রমণের হারের বৃদ্ধির হারে একবার চোখ বোলানো যাক।
বুধবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১৬.২৪ শতাংশ আর ৩০ জুন ছিল ১২.৮৯ শতাংশ। ফলে এই সাত দিনে রাজ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ২৫.৮৯ শতাংশ। আবার ২৪ জুন রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৭.০৪ শতাংশ। ফলে ২৪ থেকে ৩০ জুন রাজ্যে সংক্রমণের হার বাড়ে ৮৩.০৯ শতাংশ। ১৮ জুন রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২.৪২ শতাংশ। ফলে ১৮ থেকে ২৪ জুন রাজ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে ১৯০.৯০ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে রাজ্যে সংক্রমণের হারের বৃদ্ধিতে একটু একটু করে লাগাম পড়ছে। এই দুটি পরিসংখ্যান থেকে একটি বিষয়ে উপনীত হওয়া যায়, তা হল রাজ্যে করোনার চলতি স্ফীতি সম্ভবত চূড়ার কাছাকাছি চলে এসেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সেই চূড়া পেরিয়ে নিম্নমুখী হতে পারে সংক্রমণ।
আরও পড়তে পারেন
প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বিতীয় ও বুস্টার টিকার মধ্যে ব্যবধান কমে ৬ মাস
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা
পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্স ফাঁসকাণ্ডে বাংলাদেশে তদন্তের নেতৃত্বে দেবে সিআইডি
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।