উঃ দিনাজপুর
বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি খুন
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই খুনের পেছনে তৃণমূল রয়েছে। ওরাই খুন করে দেহকে এমন ভাবে ঝুলিয়ে দিয়েছে যাতে মনে হয় এটা আত্মহত্যা।

রায়গঞ্জ: রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের (Hemtabad) বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (Debendranath Roy)। সোমবার সকালে একটি চায়ের দোকান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
রায়গঞ্জের (Raiganj) বিন্দোল পঞ্চায়েতের বালিয়া গ্রামে তাঁর আদি বাড়ি। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রাস্তার ধারে অবস্থিত ওই চায়ের দোকানটি। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে বিধায়ককে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। একই দাবি বিজেপিরও।
রবিবার সন্ধ্যায় আদি বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, রাত একটা নাগাদ বেশ কয়েক জন যুবক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পর রাতভর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় ওই বিধায়কের। তখনই ওই চায়ের দোকানটি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। চায়ের দোকানটি বন্ধ ছিল।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। যদিও খুন না আত্মহত্যা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষা।
রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এই বিষয় বলেন, “দেবেনবাবুর মৃত্যু যথেষ্ট সন্দেহজনক। একজন মানুষ হাত বাঁধা অবস্থায় কখনোই আত্মহত্যা করতে পারেন না। সকলেই সন্দেহ করছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ বের করুক।”
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই খুনের পেছনে তৃণমূল রয়েছে। ওরাই খুন করে দেহকে এমন ভাবে ঝুলিয়ে দিয়েছে যাতে মনে হয় এটা আত্মহত্যা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিন।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদ কেন্দ্র থেকে সিপিএমের টিকিটে জয়লাভ করেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতে পর পর তিন বার সিপিএমের প্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি।
উঃ দিনাজপুর
রাজ্যের দুটি জেলায় সক্রিয় কোভিডরোগীর থেকে বেশি কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা
গোটা রাজ্যে বর্তমানে কনটেনমেন্ট জোন ৩,২৩৬।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের দু’টি জেলায় যত জন সক্রিয় কোভিডরোগী রয়েছেন, তার থেকে বেশি সংখ্যায় কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। অদ্ভুত এই ব্যাপার ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর আর পূর্ব বর্ধমানের ক্ষেত্রে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমানে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৪৮। অথচ এই জেলায় কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে ৫৬৩টি। অন্য দিকে উত্তর দিনাজপুরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০৮ হলেও সেখানে কনটেনমেন্ট জোন ৫০২টি।
মনে করা হচ্ছে, গত কয়েক দিনে এই দুই জেলায় সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আসা এর পেছনে অন্যতম কারণ। বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানে মোট ৫,৮০৮ জন রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪,৮০১ জন। সুস্থতার হার ৮২.৬২ শতাংশ।
গত সোমবার পূর্ব বর্ধমানে সক্রিয় রোগী ছিলেন ৬২৮ জন। অর্থাৎ চার দিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এই জেলায় কমেছে ৭৬। অথচ, গত কয়েক দিনে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা এই জেলায় কমেনি। কিন্তু নতুন কিছু জায়গা এই তালিকায় যোগ হয়েছে। সাধারণত একটা অঞ্চলকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলে ১৪ দিন কড়াকড়ি আরোপিত থাকে। সে কারণেই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা সক্রিয় রোগীর থেকে বেশি।
একই কথা উত্তর দিনাজপুরের ক্ষেত্রেও। সপ্তাহখানেক আগেই এই জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পাঁচশোর বেশি ছিল। সেটা এখন ক্রমে কমে তিনশোতে এসে ঠেকেছে। যে দ্রুততায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে, কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই দ্রুততা দেখা যাচ্ছে না।
বর্তমানে, রাজ্যে মোট কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩,২৩৬। কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত প্রয়াত
উঃ দিনাজপুর
যোগেন্দ্র যাদবের ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গে দানা বাঁধছে ভুট্টা চাষিদের আন্দোলন
মঙ্গলবার অঞ্চলের একাংশের কৃষক একত্রিত হয়ে একটি মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি করণদিঘির বিডিও পর্যন্ত যায়…

