রাজ্য
এক প্রার্থী বছরে আয়কর দেন ৩০ লক্ষ টাকা, অন্য জনের সম্বল বাস-ট্রেন!
কলকাতা: মহেশতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম। প্রচারও চলছে জোরকদমে। তবে রাজনৈতিক চৌহদ্দির গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রচারে উঠে এল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যক্তিগত জীবন। মহেশতলার সদ্য প্রয়াত বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে তাঁর স্বামী দুলাল দাসকে। দুলালবাবুর আর এক উজ্জ্বল পরিচয় তিনি কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর মহাশয়। […]
কলকাতা: মহেশতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম। প্রচারও চলছে জোরকদমে। তবে রাজনৈতিক চৌহদ্দির গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রচারে উঠে এল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যক্তিগত জীবন।
মহেশতলার সদ্য প্রয়াত বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে তাঁর স্বামী দুলাল দাসকে। দুলালবাবুর আর এক উজ্জ্বল পরিচয় তিনি কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর মহাশয়। এ ছাড়া তিনি এলাকার একজন বড়ো মাপের ব্যবসায়ী হিসাবেও পরিচিত। স্ত্রী ও নিজের নামে ডজনখানের গুদাম ঘর রয়েছে। প্রায় তিন দশকের অধিক সময় ধরে তিনি ওই ব্যবসায় নিযুক্ত রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যে বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক, সে কথা নিজের মুখেই স্বীকার করেন।
অন্য দিকে এলাকার অতি সাধারণ যুবনেতা প্রভাত চৌধুরী হয়েছেন সিপিএমের প্রার্থী। তাঁর অতি সরলের জীবনযাপনই এখন দলীয় প্রচারের বড়ো হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক স্লোগানের থেকেও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে প্রভাতবাবুর সাদামাটা জীবনযাপনের কাহিনি।
আরও পড়ুন: মহেশতলা উপ-নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অন্তর্কলহ বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে
এই বৈপরীত্যই বারবার ঘুরেফিরে শোনা যাচ্ছে মহেশতলার আনাচেকানাচে। এক জন প্রার্থী অকপটে স্বীকার করছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিলে বছরে আয়কর দেন ৩০ লক্ষ টাকা, তিনি বহুদিন থেকেই ব্যবসায় যুক্ত। তখন অন্য প্রার্থীকে লোকে প্রথম থেকেই দেখে আসছে আদ্যন্ত রাজনীতিক হিসাবেই। ছাত্রজীবন পার হয়েই সিপিএমের যুব সংগঠনে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই কাজ করেছেন। তারপরেই শ্রমিক সংগঠন। বর্তমানে প্রভাতবাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সদস্য।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মহেশতলা বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী কস্তুরী দাস পেয়েছিলেন ৪৮.৬০ শতাংশ এবং সিপিএম প্রার্থী শমীক লাহিড়ি পেয়েছিলেন ৪২.২০ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, এ বার ভোটে ৬.২ শতাংশ ভোটের ব্যবধান যে খুব সহজে ডিঙোনো সম্ভব নয়, তা বলাই বাহুল্য। গত নির্বাচনেও কংগ্রেস সমর্থন করেছিল সিপিএমকে। এ বারও তার অন্যথা ঘটছে না। কিন্তু মহেশতলার ক্ষুদ্ৰশিল্পের সঙ্গে জড়িত একটি বৃহদাংশ ভোটারের কাছে পৌঁছতে প্রভাতবাবুর সেই ব্যক্তি পরিচিতিকেই হাতিয়ার করছে সিপিএম।
রাজ্য
‘আপনি আমাকে স্বার্থপর বলতেই পারেন কিন্তু…’, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী
কীসের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিলেন মিঠুন, খোলসা করে জানালেন নিজেই!

খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানে অভিনেতা এবং প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। একই সঙ্গে বছর ছয়েক আগে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টিকে ‘খারাপ সিদ্ধান্ত’ হিসেবেই অভিহিত করলেন অভিনেতা।
এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মিঠুন বলেন, এর আগে তিনি নিজে থেকে কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হননি। তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল এবং সেটা ছিল তাঁর একটা ‘খারাপ সিদ্ধান্ত’।
রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন মিঠুন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছিলেন ২০১৪-র এপ্রিল। তবে বছর দুয়েক পরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে তিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেন।
তিনি বলেন, “আমি রাজ্যসভার সাংসদপদ ছেড়ে দিলাম, আমি কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না যে এটা তাঁদের দোষ ছিল। এটা আমার একটা খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। তা যাইহোক, এই বিষয়টাকে এখানেই শেষ করা যাক”।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমি গরিবের সঙ্গে থাকব। গরিবকে সাহায্য করব। এবং গরিবদের সম্মান ফিরিয়ে দেব। ছোটোবেলা থেকেই সেই স্বপ্ন দেখতাম। আমার স্বপ্ন সার্থক করতে হলে একটা রাজনৈতিক দলের হাত ধরতেই হতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই (Narendra Modi) সেই যোগ্য ব্যক্তিত্ব”।
৭০ বছর বয়সি অভিনেতা বলেন, “আপনি আমাকে স্বার্থপর বা অন্য যা কিছু বলতে পারেন। কিন্তু আমার স্বার্থপরতার পিছনে মূল কারণ হল আমি গরিব মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই, আমি তাঁদের পক্ষে লড়াই করতে চাই”।
তিনি আরও বলেন, বিজেপির সিনিয়র নেতারা পশ্চিমবঙ্গে দলকে দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিয়েছেন। তিনি আত্মবিশ্বাসী, ২৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া আট দফার বিধানসভা নির্বাচনে জিতবে বিজেপি।
তাঁর কথায়, “বিজেপি যে সরকার তৈরি করছে, এটা নিশ্চিত। এবং আমরা সবাই মিলে যদি প্রধানমন্ত্রীর ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণ করতে পারি তবে আমার তো গর্ব হবেই”।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পর থেকেই জল্পনা ক্রমশ গাঢ় হয়। এ দিন জল্পনাই পরিণত হল বাস্তবে।
আরও পড়তে পারেন: ‘রাবণকে সাহায্য করে রামকে মারতে চাইছেন’? মিঠুন চক্রবর্তীর ১০টি জনপ্রিয় সংলাপ
জলপাইগুড়ি
‘নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা’? জানতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদী, শিলিগুড়ি থেকে জবাব চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে শুরু করে ভেনাস মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডে তখন সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রান্নার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেলের দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মোদীর জবাব চাইলেন মমতা।
পদযাত্রা শেষে মমতা বলেন, “গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে প্রতীকী মিছিল করেছি। প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বাংলায় কোনো কাজ করতে আসেন না। কুৎসা, অপপ্রচার করতে আসেন। রাজনৈতিক কারণে আসতেই পারেন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আজ আপনি বাংলায় প্রচার করতে এসেছেন, জবাব দিন কেন এলপিজি গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা হয়েছে। জবাব আপনাকে দিতেই হবে। পেট্রোল, ডিজেলের দাম কেন বাড়ছে জবাব দিন”।
আক্রমণ তীব্র করে মমতা বলেন, “বিনা পয়সার চাল ফোটাতে গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা? আপনারা জিজ্ঞাসা করুন। বাংলায় এসে বলছে এখানে পরিবর্তন হবে। আরে বাংলায় তৃণমূল থাকবে, দিল্লিতে পরিবর্তন হবে। আপনাকেই চলে যেতে হবে। যে পাঁচটা রাজ্যে ভোট আছে, প্রতিটা জায়গায় হারবেন। লজ্জা নেই, চলে এসে বলছে, বাংলায় মহিলাদের সম্মান দেওয়া হয় না। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বলছে মহিলাদের অপমান করা হচ্ছে। এখানকার মেয়েরা বাইরে রাতের রাস্তায় বেরোতে পারে, বিজেপিশাসিত রাজ্যে যা পারে না। এখানে এসে বড়ো বড়ো কথা বলছেন। বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবে বলছে, সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করে দিয়ে এ সব কথা আসে কোথা থেকে”।
