উত্তর দিনাজপুর: চোপড়া ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় এক সালিশি সভায় যুগলকে তালিবানি কায়দায় মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তরুণ ও তরুণীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছেন এক ব্যক্তি। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি খবর অনলাইন। চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা-সহ অসংখ্য মানুষজন। কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যাননি, বরং পাশবিকভাবে মারধরের দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ-তরুণী। এরপর গ্রামে সালিশিসভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যিনি এলাকায় ‘জেসিবি’ নামে পরিচিত। স্থানীয়দের দাবি, ‘জেসিবি’ চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমানের ‘ডান হাত’ হওয়ায় এলাকায় তাঁর দাপট রয়েছে।
প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতেও কেউ তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। এই ঘটনার ফলে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না গিয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে জেলাজুড়ে। যদিও বিধায়ক হামিদুর রহমান দাবি করেন, তিনি ‘জেসিবি’ নামে কাউকে চেনেন না।
চোপড়ার আইসি অমরেন্দু সিংহ জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
এই ন্যক্কারজনক ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। আইনশৃঙ্খলার এহেন অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।