রাজ্য
বিধানসভায় হাজির হয়ে চমকে দিলেন দেবশ্রী রায়!

ওয়েবডেস্ক: গত ১৪ আগস্ট থেকেই ঘুরেফিরে খবরে রয়েছেন রাইদিঘির তৃণমূল বিধায়ক তথা টলিউড অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তাঁর বিজেপি-যোগের জল্পনা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতেই বুধবার বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিলেন তিনি।
শেষ হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। গত ২৬ আগস্ট অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেও তাঁকে দেখা যায়নি একটিবারের জন্য। তবে, কখনও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়ির সামনে অথবা কখনও দিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে তাঁর খোঁজ মিলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন তাঁকে বিধানসভায় দেখে চমকে যান তাঁর সহ-রাজনীতিকরাও।
দেবশ্রী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য— একটি তথ্য ও সংস্কৃতি এবং অন্যটি স্বাধিকার। এ দিন স্বাধিকার সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিতেই তিনি বিধানসভায় যান বলে জানা যায়।
দেবশ্রীর বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে গত ১৪ আগস্ট থেকে। ওই দিনই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভনের ‘অসময়ের বন্ধু’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন দেবশ্রীকে নিয়ে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে এক প্রস্থ নাটক হয়ে যায়। তার পরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক সপ্তাহ। কিন্তু দেবশ্রী-শোভন-বৈশাখী ত্রিকোণ রাজনীতি বিতর্কে দাঁড়ি পড়েনি।
তবে এ দিন দেবশ্রীর বিধানসভা-গমন দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, আপাতত বিজেপিতে যোগ দেওয়া হচ্ছে না দেবশ্রীর। সে কথা বুঝেই দেবশ্রী ফের একবার তৃণমূলে নিজের পরিস্থিতি সহজ করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও তিনি নিজে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্যই করেননি।
রাজ্য
তৃণমূলে যোগ দিলেন সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি-সহ আরও অনেকেই
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ঊষা চৌধুরী।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংসদ সৌগত রায়ের হাত থেকে শাসক দলের পতাকা তুলে নিলেন সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি (Aditi Munshi)। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল।
তৃণমূল-যোগ অনুষ্ঠানে সৌগত বলেন, “অদিতি পরিচিত মুখ।বিদেশেও গিয়েছে। আমি অদিতিকে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানাচ্ছি। সাম্প্রতিক কালে তার যোগদান বিশেষ ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য”।
রাজ্য সরকারি অনুষ্ঠানে এর আগে একাধিক বার সংগীত পরিবেশন করতে শোনা গিয়েছে অদিতিকে। এ দিন যোগদান মঞ্চেও তিনি গান শোনালেন। বলেন, “আমাকে যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। তৃণমূলের কর্মী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই কাজ করব”।
এ দিনই রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার নেতৃত্বে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন টেলিভিশন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ঊষা চৌধুরী, ভোজপুরী অভিনেতা-পরিচালক ধীরজ পণ্ডিতও শাসক শিবিরে যোগ দেন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলে টলিউডের বিভিন্ন পরিচিত মুখ যোগ দিচ্ছেন। শাসক শিবিরের থেকে খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও যুযুধান বিজেপি-ও তারকাদের যোগদান করাচ্ছে। যেমন সোমবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টলি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজনীতিতে টলিউড-যোগ রীতিমতো ধারাবাহিক ভাবেই চলছে। তৃণমূল, বিজেপি উভয় দলেই নাম লেখাচ্ছেন অভিনেতারা।
আরও পড়তে পারেন: রাজ্যের ৯৭ বিধায়ক কোটিপতি, ধনীর তালিকায় প্রথম তিন শাসক দলের
রাজ্য
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্য সরকারের
আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে, নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

খবর অনলাইন ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী সপ্তাহে ওই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা ছিল। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে বৃহস্পতিবারই ওই আবেদনের শুনানি করে উচ্চ আদালত।
এ দিন সাড়ে ১৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্তের কথা জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে।
হাইকোর্ট দু’সপ্তাহের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে, মেধা তালিকা শুধুমাত্র ওয়েবসাইটে নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ডিআই অফিসেও তা টাঙাতে হবে। এ ছাড়া প্রাইমারি টেট সংক্রান্ত মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠায় ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের মধ্যে ১৫,২৮৪ জনের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু মেধা তালিকায় কারচুপির অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেন। তবে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।
আরও পড়তে পারেন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
রাজ্য
রণকৌশল বদল! পশ্চিমবঙ্গের ভোটের মুখে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিল শিবসেনা
রাজ্যের ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল শিবসেনা! এখন রণকৌশল বদল!

খবর অনলাইন ডেস্ক: রণকৌশল বদল করল শিবসেনা! পশ্চিমবঙ্গের ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিল উদ্ধব ঠাকরের দল।
“দিদি বনাম বাকি সব”
শিবসেনা বৃহস্পতিবার রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করল। মহারাষ্ট্র ভিত্তিক দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এ দিন মমতাকে “রিয়েল বেঙ্গল টাইগেরস” হিসাবে অভিহিত করে বলেছেন, এ বার “দিদি বনাম বাকি সব” লড়াইয়ের শিবসেনা অংশ নেবে না।
মাস দুয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিবসেনা। সঞ্জয় বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পরে পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁরা কলকাতায় আসছেন।
কী বলেছিল শিবসেনা
টুইটারে সঞ্জয় লেখেন, “বহুপ্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্তটি সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পর নেওয়া হয়েছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের ভোটে প্রার্থী দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসছি…। জয়হিন্দ, জয় বাংলা”।
পাশাপাশি শিবসেনার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার জানুয়ারির শুরুতেই ঘোষণা করেন, শিবসেনা, আমরা বাঙালি, উত্তরবঙ্গ সমাজ পার্টি, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী পরিষদ এবং ঝাড়গ্রামের কোনো সংগঠনকে নিয়ে তৈরি জোট পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেবে।প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থির হয়েছিল, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং অন্য জেলাগুলিতে প্রার্থী দেওয়া হবে। গুরুত্ব দেওয়া হবে দমদম, ব্যারাকপুর, বিষ্ণুপুর এবং অন্য়ান্য জায়গাগুলিকে।
এখন কী বলছে শিবসেনা
এ দিন অবশ্য সেই পরিকল্পনা থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে মন্তব্য করেছেন সঞ্জয়। তিনি লিখেছেন, “শিবসেনা পশ্চিমবঙ্গের ভোটে প্রার্থী দেবে কি না, তা জানার জন্য একটা বড়ো অংশের মানুষ অপেক্ষা করে রয়েছেন। দলের সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পর স্থির হয়েছে, আমরা পৃথক ভাবে প্রার্থী দেব না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করব”।
সঞ্জয় লিখেছেন ‘দিদি বনাম বাকি সব কিছু’র লড়াই। বাকি সব কিছুর মধ্যে অর্থ, পেশি শক্তি এবং সংবাদ মাধ্যমকেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিবসেনার বিশ্বাস, এ সবের বিরুদ্ধে জয়ী হবেন মমতা-ই!
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের শাসক জোট মহা বিকাশ আগাধি-র অন্যতম শরিক শিবসেনা। জোটের অন্য দুই শরিক কংগ্রেস এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কেন্দ্রে এনডিএ জোটের অংশ হলেও পশ্চিমবঙ্গে পৃথক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল শিবসেনা।
আরও পড়তে পারেন: রাজ্যের ৯৭ বিধায়ক কোটিপতি, ধনীর তালিকায় প্রথম তিন শাসক দলের