কবি সেই কবে বলেছিলেন, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’। বিজ্ঞাপনের সেই দাপট কয়েক দশক পেরিয়ে বেড়েছে অনেক গুন। সঙ্গে তখন যা ছিল না, এমন একটি সমস্যাও এখন ছড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার আকাশ সীমায়। সেখানে আজ রকমারি তারের দাপট। যে দাপট আজকের নাগরিককে আকাশ দেখতে আটকায়। আর কে জানে, হয়তো শৈশবকে বেশি করে ঠেলে দেয় টিভি দেখার দিকে ।
টিভি দেখার অনিবার্য অনুষঙ্গ কেবল-লাইন। শহর কলকাতা জুড়ে জাল বিস্তার করেছে সেই কেবলের তার। বড়ো রাস্তাই হোক বা কোনও অলি-গলি। হোর্ডিং, ব্যানারের পর শহরের দৃশ্যদূষণের সব থেকে বড় কারণ কেবল-তারের জাল। দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে পুরসভার নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবেশবিদরা। অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে তাদের প্রয়াস।
ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন কেবল অপারেটর সংস্থার সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনাও সেরে ফেলেছেন শহরের মহানাগরিক তথা পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। খবর অনলাইনকে মেয়র জানিয়েছেন, আলোচনায় এমএসও সংস্থাগুলি এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। কলকাতা পুর নিগমের তরফে এমএসও-গুলিকে কেবলের তার নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
কেএমসি সূত্রে খবর, কেবল তারগুলিকে মাটির নীচে দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। মেয়র জানান, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে এমএসও-গুলির খরচ বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই খরচ বহন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। কাজেই সাধারণ মানুষ যাতে তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে কেবল পরিষেবা পান, সেই দিকটিও এমএসও-গুলিকে মাথায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।