তোলাবাজি অভিযোগের পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, “কোভিডের সময় ভয়ে এক দিনের জন্যেও আসেনি। আর এখন ঘনঘন আসছেন। কোভিডের ভ্যাকসিনেও নিজের মুখ লাগিয়ে দিয়েছে। এ রকম হয় । রাস্তা, ঘরবাড়ি, স্টেডিয়াম নিজের নামে করে নিয়েছে। এখন শুধু ভারতের নাম বদলটাই বাকি। তাই বাংলায় বারবার এসে বলে তোলাবাজি। সব থেকে বড়ো তোলাবাজ তো আপনি। দেশে একটাই সিন্ডিকেট চলছে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের সিন্ডিকেট।”।
মোদীর ব্রিগেড সমাবেশকে নিশানা করে মমতা বলেন, “একগাড়ি কয়লার কত দাম, একটা ট্রেনের কত দাম। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার দূর্নীতি হয়েছে। মানুষের রান্না ঘরে আগুন জ্বলছে। মানুষের সমস্যার কথা বলতে এসেছি। ভোট চাইতে আসিনি। মোদী যখন ফাঁকা ব্রিগেডে বক্তৃতা করেন, তখন আমি রাস্তায় থাকি। রাস্তাই আমাকে রাস্তা দেখা যায়”।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
রাজ্য
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
রইল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং বক্তব্যের আপডেট-

খবর অনলাইন ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির মেগা ইভেন্ট। সভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে এ দিনের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে রাজ্যের পরিবর্তনের জোরালো আওয়াজ তুললেন তাঁরা। রইল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং বক্তব্যের আপডেট-
বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ মঞ্চে ‘বাঙালিবাবু’ মিঠুন চক্রবর্তী। এ দিনই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

গত শনিবার কলকাতায় আসেন মিঠুন। এ দিন ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মিঠুনের ব্রিগেডে পৌঁছনোর পথে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা একাধিক বার তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন। বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটে সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে আটকে পড়েছিল তাঁর গাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীরা রাস্তা পরিষ্কার করে মিঠুনের গাড়ি রওনা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। মঞ্চে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত জানান কৈলাস।
মিঠুন ছাড়াও বিজেপির ব্রিগেডে রয়েছেন একাধিক অভিনেতা। যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়রা উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও।
কে কী বললেন?
সায়ন্তন বসু: টিএমসি মানে টাকা মারো কোম্পানি। চাকরির নামে প্রতারণা করেছে তৃণমূল। মোদি দিচ্ছেন টাকা, দিদি নিচ্ছেন কমিশন। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম বদলে টাকা লুঠ করছে তৃণমূল।
লকেট চট্টোপাধ্যায়: বাংলায় কোনো শিল্প নেই। সিঙ্গর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছিল। কথায় কথায় খেলা হবে, মানুষ কি ফুটবল? উন্নয়ন না করে এখন ভয় দেখাচ্ছে মানুষ। ২ মে ম্যাজিক হবে ইভিএম-এ। কাকে খেলা বলে, বাংলার মানুষ দেখিয়ে দেবেন
অর্জুন সিংহ: ভোটের ফল ঘোষণার আগে পিসি-ভাইপো ব্যাঙ্ককে পালাবেন। রাজ্যে ৯৫ হাজার কলকারখানা বন্ধ। বাংলায় শিল্প বলে কিছু নেই। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভাতা ও ভাঁওতার সরকার।
শমীক ভট্টাচার্য: তৃণমূল চলে যাবে। কেউ আর আটকাতে পারবে না। আমরা নিজেদের ক্ষমতাতেই কেন্দ্রে পর পর দু’বার সরকার গঠন করেছি। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি সরকার গঠন করবে। সাত আগে একটা ব্রিগেড হয়েছিল, সেখান থেকে পরিষ্কার ভাবে ভাগিদারির ডাক দেওয়া হয়েছিল। তাদের ট্র্যাডিশন বদলায়নি। বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। কংগ্রেস-সিপিএম এতদিন মালাবদল করেছেন, এখন সঙ্গে ভাইজান।ভাইজানকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারী: হয়বরল জোট হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ওরা একজোট হয়েছে। দার্জিলিং সুইজারল্যান্ড হয়নি, কলকাতা লন্ডন হয়নি। কিন্তু তৃণমূল যদি ফিরে আসে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে যাবে। তাই এই সরকারকে তুলে ফেলতে হবে। আমরা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি থেকে এখানে এসেছি, আপনাদের সমূলে তুলে ফেলে দিতে। তোলাবাজ ভাইপো শুনে রাখুন। বাংলা মানুষ জেনে রাখুন ওরা ফিরলে মানুষের কিডনি পাচার করবে। দিল্লি এবং কলকাতায় একই সরকার চাই। নন্দীগ্রামে আমি মাননীয়াকে হারাবোই।
মিঠুন চক্রবর্তী: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সব থেকে নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখানে আসছেন। আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কানাগলিতে জন্মে মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে। এটা স্বপ্ন ছাড়া আর কি? আমি যা বলি, তা করে দেখাই। আমি জলঢোড়াও নয়, বেলোবোড়াও নই। আমি একটা কোবরা। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি। এ বার কিন্তু সেটাই হবে।
মুকুল রায়: মাঠটা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এত ক্ষণ ধৈর্য্য ধরেছেন, আর একটু ধরুন। আজকের এই সমাবেশের আওয়াজ পৌঁছে যাক নবান্নে। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর যোগ্য ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী মোদী।
দিলীপ ঘোষ: আগামী নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসনে জিতে সরকার গড়বে বিজেপি। এই বার, ২০০ পার।
নরেন্দ্র মোদী: কলকাতা এবং বাংলা পুরো ভারতের প্রেরণা। বাংলার মাটি আমাদের সংস্কার তুলে ধরেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার মাটি প্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলার মহাপুরুষরা এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ভাবনাকে মজবুত করেছিলেন।
বাংলার মানুষ মমতার উপর ভরসা করেছিলেন। দিদি আর তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সেই ভরসা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। বাংলাকে অপমান করেছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ পরিবর্তনের আশা ছাড়েনি। বাংলা চায় উন্নতি, সম্প্রতি, শান্তি। বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা।
আমরা কাজ, সমর্পণ, পরিশ্রমের মাধ্যমে এখানে বিজেপির সরকার গড়ব। আসল পরিবর্তনই আমাদের মন্ত্র। আসল পরিবর্তন মানে, এমন একটা বাংলা যেখানে যুবদের হাতে কাজ থাকবে, শিক্ষার অভাব হবে না। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য উপচে পড়বে। বিনিয়োগ আসবে।
উত্তর হোক বা দক্ষিণ বঙ্গ, পশ্চিম অংশ হোক বা জঙ্গলমহল, সব জায়গাতেই সমান ভাবে উন্নয়ন হবে। যেখানে সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাসই রাজ্য পরিচালনার মন্ত্র হবে। বাংলার ক্ষমতা, সামর্থ্যকে দমাতে পারেনি স্বাধীনতার আগে।
বাংলার সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, বাংলার উন্নয়নের জন্য এবং বাংলাকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভোট দিন। বাংলার সমস্ত শিল্পের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। সেই কাজকে সফল করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো মূল্যে এগিয়ে যেতে হবে। কলকাতার যেমন ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে, তাকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০তম পূর্তিতে বাংলা আবার ফের দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করবে।
গোটা বাংলা এক স্বরে বলছে, আর নয় অন্যায়। তৃণমূল সরকারের আয়ু কমে আসছে। আজ গোটা দেশ শুনুক, দুর্নীতি আর নয়, তোলাবাজি আর নয়, কাটমানি আর নয়, সিন্ডিকেট আর নয়, বেকারত্ব আর নয়, হিংসা আর নয়, আতঙ্ক আর নয়, তুষ্টিকরণ আর নয়, অন্যায় আর নয়।
এত জোরে বলুন যাতে আপনাদের রাগ, ক্ষোভ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।…শুনলেন তো দিদি! এটা বাংলার মানুষের আওয়াজ। ১০ বছর পর মানুষ জানতে চাইছেন, দিদি হিসেবে আপনাকে বেছে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু আপনি নিজেকে শুধু ভাইপোর পিসি হিসেবেই সীমাবদ্ধ করে রেখেছিলেন।
আরও পড়তে পারেন: ‘নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা’? জানতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!.
-
রাজ্য2 days ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক3 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
রাজ্য2 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য1 day ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য