করণদিঘি, উত্তর দিনাজপুর: ভুট্টার ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (MSP) দাবিতে যোগেন্দ্র যাদবের দল স্বরাজ ইন্ডিয়ার কৃষক সংগঠন ‘জয় কিষাণ আন্দোলন’-এর নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ভুট্টা কৃষকরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে নেমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার অঞ্চলের একাংশের কৃষক একত্রিত হয়ে একটি মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি করণদিঘির বিডিও পর্যন্ত যায় এবং সেখানে স্মারকলিপি জমা দেয়। বিডিও-র সঙ্গে বৈঠকে নেতৃত্ব নিজেদের দাবিগুলির অবিলম্বে সমাধানের উপর জোর দেন।
সংগঠন দাবি করেছে, কয়েক হাজার কৃষক ইতিমধ্যেই পত্র মারফত কেন্দ্রীয়স্তরে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি সচিব এবং রাজ্যস্তরে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী, রাজ্যের কৃষি সচিব, সংশ্লিষ্ট সাংসদ, বিধায়ক, জেলা শাসক ও বিডিও-দের সমস্যার কথা জানিয়ে প্রতিকার দাবি করেছিল। সাড়া না পেয়ে এখন কৃষকরা পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে।
সেই আন্দোলনের অংশ হয়ে এ দিন করণদিঘি ব্লক ও আশপাশের কৃষকরা বিডিও-র দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। দলীয় নেতৃত্ব জানান, স্বরাজ ইন্ডিয়ার (Swaraj India) সর্ব-ভারতীয় সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব (Yogendra Yadav) ও স্বরাজ ইন্ডিয়ার সর্ব-ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও অখিল ভারতীয় কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির আহ্বায়ক অভীক সাহা এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কৃষকদের অভিদন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। সমাবেশে তা শোনানো হয়।
যোগেন্দ্র যাদব বলেন, “ভুট্টার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য আদায়ের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা যে আন্দোলন করছে, আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। ন্যায্য অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের অভিনন্দন জানাই ও আন্দোলনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি”।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দীনেশ সিংহ, শম্ভুলাল রায়, ইমদাদুল হক, আব্দুল হালিম, তুফান সিংহ, ফণীভূষণ সিংহ প্রমুখ স্থানীয় কৃষক নেতৃত্ব।

যে দাবিগুলো উঠে আসছে:
(১) ভুট্টা উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে সুবিধাজনক জায়গায় সরাসরি কৃষকদের থেকে ভুট্টা কেনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজ্য সরকারের ক্রয় কেন্দ্র খুলতে হবে
(২) ওই ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত কর্মচারী এবং অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বিনা বাধায় সমস্ত কৃষকরা ভুট্টা বিক্রি করতে পারেন।
(৩) কম দামে বিক্রি করে ফেলতে বাধ্য হওয়া কৃষকদের লোকসান পূরণের জন্য পঞ্চায়েতস্তরে ব্যবস্থা করতে হবে।

(৪) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভুট্টার জন্য কার্যকরী মুল্য সহায়তা প্রকল্প ঘোষণা ও তার রূপায়ণ করতে হবে।
(৫) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভুট্টার জন্য কার্যকরী মুল্য ঘাটতি পূরণ প্রকল্প ঘোষণা ও তার রূপায়ণ করতে হবে।
উঃ দিনাজপুর
চোপড়া-কাণ্ডে মেলেনি ধর্ষণের প্রমাণ, অশান্তির ঘটনায় গ্রেফতার ১৬

খবরঅনলাইন ডেস্ক: চোপড়া-কাণ্ডে কোনো ধর্ষণের প্রমাণ পায়নি পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ওই কিশোরীর বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে রবিবার দুপুরে অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে ঘিরে রবিবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। পুলিশ ও জনতার খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়ার কালাগছ এলাকা।
তবে ময়নাতদন্তে বিষক্রিয়ার কথা বলা হলেও মৃত কিশোরীকে কেউ জোর করে বিষ খাইয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদিও বিজেপি এখনও সেই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার পরপরই দেহ সৎকার করে দিতে চাইছিল পুলিশ।
তবে বিজেপি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির সুর কমাতে নারাজ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চোপড়াকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ জানাতে এ দিনই যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্ত।
রবিবার সকালে চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চতুরাগছে এক কিশোরীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে প্রথমে চোপড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়ার কালাগছ এলাকা।
ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ধর্ষণকারী ও খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় লোকজন। হাতে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নামেন পুরুষ ও মহিলারা। সেই বিক্ষোভে শামিল হয় বিজেপিও। ওই কিশোরী বিজেপি নেতার বোন বলেও দাবি করা হয়।
দীর্ঘক্ষণ টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক বন্ধ রেখেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে জাতীয় সড়ক। পোড়ানো হয় একাধিক বাস। পুলিশের গাড়িও জ্বালানো হয়।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিজেপির দাবি ধোপে না টিকলেও তারা যে ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না, সেটা বিজেপির এ দিনের পদক্ষেপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
-
রাজ্য3 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা