ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হুমায়ুন কবীর যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতেই তাঁকে শোকজ করা হচ্ছে। বিধানসভার পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগেও, ২০২৩ সালের নভেম্বরে একাধিক ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জন্য হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করেছিল দল। কিন্তু তিনি মন্তব্যে নিয়ন্ত্রণ না আনায় শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ।
বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, ২০২৬ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের জয়ী সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে ছুড়ে ফেলা হবে। এর পরদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবীর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “একটা বিধায়ককে চ্যাংদোলা করে দেখাক, কত হিম্মত দেখি”। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে আগে আমার জাতি, তারপর দল”।
এই মন্তব্যের জেরে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর সর্বধর্ম সমন্বয়ের নীতির পরিপন্থী বলে মনে করা হচ্ছে এই বক্তব্য। ফলে হুমায়ুনকে শোকজ করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।