কলকাতা: মঙ্গলবার লোকসভার ভোটগণনা। বাংলায় ফের এক বার বিজেপিকে নাস্তানাবুদ হতে হল তৃণমূলের কাছে। এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এল সন্দেশখালি।
ভোটের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালিকাণ্ড। মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছিল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের এই অঞ্চলের নাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহান আর তাঁর বাহিনীর ‘অত্যাচারের কাহিনি’ ফলাও করে দেখানো হচ্ছিল বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে। এই সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করেই রাজনৈতিক লাভালাভের অঙ্ক কষতে শুরু করেছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী থেকে শুরু করে একাংশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সন্দেশখালির এই আন্দোলনকে কার্যত লুফে নিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি। শুধু কি তাই, হাজি নুরুলের মতো জাঁদরেল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সেই কৌশলেই বসিরহাটের প্রার্থী হিসাবে বিজেপি বেছে নেয় স্থানীয় এক মহিলা রেখা পাত্রকে। শোনা যায, তিনি না কি সন্দেশখালির এই আন্দোলন থেকে উঠে এসেই নজরে পড়ে যান খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ উপরতলার বিজেপি নেতাদের।
এ বছরের শুরুর দিকে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির উপরে হামলার ঘটনা, শেখ শাজাহান, শিবু হাজরার মতো তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি এবং গ্রামবাসীদের এই আন্দোলনকে সামনে রেখে উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য। এবং জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে সন্দেশখালির কথা পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের বাইরে। তাবড় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করেছিলেন, বসিরহাট তো বটেই সমগ্র বাংলার ভোটে প্রভাব ফেলবে সন্দেশখালিকাণ্ড। কিন্তু ভোটের ফলাফলে তার তেমন কোনো চিহ্ন অমিল।
এ দিন স্বয়ং মমতাও বলেন, “যে সন্দেশখালি নিয়ে এত অপপ্রচার, কুৎসা, আমার মা-বোনেদের অসম্মান করেছে, সেই সন্দেশখালিতেও আমরা জিতেছি।”
আরও পড়ুন: অভিষেকের জয়ে শুভেন্দুর ‘বিপর্যয়’! তৃণমূলের কোন অস্ত্রে বাংলায় ঘায়েল বিজেপি?