রাজ্য
ক্ষোভ প্রশমনে শতাব্দী রায়কে ফোন তৃণমূল নেতৃত্বের
ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগাযোগ করা যায়নি। ফের ফোন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী!

খবর অনলাইন ডেস্ক: দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যের পর সাংসদ শতাব্দী রায়কে ফোন করলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন বলে জানা যায় শুক্রবার।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শতাব্দীকে ফোন করেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। তৃণমূলের এক প্রাক্তন সাংসদ শতাব্দীর বাড়িতে যান বলেও শোনা যায়। তাঁর দাবি, তিনি বীরভূমের সাংসদের বাড়িতে থাকাকালীনই শতাব্দীকে ফোন করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
শতাব্দীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর সৌগত সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, “দলের পক্ষে শতাব্দীর সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। আমিও কথা বলেছি। বীরভূম জেলার সংগঠন নিয়ে ওর কিছু ক্ষোভ রয়েছে। দল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই। আমি ওকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছি। ও জানিয়েছে, এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না”। একই সঙ্গে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শতাব্দীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন। তখন ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে ফোন করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্য-রাজনীতির উত্তাপ বাড়িয়েছেন শতাব্দী। প্রথমে ফেসবুকে তাঁর ফ্যান ক্লাবের পেজে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া, পরের দিন দিল্লি যাওয়ার ঘোষণায় সরগরম রাজনৈতিক মহল। শতাব্দীর মূল অভিযোগ, “প্রথম বার যখন প্রার্থী হই, তখন অনেকেই বলেছিলেন, ও তো সিনেমার স্টার, ভোটে জিতে গেলে আর আসবে না। কিন্তু আমি প্রমাণ করে দিয়েছি, সেটা মিথ্যে ধারণা। কিন্তু এখন আমাকে নিজের এলাকার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ডাকা হচ্ছে না।”
আরও পড়তে পারেন: এ বার ‘বেসুরো’ তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়? ‘সিদ্ধান্ত’ ১৬ জানুয়ারি
এ ধরনেরই বিস্তৃত মন্তব্যের পর শতাব্দীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়। তবে এখনও পর্যন্ত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। বলেছেন, যাঁরা দলের সমালোচনা করছেন, তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনায় বসা উচিত।
আরও পড়তে পারেন: দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী রায়, জিইয়ে রাখলেন অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা
ও দিকে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায় রয়েছেন দিল্লিতে। জল্পনা ছড়ায়, তিনিও না কি শতাব্দীকে ফোন করেছেন আজ। তবে একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুকুল জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনো ফোন করেননি।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শতাব্দী রায়? কী বলছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখে চমক এসইউসি-র
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেল এসইউসি। জয়নগর ও কুলতলিতে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল এসইউসি।
ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কুলতলি ও জয়নগর এলাকায় এসইউসির প্রার্থীর দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেল। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস কেউ-ই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এসইউসি সবার আগে প্রার্থীর নাম লেখা দেওয়াল লিখে এগিয়ে গেলো জয়নগর ও কুলতলিতে।
জয়নগর ও কুলতলি দীর্ঘ দিন এসইউসির দখলে ছিল। বর্তমানে জয়নগর তৃণমূলের হাতে ও কুলতলিতে সিপিএম বিধায়ক। কুলতলির বিভিন্ন এলাকায় রবিবার ঘুরে এসইউসির দেওয়াল লিখন চোখে পড়ল। প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কেন দেওয়াল লিখন হল সে ব্যাপারে দলের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এ দিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের শাসক দল। শোনা যাচ্ছে, তালিকায় বেশ কিছু তারকার পাশাপাশি নাম থাকতে পারে প্রাক্তন কয়েক জন আমলার। আবার কলকাতা পুরসভার কয়েক জন বিদায়ী কাউন্সিলারের নাম থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: বেহাল রাস্তা দ্রুত মেরামতের দাবিতে এসইউসির বিক্ষোভ জয়নগরে
রাজ্য
সংক্রমণের হারকে এক শতাংশের নীচে নামিয়ে রাজ্যে নতুন সংক্রমণ ফের দুশোর নীচে
রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৪ শতাংশ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক দেশের বেশ কিছু রাজ্যে যখন করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির সে ভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো অবনতি হয়নি। বরং, শনিবারের থেকে রবিবার, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিই হয়েছে। দু’দিন পর রাজ্যে সংক্রমণের হার ফের এক শতাংশের নীচে এসেছে। পাশাপাশি নতুন সংক্রমণও নেমেছে দুশোর নীচে। যদিও, কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ এখনও কিছুটা চিন্তায় রাখছে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ১১৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৬ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ২৬৮ জন।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৩০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৪ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার কমল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৪টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ০.৯৭ শতাংশ। একই সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৭৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৭২ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৬০ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.১৫ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা, দুই জেলাতেই বর্তমানে সব থেকে বেশি দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭০ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৪৭ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৫৪ এবং ৪৭ জন। কলকাতায় এক জন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণায় কারও হয়নি।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৪১৯, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ১৬৪। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,১৮৪ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯৫৪। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১০১ এবং ২,৫০৭ জনের।
চার জেলা ছিল সংক্রমণ-শূন্য
শনিবারের মতো রবিবারও রাজ্যের চারটে জেলা ছিল নতুন সংক্রমণহীন। এই জেলাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ১৬ জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা এক অঙ্কে ছিল। এই জেলাগুলি হল জলপাইগুড়ি (১), মুর্শিদাবাদ (১), পুরুলিয়া (১), পশ্চিম মেদিনীপুর (১), পূর্ব বর্ধমান (১), কোচবিহার (২), নদিয়া (৩), বীরভূম (৩), মালদা (৪), দার্জিলিং (৫), উত্তর দিনাজপুর (৫), বাঁকুড়া (৫), পূর্ব মেদিনীপুর (৬), পশ্চিম বর্ধমান (৭), হুগলি (৭) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৮)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু হাওড়ায় (১৭) সংক্রমণ ছিল দশের বেশি।
রাজ্য
ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে ফের বিজেপির হাত ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রিগেডে বললেন সীতারাম ইয়েচুরি
ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলে কী করবেন?

খবর অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে কী করবেন? ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়ে এমন প্রশ্নের উত্তর দিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বললেন, “ত্রিশঙ্কু হলে তৃণমূল আবার এনডিএ-তে ফিরে যেতে পারে”।
ইয়েচুরি বলেন, “অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ত্রিশঙ্কু হলে কী করবেন? আমি তাঁদের বলছি, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য তাঁদের তৃণমূলের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ এর জবাব দেওয়ার জন্য তৃণমূলের অবস্থানই সব থেকে ভালো”।
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে এনডিএ-র শরিক ছিল তৃণমূল। কেন্দ্রের এনডিএ সরকারেরও তারা অংশ ছিল। যদি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হয়, আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য তৃণমূল ফের বিজেপির হাত ধরতে পারে। নিজের চেয়ার বাঁচানোর জন্য ফের এক বার বিজেপির হাত ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী।”।
তাঁর কথায়, “প্রত্যেকটা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি তৃণমূল এবং বিজেপিকে পরাস্ত করতে লড়বে। আমরা যদি এক বার পশ্চিমবঙ্গে এই সাম্প্রদায়িক বিভাজন বন্ধ করতে পারি, তা হলে গোটা ভারতেই তা করতে পারব। তৃণমূল এবং বিজেপি- উভয় দলই মানুষের সমস্যাগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে ধর্মকে ব্যবহার করছে”।
বামফ্রন্ট এই ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন করলেও হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। কর্মী, সমর্থকদের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ে ব্রিগেড। যা দেখে ইয়েচুরি বলেন, “ব্রিগেডের সমাবেশ বোঝাচ্ছে, বাংলায় পরিবর্তন আনবে এই সংযুক্ত মোর্চা”।
ভিডিয়োয় দেখুন: আব্বাস মঞ্চে উঠতেই তাল কাটল অধীরের
আরও পড়তে পারেন: বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ ব্রিগেড সমাবেশে কে কী বললেন?
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের