মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত শুক্রবার এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় নতুন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ ওঠে, মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিম্নমানের স্যালাইন ও ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং স্যালাইনের বোতলে ছত্রাক পাওয়ারও অভিযোগ এসেছে। এই ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১০টি তরল ওষুধ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই ওষুধগুলি এখন থেকে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে নিষিদ্ধ। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
নিষিদ্ধ তরল ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
- রিঙ্গার ল্যাকটেট ৫০০ মিলি
- রিঙ্গার সলিউশন আইপি ইঞ্জেকশন ৫০০ মিলি
- ডেস্কট্রোজ ইনজেকশন ১০ % এমওএসএম/লিটার ৫০০ মিলি
- মানিনটোল ইনফিউশন আইপি ২০% ১০০ মিলি
- প্যারাসিটামল ইনফিউশন ১০০০ এমজি/১০০ মিলি
- অফ্লাক্সেসিন ২০০ মিলিগ্রাম/১০০ মিলি
- লেভোফ্লোক্সেসিন ১০০ মিলি
- ১/২ ডিএনএস-৫০০ মিলি
- সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন ৩ লিটার
- পেডিয়াট্রিক মেন্টেনেন্স ইলেকট্রোলাইট সলিউশন ৫০০ মিলি
এ ঘটনার পর, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চারজন রোগীও আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক, তবে বর্তমানে তাঁদের অবস্থার উন্নতি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালের সুপারকে ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছিল, এবং তার পরেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।