নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: ফোর্থ স্যাটার্ডের গেরোয় আটকে নভেম্বরের শেষ শনিবার বন্ধ সমস্ত ব্যাঙ্ক। কোনো এক অজ্ঞাতকারণে বন্ধ জলপাইগুড়ি জেলার ৯০% শতাংশ এটিএমও। অনেক বন্ধ এটিএমের সামনেও লম্বা লাইন, যদি খোলে এই আশায়। স্বাভাবিক ভাবেই দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ।
ময়নাগুড়ির বাসিন্দা রমেন অধিকারী। তাঁর বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওষুধপত্র, পরীক্ষা করানোর জন্য হাজার চারেক টাকা দরকার। সকাল থেকে হন্যে হয়ে ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ির এটিএমগুলিতে ঘুরেছেন। বন্ধ থাকায় খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। অসহায় হয়ে হাসপাতালে বাবার বিছানার পাশে বসেছিলেন তিনি। তখনই লোকমুখে ভি-মার্ট শপিং মলে টাকা দেওয়ার কথা শুনতে পান। এটিএম কার্ড নিয়ে ছুটে যান সেখানে। পেয়ে যান দু-হাজার টাকা। মলের ম্যানেজার আশ্বস্ত করছেন আগামী কাল আরও দু-হাজার টাকা পাবেন তিনি। অসহায় অবস্থা থেকে বাঁচেন রমেন।
খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ভিড় জমেছে শপিং মলটিতে। শহরের প্রাণকেন্দ্র ডিবিসি রোডের ওপরেই ভি-মার্ট শপিং মল। সেখানকার স্টোর ম্যানেজার পিন্টু মজুমদার জানিয়েছেন, শনিবার এবং রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে তাঁরা এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটিএম কার্ড নিয়ে আসলেই সোয়াইপ করে দু’হাজার টাকা পেয়ে যাবেন আমজনতা। মলে সারা দিনে যা বিক্রি হবে সেখান থেকেই এই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার, রবিবার-সহ আগামী বেশ কয়েক দিন এই পরিষেবা দেবে ওই শপিং মল। হয়রানির হাত থেকে কিছুটা হলেও ছাড় পেয়ে ভি-মার্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আমজনতা।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।
Khub valo lagche jene
Comments are closed.