কলকাতা: অসমের তিনসুকিয়ায় পাঁচ যুবককে গুলি করে মারার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বাংলা জুড়ে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সে দিন দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর এইটবি বাসস্যান্ড থেকে হাজরা মোড়ের মিছিলে অংশ নেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে বিজেপির রথের দড়ি-চাকা কিছুই থাকবে না”। যথারীতি তাঁর এ হেন মন্তব্যের পর গেরুয়া শিবির থেকে উড়ে আসছে একের পর এক পালটা জবাব।
আগামী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বাংলায় সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজেপি। সে কারণেই ডিসেম্বরে তিনটি রথযাত্রার আয়োজন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতির কথাও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির রথ রুখতে সরব কংগ্রেস, সিপিএম-সহ সমস্ত বামপন্থী দলগুলি। এ বিষয়ে অবশ্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তেমন কোনো জোরালো কর্মসূচি না নেওয়া হলেও অভিষেকের বক্তব্য যথেষ্ট ভাবাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে।
অভিষেকের বক্তব্যের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইটারে লিখেছেন, ‘এতই যদি ক্ষমতা, কলকাতার বুকে বাড়ির চারদিকে এত পুলিশি ঘেরাটোপ কেন? বাংলার মানুষকে এত কীসের ভয়, জ্যামার লাগিয়ে, দশটা পুলিশের গাড়ি নিয়ে ঘুরতে হয়?’
इतनी क्षमता है तो, कोलकाता शहर के बीचों-बीच, अपने घर के चारो ओर पुलिस का पहरा क्यों? अपने गाड़ी के काले कांच के पीछे क्यों छुपते हो भाई? बंगाल के लोगों से ऐसा कैसा डर की मोबाइल जैमर लगा के, 10 पुलिस की गाड़ियों को साथ लेके ही चलते हो? @BJPLive @aajtak @News18India @sardanarohit pic.twitter.com/5o9X6YHLi0
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) November 3, 2018
চুপ করে নেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যে কুকুর কামড়াতে পারে না, তারা ঘেউ ঘেউ করে।’ একই ভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা তাঁর নিজের ঢঙেই রাজ্য-কেন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসেছেন। রাহুল বলেন, ‘বিজেপি ভারতে রাজত্ব করছে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের জমিদারি নয়।’
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যর অন্যরকম চাহিদা পূরণ সম্ভব নয় বলেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা, খোলসা করলেন তেজপ্রতাপ
এ ভাবেই চলছে একের পর এক পাল্টা জবাবে পালা!