ওয়েবডেস্ক: শনিবার সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁর স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে সরসরি নিশানা করলেন বিজেপিকে।
রবিবার স্থানীয় মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং নমুনা সংগ্রহের পর অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পলাতক এক দনের খোঁজ চলছে। সূত্রের খবর, ফুলবাড়িতে গত শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিধায়ককে ঘিরে ধরে তিন দুষ্কৃতী। তার পরই তাদের মধ্যে এক জন তাঁকে গুলি করে পালায়।
এ দিন বিধায়কের স্ত্রী স্পষ্টতই দাবি করেন, “এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা”। কিন্তু সত্যজিৎবাবু এলাকায় য়থেষ্ট দাপুটে, সৎ এবং জনপ্রিয় হিসাবেই পরিচিত ছিল। তা হলে খুন করবে কে?
সত্যজিৎবাবুর স্ত্রী নিজেদের ১০ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে অভিযোগ করেন, “আততায়ী আগে তৃণমূলে ছিল। এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। পুরনো কোনো আক্রোশের বদলা নিতেই সে আমার স্বামীকে খুন করেছে”।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুজিত মণ্ডল এবং এবং কার্তিক মণ্ডল নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। এ ছাড়া স্থানীয় অভিজিৎ পুন্ডারি নামে বিজেপি কর্মীরও খোঁজ চলছে। অন্য দিকে কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে হাঁসখালির ওসি অনিন্দ্য বসু ও সত্যজিৎবাবুর দেহরক্ষীকে। দু’জনের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
[ আরও পড়ুন: নদিয়ায় তৃণমূল বিধায়ক খুনে গ্রেফতার ২ ]
উল্লেখ্য, এ দিন সকালেই ময়না তদন্তের পর সত্যজিৎবাবুর নশ্বর দেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান এলাকার অংসখ্য মানুষ। দূর-দূরান্ত থেকেও অগুন্তি মানুষ হাজির হন হাঁসখালিতে। নদিয়া যান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নদিয়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল-সহ অনেকেই।